আজঃ রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন

বামা’র সঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন (বামা) এর নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এর বৈঠক  অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীস্থ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. মো.আকিব হোসেন, মো. আইয়ুব হোসেন, মো.ইয়াহইয়া; এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে  বামার সভাপতি, হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লী ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি মো.ফজলুর রহমান, ডা. নাসিরউদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক ফজলুল হকসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।

এ সময় এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৭টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: আয়ুর্বেদ, ইউনানী ও হারবাল পদ্ধতির সমন্বয়ে ট্রেডিশনাল মেডিসিন সেল গঠন করা; আয়ুর্বেদ, ইউনানী ও হারবাল ওষুধ রপ্তানীর লক্ষ্যে ভারত ও চীনের মতো রপ্তানী নীতিমালা প্রণয়ন করা; অননুমোদিত মোড়ক সামগ্রী ও নকল ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধের লক্ষ্যে ফয়েল প্রিন্টিং  প্রেস এবং ক্যাপসুল সেল কোম্পানীর উপর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মনিটরিং করা; বেপরোয়া চাঁদাবাজী এবং নামে বেনামে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চিঠি প্রেরণ করে হয়রানী বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।


আরও খবর



আ.লীগের আমলে লাইসেন্স পাওয়া ১ হাজার ৬৫৪ অস্ত্র জমা পড়েনি এখনও

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরপরই দেশের পাঁচ শতাধিক থানায় হামলা চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। এদিকে এসব অবৈধ অস্ত্রের সঙ্গে যোগ হয়েছে গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রও। যার বেশির ভাগই রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে। গত মঙ্গলবারের মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বেঁধে দেওয়া সময় শেষে এসব অস্ত্র উদ্ধারে গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথ আভিযানিক দল গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত যৌথ অভিযানে কত সংখ্যক অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্র জমা পড়েছে তার হিসেব দিতে পারেনি পুলিশ সদর দপ্তর।

তবে সূত্রে জানা গেছে, দেশের আট বিভাগে ৯ হাজার ১৯১টি বৈধ অস্ত্র থানাগুলোতে জমা পড়েছে। বাকি ১ হাজার ৬৫৪টি জমাযোগ্য বৈধ অস্ত্র এখনও জমা দেওয়া হয়নি।

গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছিল, গত ৫ ও ৬ আগস্ট সারাদেশে ১১ ধরনের মোট ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ২ হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। গোলাবারুদের মধ্যে লুট হয় বিভিন্ন বোরের ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২টি গুলি, যার মধ্যে এখনো উদ্ধার হয়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি। লুট করা ৩১ হাজার ৪৪টি কাঁদানে গ্যাসের শেলের মধ্যে ৮ হাজার ৯০৫টি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সাউন্ড গ্রেনেড লুট করা হয়েছিল ৪ হাজার ৬৯২টি। এরমধ্যে এখনো ২ হাজার ৫৭৬টি উদ্ধার করা যায়নি।

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক বলেন, সদর দপ্তরের অপারেশনস শাখা থেকে যৌথ অভিযানে লুট হওয়া ও বৈধ অস্ত্র কতগুলো উদ্ধার ও জমা পড়েছে সেই তথ্য তারা এখনো পাননি।’

পুলিশ সদর দপ্তরের আরেক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের লুট হওয়া সব ধরনের অস্ত্র এবং লাইসেন্স নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। মঙ্গলবার রাত থেকে জোরেশোরে যৌথ অভিযান শুরু হয়নি। আজ শুক্রবার থেকে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো অভিযান চালানো হবে।’

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের শাসনআমল ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আট বিভাগে ১০ হাজার ৮৪৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে জমা পড়ে ৯ হাজার ১৯১। এখনও লাইসেন্স নেওয়া ১ হাজার ৬৫৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি।


আরও খবর



নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ঢাকার প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে বৈঠক আয়োজনে নয়াদিল্লিকে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। চলতি মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে ওই বৈঠকের প্রস্তাব করা হলেও ভারত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

ড. ইউনূস-মোদির বৈঠকের প্রস্তাবের বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য ঘিরে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাক্ষাৎকারে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন ইউনূস। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এই উপদেষ্টার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি।

ওই সূত্র বলেছে, এই মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই অধিবেশনে যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মাঝে একটি বৈঠক আয়োজনে ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য মোদির অ্যাজেন্ডাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

চলতি সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সমালোচনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ‘‘ইসলামপন্থী’’ বলে ভারতের যে ‘‘আখ্যান’’ রয়েছে, দেশটিকে সেটি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

পিটিআইকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে তাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে। ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশে এটা কেউ পছন্দ করছে না। এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়।’’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্যের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের মন্তব্য সুসম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়।

গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে ভারতের অনুমতিতে দেশটিতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে দেশটিতেই অবস্থান করছেন তিনি। তাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের সম্ভাব্য অনুরোধের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৬ আগস্ট টেলিফোনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন। ফোনালাপের সময় জাতীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সামঞ্জস্য রেখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।


আরও খবর



সীমান্ত হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভবিষ্যতে যাতে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা আর না ঘটে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বর্ডার কিলিং (সীমান্তে হত্যা) নিয়ে এখানে একটু আলোচনা হয়েছে। এজন্য শুধু আমি বলব, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে (কর্তৃপক্ষ) আদেশ দিয়েছি। আমি আশা করব ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে আপনারাও আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, যেহেতু আমাদের যাওয়া-আসা করে, এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে। এখানে সবাইকে আমি অনুরোধ করেছি, এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে ভালো ভালো পূজা মণ্ডপ করেন। যাতে আমাদের লোক ওই পাড়ে না যায় পূজা দেখার জন্য। ওইপাড়ের লোকও যেন এই পাড়ে না আসে, এটার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার আগের চেয়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।

