আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাগেরহাটের ২০০০ পরিবারকে শীতের উষ্ণতা দিল শুভসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাগেরহাট শহরের সরুই মাদ্রাসা রোডে ছোট একটি টিন সেডের ভাড়া ভাড়িতে দুই ছেলে মেয়ে আর প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে বাস করেন দুর্গা রানী মন্ডল। মধ্য বছর বয়সী এই নারী মানুষের বাড়িতে কাজ করে যে অর্থ পায় তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে দিন চলে। শীতবস্তের অভাবে পৌষের এই শীতে অনেকটা যুবুথুবু হয়ে পড়েছে দুর্গা রানীর পরিবার। কম্বল আর লেপের অভাবে এই শীতে ওই পরিবারটির অনেক রাত কাটছে নির্ঘুমে। হাতে কম্বল পেয়ে খুশিতে আত্মহারা দুর্গা রানী। বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ও কালের কন্ঠ শুভসংঘের সহযোগিতায় দুর্গা রানীর হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে। শরীরে কম্বল জড়িয়ে আনন্দ অশ্রু ঝরিয়েছেন তিনি। শুধু দুর্গা রানী নয় কম্বল হাতে পেয়ে তাসলিমা বেগম, সায়েরা বেগম, কল্পনা আক্তার, নুপুর, দেলোয়ার হোসেন, হালিম এবং কবির হোসেনসহ অসংখ্য নারী-পুরুষের অনুভুতি ছিল প্রায়াই একই রকম। কম্বল পাওয়ার পর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া-আর্শিবাদ করলেন শতশত শীতার্থ অসহায় মানুষ। কালের কন্ঠ শুভসংঘের পক্ষ থেকে বুধবার বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২০০০ (দুই হাজার) শীতার্থ নারী-পুরুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট শহরের শালতলাস্থ জেলা পরিষদ চত্তরে বুধবার সকালে কম্বল বিতারণের আয়োজন করা হয়। কম্বল বিতারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরজাহান বেগম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মীরা বেগম।

কম্বল বিতারণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দাবি রাখেন অতিথিরা।

জেলা পরিষদ চত্তরে কম্বল হাতে পেয়ে দুর্গা রানী জানালেন, প্রতিবন্ধী স্বামী আর দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে তার সংসার। আমি আর আমার মেয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে যে অর্থ পাই তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করছি। কাজ না থাকলে অনাহারে দিন কাটে। শীত এলে কষ্টের শেষ থাকেনা। কম্বলের অভাবে স্বামী আর ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক রাত জেগে কাটাতে হয়। এই কম্বল জড়িয়ে রাতে ভালভাবে ঘুমাতে পারবো। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন এই নারী।

কম্বল শরীরে জড়িয়ে তাসলীমা বেগম জানালেন, একবছর বয়সী ছেলে আর ছয়বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। নিশাগ্রস্ত স্বামীর মারধোর আর নির্যাতন সহয্য করতে না পেরে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে এসেছি। শহরের নাগের বাজার এলাকায় একটি ঝুপড়ি ঘর ভাড়া করে সেখানে বসবাস করছে। মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে তার জীবন চলছে। পৌষের এই শীতে কম্বলের অভাবে রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। কম্বল হাতে পেয়ে উৎচ্ছাসিত এই নারী।

বাগেরহাট জেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় নয়শত শীতার্থ নারী-পুরুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, কচুয়া এবং রামপাল উপজেলায় শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতারণ করা হয়েছে।

বিকালে জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্তর কম্বল বিতারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাড়ে ৩০০ শীতার্থদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। কম্বল বিতারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শাহী আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা ছাবুল ও সাংবাদিক জামাল হোসেন বাপ্পা প্রমুখ।

এছাড়া বাগেরহাটের চিতলামারী উপজেলায় পরিষদ চত্বরে ১৫০ জন শীতার্থদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন ন্নেছা।

জেলার মোল্লাহাটে প্রেসক্লাব মোল্লাহাট চত্বরে ১৫০ জন শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতারণ করা হয়। এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদ হোসেন,বিশেষ অতিথি ছিলেন মো. সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি শহিদ মেহফুজ রচা, প্রেসক্লাব মোল্লাহাটের সাধারণ সম্পাদক এম এম মফিজুর রহমান ও সাংবাদিক এসকে শাহীন।

