বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের কলেজ রোডস্থ রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ইসলামিয়া হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ক্লিনিকের বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় ক্লিনিকটি সীলগালা করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মো. মোস্তফা গাজীর কন্যা ও নাসির উদ্দিনের স্ত্রী মোসা. মোশের্দা বেগম (৩৪) গতকাল সোমবার বিকালে সন্তান প্রসবের ব্যাথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে ইসলামিয়া হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে আসলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সিজারের প্রস্থুতি নেয় এবং পাশর্বর্তী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মো. রাকিবুর রহমানকে খবর দিয়ে এনে ঐ প্রসূতি মায়ের সিজান করান। প্রসূতি মা একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়। অপারেশন সম্পুর্ন করে ডাঃ আবার তার কর্মস্থলে চলে যায়। পরবর্তীতে প্রসূতি মায়ের পেটে ব্যাথা বাড়লে এবং আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকলে। মঠবাড়িয়া বসে গভীর রাতে রোগী জ্ঞানহীন হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে নিয়া যেতে বলে। বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পথে ভান্ডারীয়া নামক স্থানে বসে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে লাশ নিয়ে পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত ক্লিনিকের সামনে অবস্থান করে প্রতিবাদ জানালে পুলিশ, সাংবাদিক ও প্রশাসন ঘটনা স্থলে পৌছালে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্লিনিকটিতে সীলগালা করে দেয়।
এ ব্যাপারে বামনা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনুল ইসলাম বলেন গিয়ে লাশ উদ্ধার করে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অন্তরা হালদার জানান ঘটনা শুনে ক্লিনিকে যাই ভর্তিকৃত রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানকে নিয়ে বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় অবৈদ্ধ ক্লিনিকটিকে সীলগালা করে দেই।