সনাতন ধর্মের নেতাদের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে এখনও কোনো পূজামণ্ডপের তালিকা দেয়া হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে এ বছর সম্ভাব্য মণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার হতে পারে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী রাব্বির ঘাতক শ্রমিকলীগ নেতা জানে আলম অধরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আয়নাঘর কায়দায় চট্টগ্রাম নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় টর্চার সেল খুলে ১৭ নম্বর রোডের পরিবহন শ্রমিকদের আওয়ামী লীগ নেতা জানে আলমের নির্যাতন ও নিপীড়ন চলতো। কেউ তাকে চাঁদা না দিলে লোহার হাতল, হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে হাত, পা থেঁতলে দিতেন বলে অভিযোগ করেন এমন নির্যাতনের শিকার ১৫০ জনেও অধিক সিএনজিচালিত-অটোরিকশা ও মেক্সিমাচালক। একই সাথে কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের নিহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাব্বি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জানে আলমকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম অটো-টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ইমাম। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি জাহেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলমগীর, কার্যকরী সদস্য গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ আলমগীর, কায়সার কালু, নূর বশর প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করেন, ১৭ নম্বর রোডে তিন শতাধিক টেম্পো থেকে নানাভাবে জনে আলমের মাসে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে চালকরা। ওই টাকায় বাকলিয়া থানা ও ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া শ্রমিক ও ইউনিয়নের নেতাদের মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করেছে জানে আলম। ২০১২ সালে নতুন ব্রিজে টেম্পোতে হেলপার হিসেবে কাজ করতে আসা জানে আলম এই কয়দায় বছরে কোটিপতি বনে গেছে।

তারা আরো বলেন, যেখানে দিনশেষে চালক হেলপারদের নিত্যদিনের বাজার-সদাই কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে চাঁদাবাজির টাকায় বাকলিয়া মৌজার রাজাখালী এলাকায় গতবছর জায়গা কিনেছেন জানে আলম। এছাড়া চন্দনাইশে একটি কমিউনিটি সেন্টারের মালিকানা ও প্রাইভেটকারও কিনেছেন এই চাঁদাবাজির টাকায়। তার এসব অবৈধ রাজত্ব কায়েম করতে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে। তারাই বিভিন্ন সময় শ্রমিকদের ওপর লাঠি, পাইপ ও কিরিচ নিয়ে হামলা করেছে। র‌্যাব-পুলিশের একাধিক অভিযানে তারা বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছে। টর্চারসেল থেকে লাঠি, পাইপ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

তারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জানে আলম তার বাহিনী নিয়ে হামলা করেছে। এ ঘটনার নতুন করে চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও কোতোয়ালিতে তিনটি মামলা করা হয়েছে। ৫ আগস্ট জানে আলম পালিয়ে গেলেও আড়াল থেকে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জন দিয়ে মামলা করার চেষ্টা করছে। জানে আলমের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুজন জিডি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।


আরও খবর
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হাসপাতাল থেকে ফিরেই বড় চমক পেলেন ঊর্বশী রাউতেলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কয়েক দিন আগে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতেলা। সে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল তার রক্তারক্তি কাণ্ড!

মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরা। ভিডিওটি পোস্ট করার পর অনেক সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে তাকে। খুব বড় যে কিছু ঘটেনি তা ভিডিও দেখে অনেকেই বুঝেছিলেন।

একদিকে যেমন তাকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, আবার কিছু অংশ বেশ চিন্তিতও ছিলেন। তাই তো তিনি বাড়িতে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই পেলেন বিশাল এক সারপ্রাইজ। তার পুরো ঘর ভরে গেছে লাল গোলাপে।

বলিউডসূত্রের খবর, তিনি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই প্রার্থনাতেই এই ফুলের উপহার। প্রায় এক লক্ষ গোলাপ ফুল উপহার পেয়েছেন তিনি! আর তা পেয়ে ঊর্বশী বেশ উত্তেজিত ছিলেন।

সেদিনের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আঙুল কেটে রক্ত ঝরছে ঊর্বশীর। তবে খুব যে বাড়াবাড়ি হয়েছে তেমনটা নয়। সেটা তার ভিডিও দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। তাই উলটে প্রার্থনার বদলে নায়িকাকে রীতিমতো কটাক্ষের মুখেই পড়তে হয়েছে। সেদিন নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে গিয়েছিল তার পোস্ট।

অভিনেত্রীকে কেউ লিখেছেন,একটু হলুদ লাগিয়ে দিলেই ঝামেলা মিটে যেত। আবার কেউ লিখেছেন,আপনি দেশের প্রথম মহিলা যে এত ছোট কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলেন।

তবে শুধুই কি এই আঙুল কাটার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

কয়েক দিন আগে অন্য একটি কারণে আলোচনায় উঠে এসেছিল অভিনেত্রীর নাম। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল ঊর্বশীর। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্নানের জন্য পোশাক খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঊর্বশীর মতো দেখতে এক মহিলা। বিভিন্ন পাপারাৎজি অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। এর পরেই শুরু আলোচনা।

নিউজ ট্যাগ: ঊর্বশী রাউতেলা

আরও খবর
আমি কেন ভয়ে থাকব: মাহিয়া মাহি

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভিসা জটিলতায় পরীমণি

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