জেলার ফকিরহাট উপজেলার আট্টাকা কেরামত আলী পাইলট মাধ্যমকি বিদ্যালয় মাঠে ১৫০ জন শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতারণ করা হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ প্রধান অতিথি হিসেবে শীতার্থদের হাতে কম্বল তুলে দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম ফকির ও সাংবাদিক মান্না দে।

রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যায়ল মাঠে ১৫০জন শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতারণ করা হয়। এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক লিপন। আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধান শিক্ষক গাজী জাহাঙ্গীর আলম, শেখ রেজাউল কবির, শেখ সাহেনুজ্জামান ও সাংবাদিক হাওলাদার আব্দুল হাদি।

জেলার কচুয়া উপজেলা পরিষদ চত্তরে ২০০ জন শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতারণ করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও সাংবাদিক সুভংকর দাস প্রমুখ।


আরও খবর



চকরিয়ায় মহাসড়কে গণডাকাতি, গুলি বিনিময়, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যারিকেড দিয়ে গণপরিবহনে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টায় মহাসড়কের বরইতলী আলমনগর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ড্রামট্রাকের মালিক ডাকাতের গুলিতে আহত হন। পরে পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হয় প্রবাসীসহ পাঁচজন।

ডাকাতির খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা যায়। এসময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই সোলায়মান খাঁন ও স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন ড্রামট্রাকের মালিক আব্দুল খালেক পুতু (৩০), ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয়- প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও অটোচালক এহসান।

প্রবাসী পরিবার ও সিএনজির যাত্রী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য চিৎকার দিলে ৩০০ গজ অদুরে থাকা হাইওয়ে থানার পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

ডাকাতির শিকার ভুট্টো আরও বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টার পর চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসে। হারবাং আইসি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মহাসড়কের ডাকাতি রোধে হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজে ব্যস্ত তাকে, অন্য কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে আমাকে কে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ডাকাতি সময় কিছু অদূরে হাইওয়ে থানার পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ডাকতের কবল থেকে প্রাবাসী পরিবার ও যাত্রীবাহী বাস উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ বছরের মহাসড়কে এমন ডাকাতি ঘটনা ঘটেনি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী নাদিম কাছে মহাসড়কের ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার জানার পর সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। ডাকাতের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচন

নেই ব্যবসায়িক লাইসেন্স অথচ ভোটার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বহু নাটকীয়তার পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলে ১৪জন, দুলাল-বাবলু-আরমান প্যানেলে ২২জন ও একক প্যানেলে সৈয়দ আব্দুল করিম'র ছবি সম্মিলিত তালিকা প্রকাশ করে ৩টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিলো।

কিন্তু শনিবার (১৩ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচনের তারিখ পেছানোর জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছিলো আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলটি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ান। সে সময় ভোটের মাঠে থাকার কথা জানালেও সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তারা ভোট বর্জন করেন। সেই সাথে একক প্রার্থী সৈয়দ আব্দুল করিম ও বর্জন করেন। ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই অংশ নিয়েছে দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল। তবে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

এবারের নির্বাচনে ৫ হাজারের অধিক ভোটারের মধ্যে অনেকেরই ব্যবসায়িক লাইসেন্স (ট্রেড লাইসেন্স) নেই, অথচ ভোটারের লাইনে দাড়িয়ে ভোট প্রদান করছে এমন ভোটারের সংখ্যাও কম নয়। প্রশ্ন ওঠে নির্বাচনের নামে চেম্বারে হচ্ছে টা কি?।

সদরের জগন্নাথপুর থেকে ভোট দিতে এসেছেন মোটরসাইকেল মেকানিক এক ভোটার। নিজস্ব বৈধ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারেননি, নেই ট্রেড লাইসেন্স। তবে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে ভোট দেন তিনি। এই ভোটার জানান, মুঠোফোনে তাকে জানানো হয়েছে তিনি চেম্বারের ভোটার। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হিমাগারে কাজ করে এমন শ্রমিকদের একাংশকে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করে এমন ব্যক্তিও ভোটার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিমাগারে কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, আমি হিমাগারে কাজ করি। কিন্তু আমার বংশ পরম্পরায় ব্যবসায়ী। তাই আমি চেম্বারের ভোটার। আমার হিমাগার মালিক আমাকে এমন সুযোগ করে দিয়েছেন। ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করা এক ব্যাক্তি ভোট প্রদান করে জানালেন তিনিও মোবাইলে জানতে পেরেছেন ভোটের কথা। এর আগে এলাকার এক ছোট ভাই তার থেকে আইডি কার্ড আর ছবি জমা নিয়েছিলেন।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন দুলালি আক্তার। নিজ বাড়িতে তার একটা দুলালি ফার্মেসি নামের প্রতিষ্ঠান আছে। যার ট্রেড লাইসেন্স আর ড্রাগ লাইসেন্স কোনটিই মনে নেই তার। তিনি বলেন, মামা হিমাগারে ম্যানেজার। তিনি ভোটার হতে সাহায্য করেছেন।

জাতীয় তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও সদস্য সচিব মো: মাহবুব আলম রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ১২ বছর পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এখানে সাধারণ শ্রমিক সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ভোটার হয়েছে। অনেকেই আছে যারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। তাহলে অন্য যে প্যানেলটি অভিযোগ করেছে নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা হয়নি। সেটার প্রমাণ পাওয়া গেলো। এই নির্বাচনে ব্যবসায়িরা তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে।

এব্যাপারে  ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনী বোর্ডের আহ্বায়ক সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রার্থী অভিযোগ করছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট তা জানানোর সুযোগ ছিল। নির্ধারিত সময়ে আপিল কর্তৃপক্ষ বরাবর ভোটার তালিকা নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা নিষ্পত্তি হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর অভিযোগ করায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।

ভোটের মাঠে একক ভাবে লড়াই করেছেন দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল। মোট ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৩৮ জন।


আরও খবর



ভোটকেন্দ্রে পুলিশকে মারধর, ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের ছবি তুলতে যাওয়ায় এক সাংবাদিককেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের (আনারস প্রতীক) সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকে মারধরের ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ১ নম্বর ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি গুলজার হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের পাশেই কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। দোকানগুলোর সামনে বেশ কয়েকজন আনারস প্রতীকের সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ তাদেরকে দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর শুরু করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরও বলেন, সেই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তারা আমার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ পরে ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করে পুলিশের মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

হামলার শিকার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা বলেন, তারা অযথাই তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে শুধু দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেছিলেন তিনি। তবে তারা কার সমর্থক তা বলতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিরুল ইসলামের সমর্থক মনিরুল হক মিঠু বলেন, এক কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এত কী কাজ? সাংবাদিকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। সাংবাদিকদের সেন্টারে বেশিক্ষণ থাকার দরকার নেই। তিনি সব সাংবাদিককে কেন্দ্র চলে যেতেও বলেন।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গজারিয়ার উপজেলায় মোট ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৬ জন ভোটার রয়েছেন। ৬০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।


আরও খবর



৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, ডুবলো সংযুক্ত আরব আমিরাত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দেশটিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৪৯ সালের পর থেকে দেশটি কখনোই আর এতো বৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেনি।

প্লাবিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেক এলাকা। তলিয়ে গেছে দুবাইয়ের প্রধান সড়কগুলো। এমনকি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু অংশও পানির নীচে চলে যায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে আল শাকলা এলাকায়। আল আইনের ওই অঞ্চলটিতে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে একক অঞ্চল হিসেবে শুয়াইব স্টেশনে ২৮৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিলো। এই অবস্থায় বিপর্যয় এড়াতে পরিবারের সব সদস্যদের একসাথে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

সামনে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর। তারা জানিয়েছে, আবহাওয়ার রেকর্ড লিপিবদ্ধ করার পর থেকেই এ পর্যন্ত এবারই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও গাছপালাও ভেঙে পড়েছে।

এমন বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেড়েছে। সেই সাথে দেশটির মাটির অভ্যন্তরের পানির রিজার্ভের পরিমাণও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।


আরও খবর