আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

বাজেটে ইসির বরাদ্দ ২৪০৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ২ হাজার ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ১২৪ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে পরিচালন খাতে। আর প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে ২৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।

চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরে ইসির জন্য বাড়তি ৯৮৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ইসির বরাদ্দ ১ হাজার ৪২৩ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

বাজেট প্রস্তাবে আগামী অর্থবছরে ইসির জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ, ৪৫৪টি উপজেলা পরিষদ, ছয়টি সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন নির্বাচন রয়েছে। শূন্য থেকে ১৮ বছরের কম বয়সি বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন করা ও তাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কর্মসূচিও রয়েছে এ বাজেটে। অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন, ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কার্যক্রম গ্রহণ, পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করে মুদ্রণ ও বিতরণ করা এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডিআরএস (ডিজাস্টার রিকভারি সিস্টেম) স্থাপন করা।


আরও খবর



সাইবার নিরাপত্তা বিলের কয়েক ধারা সংশোধনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিকদের আপত্তির মুখে সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ এর ৩২ ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের বিধান বাতিলসহ কয়েকটি ধারায় সংশোধন ও কিছু ক্ষেত্রে ভাষাগত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলটি চূড়ান্ত করে সংসদে রিপোর্ট উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

দুই-এক দিনের মধ্যে সংশোধিত খসড়া মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে সংশোধনীগুলোর বিষয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। বিশেষ করে তারা বিলের ৪২ ধারায় প্রস্তাবিত বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও তল্লাশির ঘোর বিরোধিতা করেন।

সংসদীয় কমিটির সভাপতির অনুপস্থিতিতে কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে কমিটির সদস্য তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, আহমেদ ফিরোজ কবির, মো. নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা ও জাকিয়া পারভীন খানম অংশ নেন।

বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে একাংশের মহাসচিব দীপ আজাদ, বিএফইউজে আরেকাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিলে অনেক পরিবর্তন করেছি। বিলের ২১ ধারার বিষয়ে বিএফইউজে থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আমরা তা গ্রহণ করেছি। ৩২ ধারার অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট বাতিল করে দিয়েছি, এ আইনে সেটা থাকবে না। মিথ্যা মামলার বিষয়ে যে পরামর্শ এসেছে সেটা আমরা গ্রহণ করেছি। দ্রুত সংসদে বিলের প্রতিবেদন সংসদে জমা দেওয়া হবে।

এর আগে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আগেই সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবগুলো থেকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ২১, ৩২ ধারাসহ কয়েকটি ধারা সংশোধন করার বিষয়ে কমিটি সম্মত হয়েছে। বিলের ৪২ ধারায় সংজ্ঞাগত কিছু পরিবর্তন এনেছে। সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার স্থলে ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকতা করা হয়েছে। তবে আমরা এক্ষেত্রে সন্তুষ্ট নই। আমরা প্রেস কাউন্সিলের কথাই বলেছি।

প্রস্তাবিত আইনের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠন এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছিল। তবে তা পুরোপুরি গ্রহণ করা হয়নি। এখানে পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন, এমন সংশোধনী আনা হচ্ছে।

বৈঠকে ১৪ দফা দাবি জানিয়েছিল বিএফইউজে (একাংশ)। বৈঠক শেষে এ অংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, তারা কয়েকটি দাবি মেনে নিয়েছে। দু-একটি জায়গায় ভাষাগত পরিবর্তন এনেছে। তবে আমরা এতে সন্তুষ্ট নই। আমরা আলোচনাকালে আমাদের ১৪ দফা দাবির বিষয়ে অনড় ছিলাম। বিশেষ করে ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার, তল্লাশির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছি। আমরা বলেছি, স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হয় এমন ধারাগুলো বাতিল করে সংশোধনী আনলেই কেবল আমরা মেনে নেব।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা বিল, ২০২৩ বিলের ওপর বিস্তারিত আলোচনা শেষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশোধিত, সংযোজিত ও পরিমার্জিত আকারে রিপোর্ট সংসদে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


আরও খবর



প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য সুখবর

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যারা আবেদন করবে শুধুই তারাই এই সুবিধা পাবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাস হওয়ায় এই সুবিধা পাবেন চার লাখ ৬২ হাজার শিক্ষক। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০২৩পাস হয়।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাসের মাধ্যমে শিক্ষকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে এই টাকা পৌঁছে যাবে। আমাদের দেশের ৪ লাখ ৬২ হাজার শিক্ষকের জন্য গত ৭ থেকে ৮ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৬ কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু আইন না থাকার কারণে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শিক্ষকদের আর্থিক দৈন্য ও দৈব-দুর্বিপাকে সহায়তা করতে পারি না।

আরও পড়ুন>> মরক্কোয় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩২

তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছি যে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মোবাইলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে গ্রামে বসে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষকরা। মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। আমি মনে করি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে দারুণভাবে উপকৃত হবেন। 

আরও পড়ুন>> ২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ

বিলে বলা হয়েছে, চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার নাবালক সন্তানের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার ব্যয় বহন করা হবে। এছাড়া প্রতিবন্ধী শিশু বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনে খরচ দেওয়া হবে। চিকিৎসা খরচসহ কিছু আর্থিক সুবিধা পাবেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ট্রাস্ট ফান্ডে জমা দিতে হবে এবং তা বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।


আরও খবর



ফখরুল-রিজভীসহ ৮ নেতার বিচার শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাশকতা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আট নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হলো।

রাজধানীর পল্টন মডেল থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ অভিযোগ গঠন করেন। এরমধ্যে দিয়ে এই মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। 

আরও পড়ুন>> ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল চলাচল বন্ধ

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।

এর আগে মির্জা ফখরুলসহ অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষ তাদের নির্দোষ দাবি করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে এ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একইসঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। 

আরও পড়ুন>> ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে দুটি 'স্মার্ট হাইওয়ে'

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানাধীন মিন্টু রোডে মির্জা ফখরুল ও রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের ২০০/২৫০ নেতাকর্মী লাঠসোটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এসময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করেন ও বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি চালক মো. আয়নাল।

তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান।


আরও খবর



টিফিনের টাকা জমিয়ে রাস্তা সংস্কার করলেন শিক্ষার্থরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

কয়েক বছর ধরে বেহাল সড়কে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পৌরবাসী। সংস্কারের জন্য মেয়রকে বারবার তাগাদা দিয়েও কোনো সুরহা পায়নি তারা। এবার টিফিনের টাকা জমিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি ইতোমধ্যে আলোরণ সৃষ্টি করেছে। শুরুতে একতা বন্ধন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলে ঠাকুরগাঁও আমানাতুল্লা স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

সংগঠনের সদস্যরা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে মানবিক কাজে ব্যয় করে থাকে। তাদের ইচ্ছে ছিলো ভবিষ্যতে প্রয়োজন মতো খরচ করার। সেই টাকা টাকা রাস্তা সংস্কারের কাজে তুলে দিয়েছে তারা।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী এটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হয়। পৌরসভা এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে মোট জনসংখ্যা ১লাখ ২০হাজার। পৌর এলাকায় ১৯৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হলেও প্রায় ৮০ শতাংশই বেহাল।

পৌর শহরের হাজিপাড়া এলাকায় স্কুলের সামনের গিয়ে দেখা যায়, স্কুল থেকে শুরু করে শহরে বিভিন্ন রাস্তার কয়েক কিলোমিটার অংশ ভাঙাচোড়া। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে যায়। এ কারণে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে একতাবন্ধন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। নিজেরাই নেমে পড়েছে রাস্তা সংস্কারের কাজে। স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করেছে আমানাতুল্লাহ ইসলামী একাডেমির ছাত্ররা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা-পানি জমে যায়, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না। জনপ্রতিনিধিরা সংস্কার করে না, তাই নিজ উদ্যোগে আমরা সংস্কারে নেমেছি।

ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির সংস্কারের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। আজ ছাত্ররা নিজস্ব অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতেই রাস্তাটির সংস্কার করেছে। এটি একটি মহৎ কাজ।

একাডেমিক সহকারী শিক্ষক আবদুল সালাম বলেন, রাস্তাটি বেশ পুরোনো। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে সংস্কার করছি। এতে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে।

গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েল, সেনুয়া পাড়া এলাকার রাকিব বলেন, প্রথম শ্রেণির ঠাকুরগাঁও পৌরসভা হলেও ১০-১৫ বছর সড়কের সংস্কার হয়নি, ড্রেনেজ ব্যাবস্থা নেই; নেই বর্জ ব্যবস্থাও।

জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন রাজস্বের টাকা দিয়ে যতটুকু সম্ভব উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে সড়কগুলোর উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে, একনেকের সভায় পাশ হলেই বরাদ্দ পাওয়া যাবে। তখন পৌরসভা এলাকাকে ঢেলে সাজানো হবে বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে অপসারণ করলেন জেলেনস্কি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। তার আগে থেকেই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ওলেকসি রেজনিকভ। চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। গতকাল রোববার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি এ কথা জানান। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কি ভাষণে জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন পদ্ধতির সময় এসেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে ওলেকসি রেজনিকভের উত্তরসূরি হিসেবে রুস্তেম উমেরভকে মনোনীত করেছেন তিনি। রুস্তেম উমেরভ ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি তহবিলের পরিচালক।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সংস্থার সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনির মঞ্চ তৈরি করেছে এ ঘোষণা। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে রুস্তেম উমেরভের পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। 

আরও পড়ুন>> দেশ ছাড়বেন না ইমরান খান, করবেন না সমঝোতাও

জেলেনস্কি বলেন, আমি মনে করি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন করে সাজানোর প্রয়োজন রয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের নতুন পন্থা দরকার, যাতে সমাজ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই মন্ত্রণালয় মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে পারে।

এদিকে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ওলেকসি রেজনিকভকে যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। যেখানে পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে তার রয়েছে ভালো সম্পর্ক।

৫৭ বছর বয়সী ওলেকসি রেজনিকভ আন্তর্জাতিকভাবে বেশ পরিচিত ব্যক্তি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তাকে পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনের জন্য অর্থ, অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা পাওয়ার পেছনে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

তবে ওলেকসি রেজনিকভের মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে আগে থেকে গুঞ্জন ছিল, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারেন। 

আরও পড়ুন>> রুশ বাহিনীতে নতুন ৩ লাখ সেনা

তবে তার বরখাস্ত হওয়ার গুঞ্জন কিছুদিন ধরে চলছিল। গত সপ্তাহে রেজনিকভ সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে সরকারের অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার সুযোগ পাওয়া সাপেক্ষে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন তিনি।

বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলেনস্কি প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের জেরে পদ খোয়াতে হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভকে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির সূচক অনুসারে, ইউক্রেন ১৮০টি দেশের মধ্যে ১১৬তম স্থানে রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাদের অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।


আরও খবর