আয়ুর্বেদিক ওষুধের
আড়ালে মাদক মেশানো পানীয় উৎপাদন ও বিক্রয়ের অভিযোগে মূলহোতাসহ ৬ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন
এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক ও যৌন উত্তেজক
মেশানো পানি। (২৪ আগস্ট) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার র্যাবের-২
এর একটি দল রাজধানীর নারিন্দায় অবস্থিত কারখানা, কামরাঙ্গীরচর, কাটাবন, নাজিরা বাজার,
গুলিস্তান, পুরান ঢাকার বিভিন্ন আউটলেটে অভিযান পরিচালনা করে। আয়ুর্বেদিক ওষুধের আড়ালে
মাদক মেশানো পানীয় উৎপাদন ও বিক্রয়ের অভিযোগে মূলহোতা মো. ওয়াজেদ ইসলাম শান্তসহ ৬ জনকে
বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। জব্দ করা হয় সাড়ে ৩ হাজার বোতলসহ মাদক মিশ্রিত পানি
ও সরঞ্জামাদি।
প্রাথমিকভাবে
জানা গেছে, তারা ফার্মেসির নামে লাইসেন্স নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আয়ুর্বেদিক ওষুধ
বিক্রির আড়ালে মাদক ও যৌন উত্তেজক মেশানো পানীয় প্রস্তুত ও বিক্রি করে আসছিল। এসব প্রতি
বোতলের দাম ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। তার ২ থেকে ৩ বছর ধরে নেশা জাতীয় দ্রব্য উৎপাদন
ও বিক্রয় করতো। রাজধানীর বিভিন্ন আউটলেট হতে প্রতিদিন তিন থেকে চারশ’ বোতল বিক্রয় হতো বলে জানা গেছে।
ফ্ল্যাট বাসা
ভাড়া নিয়ে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। বিভিন্ন সময়ে ঠিকানা পরিবর্তন করতো।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
র্যাব জানায়,
কামরাঙ্গীচরে খোলা মোরা জায়গায় একটি দোকানে আয়ুর্বেদিক ওষুধের আড়ালে মাদক মেশানো পানি
বিক্রি করা হচ্ছিল এমন অভিযোগ আসে। এরই ভিত্তিতে র্যাব-২ গোয়েন্দা দল আয়ুর্বেদিকের
দোকান থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে এবং তা পরীক্ষাগারে পাঠায়। এতে গাজা, ইয়াবা, ড্যান্ডি তৈরিতে
ব্যবহৃত টলুইন নামক নামক ‘ক’ শ্রেণির মাদকের
উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব গ্রহণ করলে কিডনিসহ শরীরের নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্তের
শঙ্কা রয়েছে।