আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাজুসকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলনে

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি ও ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দীলিপ রায় বলেছেন, বাজুসের কেন্দ্রীয় সভাপতি, এশিয়ার বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দেশের বিকাশমান ব্যবসার আইকন সায়েম সোবহান আনভীর দেশের স্বর্ণশিল্পের উন্নয়নে ভিশন-মিশন নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামীতে স্বর্ণকে কুটির শিল্প থেকে বৃহত্তর শিল্পে পরিণত করা হবে। ফিরিয়ে আনা হবে স্বর্ণ শিল্পের হৃত গৌরব।

রবিবার দুপুরে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন অফিসার্স ক্লাবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাজুস চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মৃণাল ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাজুস কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি গুলজার আহমেদ ও মো. আনোয়ার হোসেন।

ডা. দীলিপ রায় বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদেরকে একটি সময়োপযোগী স্বর্ণ নীতিমালা উপহার দিয়েছেন। এই নীতিমালার মাধ্যমেই সমৃদ্ধ হবে দেশের স্বর্ণ শিল্প। অতীতে বাঙালি স্বর্ণশিল্পে সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু একটি আধুনিক নীতিমালা না থাকায় শিল্পটি ক্রমান্বয়ে তার গৌরব হারাতে বসে। হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেও কালোবাজারি বলা হতো। ব্যাংক ঋণ দিতে চায় না। এখন নীতিমালা হয়েছে। আমরা মর্যাদার সঙ্গে ব্যবসা করতে পারব।

তিনি বলেন, বাজুসের বর্তমান সভাপতি একটি গোল্ড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে একটি শক্তিশালী কমিটিও গঠন করা হয়েছে।  স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সেই ব্যাংক থেকে ঋণ পাবে। অর্থের কারণে কোনো ব্যবসায়ীকে সমস্যায় পড়তে হবে না। অর্থ সংকট না থাকলে জুয়েলারি শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নীতিমালা দিয়েছেন, বর্তমান সভাপতি আমাদেরকে দক্ষ নেতৃত্ব এবং আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

ডা. দীলিপ রায় বলেন, বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে গোল্ড রিফাইনারি করছেন। এখানে স্বর্ণের বার তৈরি হবে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। দেশে তৈরি স্বর্ণ বিদেশে রপ্তানি হবে। এ স্বর্ণের বারে লেখা থাকবে মেইড ইন বাংলাদেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকবে মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা খচিত স্বর্ণের বার। এটি আমাদের জন্য গর্বের। এর মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক আয়ও বাড়বে। সঙ্গে  দেশের স্বর্ণ খাতের কারিগরদেরও মূল্যায়ন হবে।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান সভাপতির উদ্দেশ্য, দেশের সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ী অবশ্যই বাজুসের সদস্য হবেন। জেলা-উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বর্ণ ব্যবসায়ীও বাজুসের সদস্য হয়ে যাবেন। সবাই সদস্য হলে সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করার একটি আঙিনা তৈরি হবে। যেকোনো সমস্যায় বাজুস স্বর্ণ ব্যবাসায়ীদের পাশে থাকবে। সদস্য না হলে তাদের ব্যাপারে বাজুস কোনো দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। যারা সদস্য হবে তারা ঋণ পাবে, গোল্ড বার পাবে, সরকারি সুবিধা পাবে। তাদের বিপদে সমিতি পাশে থাকবে। তাই প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। এরপরই বৃহত্তম পরিসরে বিশাল আকারের মহাসমাবেশ করা হবে।

তিনি বলেন, বাজুসের বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে এবং প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে দেশের আটটি বিভাগে প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব বিভাগের সমাবেশ শেষ হলে আমরা ঢাকায় মহাসমাবেশের আয়োজন করব। মহাসমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসাবে পাওয়ার পরিকল্পনা আছে। এটি হবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য একটি মাইলফলক ইতিহাস। সে লক্ষ্যেই আমরা আগাচ্ছি।

ডা. দিলীপ রায় বলেন, আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারতেছি, বাজুস বর্তমান সভাপতির নেতৃত্বে জুয়েলারি শিল্পে নতুন দিনের সুর্য্য উদিত হয়েছে। দেশেই যখন গোল্ড রিফাইনারি হচ্ছে, তাহলে এখন আর আমাদেরকে বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। তাই স্বর্ণ শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এখন আমাদের প্রয়োজন সকলের ঐক্য।

