আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাবার মৃত্যুর শোক সামলে চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে শেষের এই কৃতিত্ব পুরোটাই খুলনার ডানহাতি পেসার শহীদুল ইসলামের। যিনি শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে খরচ করেন মাত্র ৪ রান। যা নিশ্চিত করে দলের জয়।

শিরোপা জয়ের জন্য ম্যাচের শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল চট্টগ্রামের। শহীদুলের করা সেই ওভারের প্রথম পাঁচ বলে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি চট্টগ্রাম, উল্টো হারায় দুই সেট ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক সৈকত ও সৈকত আলির উইকেট। শেষ বলে ছক্কা হাঁকান নাহিদুল। কিন্তু এটি শুধুমাত্র পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনও কাজেই আসেনি।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বীরোচিত ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর বল হাতে যেমনটা দরকার ছিল, ঠিক তেমন পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছেন আলআমিন হোসেন, হাসান মাহমুদ, শহীদুল ইসলামরা। চট্টগ্রাম ইনিংসের ১৯ ওভার শেষে সমীকরণ যখন ৬ বলে ১৬, তখন শহীদুলের হাতেই বল তুলে নেন খুলনা অধিনায়ক এবং জিতে নেন ম্যাচ।

শহীদুল নিজেও চেষ্টা করেছেন বাবার মৃত্যুর শোক সামলে ভালো কিছু করতে। ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে দলকে জেতানোসহ ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উইকেট। সবমিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। সবশেষ বিপিএলে ১৩ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে তিনি ছিলেন পঞ্চম সেরা উইকেটশিকারি।


আরও খবর



হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অনেক জায়গাই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাপদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়) এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গরমে সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল বয়স্ক এবং বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।

আজ হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনের সঙ্গে মিটিং করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কয়েকটা নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে একটা হলো-বয়স্ক এবং বাচ্চারা প্রয়োজন ছাড়া যেন বাসার বাইরে না যায়। হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তি করতে না করেছি। কোল্ড কেস অর্থাৎ এক মাস পর অপারেশন করলে অসুবিধা না হয়, সেটা দুই সপ্তাহ পরে করুক। হাসপাতাল খালি রাখার জন্য বলছি যে যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গেতো আমাদের কারো হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিশুদের ব্যাপারে সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে আজ থেকে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা জানান, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এমভি জাহান মনি-৩।

এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি।

পরে ২৩ নাবিককে বরণ করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় নাবিকদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। বন্দরে পৌঁছার পর সেখানে উপস্থিত সকলের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান নাবিকরা। বন্দরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে নাবিকদের রওনা দেয়ার কথা।

এর আগে, দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি জাহান মনি-৩। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে ভিড়ে। সেখানে চলছে চুনাপাথর খালাস কার্যক্রম। এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছে নতুন ২৩ নাবিক।

এর আগে, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা পরিবহন করে আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ১৪ এপ্রিল ভোরে মুক্তিপণ পাওয়ার পর জলদস্যুমুক্ত হয় জাহাজটি।

পরে জাহাজটি ২২ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে কয়লা খালাসের পর আরেকটি বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করার পরে জাহাজটি ৩০ এপ্রিল ভোরে আরব আমিরাত ত্যাগ করে।


আরও খবর



শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।

এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে ওইদিন প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল আটজনে।


আরও খবর



নজরুল গবেষণায় প্রণোদনা পেলেন আলমগীর হোসেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ইনিস্টিউট অব নজরুল স্টাডিজ থেকে নজরুল গবেষণার জন্য প্রণোদনা পেয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন।

৯ মে (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বিকেলে জয়ধ্বনি মঞ্চে অনুষ্ঠিত ২য় গবেষণা মেলায় তাঁর হাতে প্রণোদনা চেক তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক এবং বর্তমানে ইনিস্টিউট অব নজরুল স্টাডিজ এর পরিচালক ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ইনিস্টিউট অব নজরুল স্টাডিজ এর অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনাম (রাশেদ আনাম), ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

জানা যায়, "নির্বাচনে নজরুল: লেখকসত্তা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ" শিরোনামে আলমগীর হোসেন গবেষণা করবেন। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো: রাকিবুল ইসলামের তত্ত্বাবধায়নে তিনি এ গবেষণা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

এ সম্পর্কে তরূণ নজরুল গবেষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমাকে গবেষণা প্রণোদনা প্রদানের জন্য ইনিস্টিউট অব নজরুল স্টাডিজ এর পরিচালক ও স্মার্ট নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রুপকার  উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর স্যারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর্থিক প্রণোদনায় এবারই প্রথম গবেষণা করছি। প্রথম গবেষণাটি বিদ্রোহী কবিকে নিয়ে করছি বলে আমাকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করছি। আমার এই গবেষণায় নজরুলের নির্বাচন নিয়ে নতুন তথ্য উঠে আসবে যা নজরুল প্রেমিদের আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করছি। সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি আগামীতেও যেন নজরুল গবেষণায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর