২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন
(কেসিসি) নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন ৮ হেভিওয়েট
কাউন্সিলর। এর মধ্যে মহানগর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন
দায়িত্বও পেয়েছেন তাদের কেউ কেউ। তবে গত সোমবার (১২ জুন) অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে
হেভিওয়েট সেই কাউন্সিলরদের পাঁচজনই পরাজিত হয়েছেন।
অন্যদিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত
অমান্য করে ভোটে অংশ নেওয়ায় ৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করে বিএনপি। সে হিসেবে দুই কূলই
হারালেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আজীবন বহিষ্কৃত সদস্য সদ্য হেভিওয়েট কাউন্সিলর
আশফাকুর রহমান কাঁকন ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার। বিএনপির
ভোট ব্যাংক বলে খ্যাত এসব এলাকায় বিগত দিনে আওয়ামী লীগ কখনই জিততে পারেনি।
আরও পড়ুন<< কেসিসি নির্বাচনে কাউন্সিলর হলেন যারা
সূত্রমতে, খুলনার রাজনীতিতে বিএনপির ভোট
ব্যাংক বলে খ্যাত ওয়ার্ডগুলোতে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে নিয়ামক
হিসেবে কাজ করে। সর্বশক্তি নিয়েও প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থীরা বার-বার পরাজিত হন। এসব বিষয়
মাথায় নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এসব ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দলে ভেড়ানো
হয়। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন অধিকাংশই।
আওয়ামী লীগে যোদানকারী কাউন্সিলররা হলেন-
২ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিকবার বিজয়ী মো. সাইফুল ইসলাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামসুদ্দিন প্রিন্স,
৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের বিজয়ী সুলতান মাহমুদ পিন্টু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ডালিম
হাওলাদার, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দুইবারের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনি, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের
চারবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাস, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ বারের
নির্বাচিত কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচবারের নির্বাচিত
কাউন্সিলর শেখ গাউসুল আযম। এরমধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামসুদ্দিন প্রিন্স,
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ গাউসুল আযম ছাড়া
বাকিরা পরাজিত হয়েছেন। তবে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজুল হাসান রাজু ১৮
নম্বর ওয়ার্ডে এবং জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সদস্য সচিব জাকির হোসেন বিপ্লব ১৯ নম্বর
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দুজনেই এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন<< বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর হলেন যারা
অন্যদিকে গত ৩ জুন বিএনপি থেকে আজীবন বহিস্কৃতরা
হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন ও আশফাকুর রহমান
কাকঁন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মো. মাহবুব কায়সার, সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ
আমান উল্লাহ আমান, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
মাজেদা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুশফিকুস
সালেহীন পাইলট, মহানগর তাঁতী দলের যুগ্ম-আহবায়ক দেলোয়ার মাতুব্বর ও সাবেক ছাত্রদল নেতা
ইমরান হোসেন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র মাজেদা খাতুন ব্যতীত কেউ নির্বাচিত হতে পারেননি।