বাজুস কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, আমরা বলব, এখন জুয়েলারি শিল্পে নতুন দিগন্ত শুরু হয়েছে। গোল্ড ব্যাংক হবে বাজুসের বর্তমান সভাপতির নেতৃত্বে। এটি চাট্টিখানি কথা নয়। সকলকে নিয়েই এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাই ব্যাংক থেকে নামমাত্র সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। সমৃদ্ধ হবে ব্যবসা।

তিনি বলেন, বর্তমান সভাপতির মানসিকতা হলো- প্রতিটি কাজই খুব দ্রুততার সঙ্গে এবং সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। সকালে যা বলা হবে বিকালেই তার সুফল চাই। আমার মনে হয়, তাঁর কাছে নেই বলতে কোনো শব্দ নেই। আন্তরিকতা ও চেষ্টা দিয়ে কাজ করে তিনি সফল হতে চান।

বাজুস কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঢাকায় একটি গোল্ড এক্সিবিশন করব। যেখানে সারা দেশের ৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এই চট্টগ্রাম থেকেও স্বর্ণ ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করবেন। ব্যবসা সম্প্রসারণে এটি একটি নতুন উদ্যোগ।

তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান সভাপতির মূল্য লক্ষ্যই হল দেশের স্বর্ণ খাততে বিকশিত করে দেশের বেকারত্ব দূর করা। এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে ইতোমধ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আশা করি আপনারা সকলেই এক সঙ্গে থাকলে আগামীতে বহুদূর পথ পাড়ি দেয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাজুস চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা। বাজুস চট্টগ্রাম শাখার যুগ্ম সম্পাদক কাজল বণিক ও হিরন্ময় ধরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাজুস যশোর শাখার সভাপতি রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী, বাজুসের ডেপুটি ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম, বাজুস চট্টগ্রামের সহ সভাপতি সুধীর রঞ্জন বণিক।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে ফুল দিয়ে অতিথিদের বরণ করেন বাজুসের চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দ। তাছাড়া বাজুস চট্টগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে অতিথিদের উত্তরীয় পড়িয়ে দেয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: বাজুস

আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




সিলেটে টাকা নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন কর্মচারী মিনহাজ। গত ৩ আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ছাড়াও অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আরও অর্ধকোটি টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। অনুপস্থিত থাকায় এখন তার ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এমন ঘটনায় সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তারা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছে।

প্রধান কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের কর্মকর্তারা। সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল মিনহাজ ওরফে ফারুক। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে।

কর্মচারীরা জানিয়েছে, মিনহাজ ২০১১ সালে মাস্টার রোলের কর্মচারী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে সে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়। তার মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নিয়েছে।

আর এই টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমিও কিনেছেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও আরেকটি ঋণ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। দুটি ঋণে জামিনদার হিসেবে ব্যাংকের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মচারীকে রাখেন মিনহাজ। এ ছাড়া ব্যাংকের কর্মচারীদের যে সমিতি রয়েছে সেই সমিতি থেকেও সে ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক ও সমিতির ঋণ মিলে কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরিতে থাকার সময় তার সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন সময় তার নামে নেয়া ঋণের জামিনদার হয়েছেন পরিচিতরা। গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত মিনহাজ ওরফে ফারুক। ব্যাংকের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কর্মচারীদের ধারণা ঋণের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে মিনহাজ।

এই অবস্থায় জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন জামিনদার। তারা জানিয়েছেন, মিনহাজ টাকা না দিলে জামিনদারদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা হবে। এটাই হচ্ছে ব্যাংকের নিয়ম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণের টাকা নিয়ে কর্মচারী উধাওয়ের ঘটনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই অবস্থায় মিনহাজ ওরফে ফারুকের সন্ধানে অনেকেই সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান চেয়ে তারা লিখেছেন- ফারুক ওরফে মিনহাজ বাটপার লোকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিন। সহজ সরল মানুষগুলোকে এই প্রতারক বাটপার ঠকিয়েছে। তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষগুলোকে সহায়তা করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্যাংক থেকে যে টাকা পয়সা নিয়েছে তা উদ্ধারেও অনেক নিয়ম মানতে হয়।

লাপাত্তা থাকা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, মিনহাজ ওরফে ফারুক তার ভাগিনা হলেও তার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। লাপাত্তা হওয়ার পর জানতে পারেন সে ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়েছে। তার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না।

সাইফুল জানান, মিনহাজ ওরফে ফারুক কোথায় আছে তিনি জানেন না। সে বিদেশে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন। পলাতক হওয়ার পর অনেকে এসে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছেন, তার কাছে পাওনা টাকা রয়েছে। যেহেতু ঋণ দেয়ার সময় আমার অনুমতি নিয়ে কেউ টাকা দেননি, এ কারণে এখন তাদের এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। মিনহাজ ওরফে ফারুকের দুই স্ত্রীর মধ্যে এক স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখায় কাজ করেন বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার খাসকান্দি এলাকায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী মো. শাহজালালের  (৩৮) বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে স্বামীর বসতঘর থেকে স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তারের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শাহ জালাল।

নিহত জিয়াসমিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। স্বামী শাহজালাল খাসকান্দি এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য স্ত্রী জিয়াসমিনের লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, খাসকান্দি এলাকার শাহজালাল ২ মাস আগে এক নারীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। ওই নারী সনাতন ধর্মাবলম্বীর। শাহজালাল বিয়ে করার পর মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে ওই নারী। তার নাম হয় জিয়াসমিন।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্বামীর বসতঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের স্বামী শাহজালাল তার স্ত্রীকে লাঠি দ্বারা আঘাত করে। এতে স্ত্রী জিয়াসমিনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, শাহজালাল এলাকার চিহ্নিত চোর ও ফৌজদারি মামলার আসামি। কিছুদিন আগেও তিনি ফৌজদারি মামলায় ৬ মাস কারাভোগ করেছেন। স্বামী শাহজালালকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।


আরও খবর



ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেয়ায় পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে এক ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেয়ায় পোলিং অফিসার মো: জাহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার।

বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী সঙ্গে সঙ্গে সেই পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করেন।

প্রত্যাহার হওয়া পোলিং অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম নান্দিনা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভোটারদের অভিযোগ, যে প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা সে প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন নি তারা। পরবর্তীতে পোলিং অফিসার নিজে গোপন কক্ষে বুথের দুইটি বাটন চাপতে বলেন। সেই বাটন চাপলে ভোট অন্য জায়গায় পড়ার অভিযোগ তুলেন তারা।

এসময় প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন ভোটাররা। শেখ ফকরুল হুদা নামের এক ভোটার প্রশ্ন করেন, আমার ভোটের কি হবে। এই উত্তর দিতে পারেনি প্রিজাইডিং অফিসার।

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার কোরবান আলী বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার আগেই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।


আরও খবর



সিলেটে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের কৃষি খাতে উন্নতি করতে হবে। খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা। এ চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তি নির্ভর হবে আগামী বাংলাদেশ। দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের সবাইকে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ জমিতে চাষ করে কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ খয়ের উদ্দিন মোল্লাহ, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার।

এছাড়াও উদ্যোক্তা কৃষকের বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ আলভিনা গার্ডেনের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রব বুবেল। পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাফিজ মাওলানা জামিল সিদ্দিকী, গীতা থেকে পাঠ করেন নন্দ দুলাল।

এসময় সিলেট জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালবৃন্দ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএডিসি কর্মকর্তাবৃন্দ, এসডিআই কর্মকর্তাবৃন্দ, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট নার্সারী কল্যাণ সংস্থার সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় প্রার্থী হওয়া নিয়ে আইনে কোনো বাধা নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়দের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আইনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আনিছুর রহমান বলেন, আইনে বলা আছে যিনি প্রাপ্তবয়ষ্ক, যিনি ভোটে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন এমন যে কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আমরা জেনেছি অনেক স্থানে এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় প্রার্থী হয়েছেন। তবে গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আমরা কোথাও কোনো সমস্যা দেখছি না। তবে যেসব উপজেলায় সমস্যা সৃষ্টি হবে, আমাদের কাছে আইন আছে, আমরা ভোট স্থগিত রাখতে পারি। আইন অমান্য করলে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশি ভোটার উপস্থিতি আশা করছে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কঠোর হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় ইসি আনিছুর রহমান কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

প্রসঙ্গত, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থী হতে দলীয়ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কেউ যাতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করে- সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর