আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

বাজেটে শুভঙ্করের ফাঁকি: রাশেদ খান মেনন

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। তবে তরুণদের স্মার্টভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ কি করে সম্ভব। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট প্রশাসন ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে তরুণ সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে হবে। কেবল বাজেটে নয়, সামগ্রিক ক্ষেত্রে তরুণদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে জেলা যুব মৈত্রীর ৬ষ্ঠ জেলা সম্মেলণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা অতীতের অর্জন নিয়ে কথা বলছি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু বর্তমানের দুঃস্বপ্ন দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি, অপসংস্কৃতির ছোবল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের আক্রমণ, সেখানে দাঁড়িয়ে বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলতে পারিনা। বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও সেই অঙ্কে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁক। সেখানে কর্মসংস্থানের কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাই না। কারণ বেসরকারী খাতে যখন বিনিয়োগ কমে যায় তখন কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়না। মূলত বেকারত্বের হাত ধরেই আমাদের যুবশক্তি হতাশা এবং নিরাশায় ডুবে যাচ্ছে। যুবকদের উদ্যোগী করে তুলতে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।

এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। এতে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক এডঃ মোঃ নাসিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর ওয়ার্কার পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমূখ।


আরও খবর



ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে খুনের অর্ডার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রীতিমত ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে মানুষ খুনের অর্ডার নিচ্ছিলেন সুপারি কিলার! আজব মনে হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে কলকাতার কাছেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং এলাকায়। নিজেকে 'সুপারি কিলার' বলে দাবি করা বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লা সম্প্রতি মানুষ খুনের অর্ডার নেওয়ার জন্য ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে বিলি করেন, যাতে স্পষ্ট হরফে লেখা, মানুষ হাফ মার্ডার ও ফুল মার্ডার করা হয়। যোগাযোগের জন্য কার্ডে রয়েছে মোবাইল নম্বর। সঙ্গে লাল কালিতে বড় করে লেখা বুলেট

কার্ডের একপাশে রয়েছে, নিজেকে সুপারি কিলার বলে দাবি করা বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লার ছবি, আরেক পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বুলেটের অ্যাকশন ছবি। কার্ডের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ক্যানিং থানা পুলিশ।

ক্যানিং থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর সোমবার ক্যানিং এলাকার ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় বুলেটকে। তার বাড়ি থেকে একটি বন্দুক, দু রাউন্ড কার্তুজ ও বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। বুধবার তাকে ক্যানিং মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ৭ জুলাই ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিনে-দুপুরে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতাকে। সেই খুনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বুলেটকে। কিন্তু সে সময় নাবালক থাকায় জামিনে মুক্তি পায় সে। সে বছরই, বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ফের পাকড়াও করা হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিল বুলেট।

স্থানীয়দের দাবি, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষকে মাঝে মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত বুলেট। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ খুন করার জন্য 'সুপারি' নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে সে। হাফ মার্ডার করলে পঞ্চাশ হাজার ও ফুল মার্ডার করলে এক লাখ রুপি নেওয়া হয় বলেও জানা যায়।

ক্যানিং সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার দিবাকর দাস জানান, গ্রেপ্তার বুলেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাওয়া হচ্ছে এই ভিজিটিং কার্ড সে কোথা থেকে করল এবং কোথায় কোথায় এই কার্ড বিলি করেছে। আর এই কার্ডের মাধ্যমে কাজের অর্ডার মিলেছে কি না সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 


আরও খবর



ইউক্রেন থেকে শস্য কেনা নিষিদ্ধ করল ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপের তিন দেশ। শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশন ইউক্রেনের প্রতিবেশী পাঁচ দেশে শস্য রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দিনে দেশ তিনটি এ ঘোষণা দেয়। ইউক্রেনের প্রতিবেশী ওই দেশ তিনটি হলো পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটি আক্রমণের পর থেকে এর শস্য রপ্তানি কমে গেছে। আরও একটি কারণ হলো রাশিয়া কৃষ্ণসাগর ইউক্রেনে শস্যবাহী জাহাজের জন্য করিডর বন্ধ করে দেওয়ায় দেশটি খুব বেশি বাণিজ্যিক সুবিধা নিতে পারছে না। ফলে বিশ্বজুড়েই খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে।

কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইউক্রেনের শস্যের অবাধ আমদানির কারণে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শস্যের দাম কমে গেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের আয় কমিয়ে দিয়েছে এবং এ কারণেই দেশ তিনটি ইউক্রেন থেকে শস্য ক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। এর আগে গত মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেন থেকে কিছু শস্য রপ্তানি বৈধ ছিল। সেই শর্ত হলো যে দেশ ইউক্রেনের শস্য কিনবে, তারা বিশ্বের অন্য কোথাও সেই শস্য বিক্রি করবে।

কিন্তু শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি নিজ নিজ উদ্যোগে ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডমব্রোভস্কিস শুক্রবার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনীয় শস্য আমদানির বিরুদ্ধে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা। কিন্তু পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি সেই আহ্বান না মেনে ইউক্রেনীয় শস্য আমদানিতে তাদের নিজস্ব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে দেশগুলো তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইউক্রেনীয় পণ্য পরিবহণ করতে দেবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আগেও আমলে নেয়নি অনেক দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণা এসেছে। এর পর থেকে বিরোধী দল এটিকে সরকারের ওপর চাপ হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করলেও এই ভিসানীতির আওতার মধ্যে রয়েছে তারাও। মার্কিন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে যারা এর আওতায় রয়েছে, তারা হচ্ছে বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে যেসব দেশকে এই ভিসানীতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, তাদের গ্লোবাল স্ট্যাটাস ভ্যালু বাংলাদেশের চেয়ে কম। তারাই এই ভিসানীতি আমলে নেয়নি, ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমেরিকা তার দেশে কাকে ভিসা দেবে, না দেবে সেই এখতিয়ার তাদের আছে। সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি ও বিরোধী দলের যেসব সদস্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ওই ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

এর পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না। তার দল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। যদি কোনও কারণে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ নেবে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। সেসব দেশ হচ্ছে-নাইজেরিয়া, উগান্ডা এবং সোমালিয়া। এসব দেশে কোনোটিতে নির্বাচনের আগে, কোনোটিতে নির্বাচনের পরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ম্যাথু মিলার  ভিসানীতি ঘোষণার পরে সবার মনে প্রশ্ন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কী হতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে আফ্রিকার দেশগুলোতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও সেটা যে উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশে ভিসানীতি ঘোষণার ঠিক ৯ দিন আগে একই ধারা ব্যবহার করে নাইজেরিয়াতেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটের ফলাফল কারচুপি ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। ২০১৯ সালের নির্বাচনের এক মাস আগেও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল-নাইজেরিয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডাতেও নির্বাচনকে ঘিরে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি সে দেশে। উগান্ডায় ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি, তিনি একইসঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান। প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাকে দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার জন্য প্রশংসা করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় সাধারণ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, বিরোধী দলের প্রার্থীদের ধারাবাহিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোনও অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে। তবে সে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

এদিকে সোমালিয়ার নির্বাচনে নাগরিকদের সবার ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। এর পরের ধাপে সেই সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে থাকেন। ভিসানীতির পর কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়েছে তাদের। কারণ, সোমালিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট প্রভাব আছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সেখানকার রাজনীতিবিদদের জন্য একটা ধাক্কা ছিল। কারণ, সোমালিয়াকে পশ্চিমা সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে হয়। 

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, শুক্রবার ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশে আমেরিকার নতুন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। যার অর্থ হচ্ছে, এখন থেকে প্রয়োগ হবে। এই ধরনের (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা প্রদানকারী) কোনও ব্যক্তি অ্যাপ্লাই করলে তাকে ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটি। তবে এই ঘোষণার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবে তাদের বুঝার দরকার ছিল। তারা ঘোষণা না দিয়েও ভিসা না দিতে পারতো। ঘোষণা দিয়ে বিষয়টা পাবলিক করাটা দৃষ্টিকটূ, অবন্ধুসুলভ আচরণ। আমাদের সরকার ও বিরোধী দল কারোর এটি গ্রহণ করা উচিত না, সোচ্চার হওয়া উচিত সবার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ফজলুল হালিম রানা বিষয়টিকে লঘু শাস্তি উল্লেখ করে বলেন, এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ এই ভিসানীতির বিপরীতে করণীয় কী নির্ধারণ করে। এর আগেও একই কারণে নাইজেরিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়াকে কেন্দ্র করে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সেসব দেশে কী ঘটেছে? কোথাও কোথাও নির্বাচনের আগে, কোথাও নির্বাচনের পরে ভিসানীতি প্রয়োগ করে আমেরিকা। নাইজেরিয়া, উগান্ডা এই সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা করেনি। নাইজেরিয়ার জনগণ যারা আমেরিকায় বাস করে, তারা সেখানে বসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব কথা বলেছে, তা ভিসানীতির আওতায় পড়ার মতো হলেও দেশটি কিছুই করতে পারেনি। উগান্ডাতেও তেমন হয়েছে। ফলে এটা তোয়াক্কা না করলেই হয়।

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসা নীতিতে পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না: ডিএমপি

বাংলাদেশের জন্য সেটা অসম্মানজনক কিনা, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনও রাষ্ট্রের স্ট্যাটাসের জন্য এটা সম্মানহানিকর। যে তিনটি দেশের কথা বলা হচ্ছে, তাদের চেয়ে রাষ্ট্রের ব্র্যান্ডিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান উঁচুতে। আবার গ্লোবালি বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের ব্র্যান্ডিং ভ্যালু আছে। নাইজেরিয়া-সোমালিয়া-উগান্ডার কাতারে বাংলাদেশকে নামানো হয়েছে, এরকম না ভেবে আমি মনে করি, যে ভিসানীতি নাইজেরিয়া-উগান্ডার মতো দেশ আমলে নিচ্ছে না, সেটা বাংলাদেশ থোড়াই কেয়ার করবে।


আরও খবর



২০ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি র‍্যাবের হাতে আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার রতন মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল হামিদ'কে দীর্ঘ ২০ বছর পর সাভার থেকে আটক করেছে র‍্যাব-৪। শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর ) বিকেল তিনটায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়ার নবীনগর র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ ক্যাম্প এর কম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।

এর আগে র‍্যাব-৪ এর একটি বিশেষ দল ৭ সেপ্টেম্বর সাভার গেন্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পলাতক থাকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী নওগাঁ জেলার, আব্দুল হামিদকে (৪৫), গ্রেফতার করে।

সিপিসি-২ ক্যাম্পে এর কম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আসামি মোঃ আব্দুল হামিদ গত ১৬/০৫/২০০৪ ইং তারিখ নওগাঁ জেলার আত্রাই সাহেবগঞ্জ এলাকার তার সহকর্মী রতন মিয়াকে কলহের জেরে লাঠিসোটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে এবং আসামি সহ তার সহযোগীরা আত্মগোপনে চলে যায়।

এঘটনায় আত্রাই থানা পুলিশ  আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন যাবত গ্রেফতারকৃত আসামীর অনুপস্থিতিতে নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গত ১৯/০৫/২০১০ তারিখে আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে  মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে রায় ঘোষণা করে।

এই কর্মকর্তা আরো জানান যে, জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, হত্যা মামলা দায়েরের পর হতে সে পালিয়ে প্রথমে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকা, নরসিংদী, চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্রগ্রাম জেলায় ও সর্বশেষ ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় আত্মগোপন করে নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে বসবাস করে আসছিলো। এমনকি পরিচয় গোপন করে নরসিংদী জেলায় একটি বিবাহ করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ঠ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় টানা ৬দিন ধরে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে করে টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার সহ সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। জেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল সহ কিছু কাঁচা পাকা সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত বর্ষণে বিপাকে পরেছেন রিকশা চালক, ভ্যান চালক, ঘোড়ার গাড়ি চালক সহ খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। এসব শ্রেণি পেশার অনেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পলিথিন মুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহে বেরিয়েছেন। আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাথায় পলিথিন মুড়িয়ে সকালেই ঘর থেকে বেরিয়েছেন চর কুড়িগ্রামের রিকশা চালক আইনুল মিয়া (৫৮)। দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহরের পুরাতন থানা পাড়া এলাকায় বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালাতে দেখা যায় তাঁকে।


এসময় কথা হলে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারনে কয়েকদিন থেকে ঠিকমতো রিকশা চালাতে পারছিনা। আজ সকালে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিন্তু বৃষ্টি তো থামছেই না। বৃষ্টির কারনে রাস্তায় যাত্রীও মিলছে না। কিন্তু আয় না হলে পরিবারকে খাওয়াবো কী? কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো কিভাবে?

একই পরিস্থিতি জেলা সদরের যাত্রাপুরের ঘোড়ার গাড়ি চালক আকবর মোল্লার। আকবর মোল্লা বলেন, বৃষ্টির কারনে আয়-রোজগার প্রায় বন্ধের পথে। শহরে এসে কোথাও ভাড়া মিলছে না। তার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেশী হওয়ায় ঘোড়ার খাবার ও পরিবারের খাবারের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি।

এদিকে টানা বর্ষনে নদ-নদী সহ নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়েছে। ফলে চর ও দ্বীপ চরের মানুষজনের দুর্ভোগও বেড়েছে।

জেলা সদরের ডাকবাংলার চরের গৃহবধূ সাহিদা (৪৫) বলেন, টানা বৃষ্টির কারনে ধরলা নদীসহ ধরলার শাখা নদী গুলোর পানি বাড়ছে। এতে করে নৌকা সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিশুরা নৌকা যোগে ঝুকি নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় দুঃশ্চিন্তায় পরতে হচ্ছে।


তবে আজ রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা আগামী আরও দুই অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।

এ কর্মকর্তা বলেন, জেলার উপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় টানা ৬দিন ধরে বৃষ্টিপাত চলমান রয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টা থেকে আজ বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা আগামী আরও দুই দিন অব্যাহত থাকার পর বৃষ্টিপাতের মাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর