আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আওয়ামী লীগ অন্যের শক্তি দেখে বিচলিত হওয়ার দল নয়: হানিফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ কখনো অন্যের শক্তি সামর্থ্য দেখে বিচলিত হওয়ার দল নয় উল্লেখ করে দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী দল। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে।

মঙ্গলবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ একটি বটগাছ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বটগাছকে ছোটখাটো ধাক্কা দিয়ে কিছু করা যায় না। জনগণ যতদিন চাইবে আওয়ামী লীগ ততদিনই ক্ষমতায় থাকবে।

হানিফ আরো বলেন, বহুবার বিএনপির তর্জনগর্জন শুনেছে দেশের জনগণ। কিন্তু সেই তর্জনগর্জন জনগণ আমলে নেয়নি। সুতরাং জনগণ যতদিন চাইবে, আওয়ামী লীগ ততদিনই ক্ষমতায় থাকবে।

ক্ষমতা হস্তান্তর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হওয়ার পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের রেকর্ডও আওয়ামী লীগের আছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইলেকশন কমিশনের কর্মকাণ্ডও গ্রহণযোগ্য ছিল।

বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের কথা তুলে ধরে হানিফ বলেন, শিশুরা হচ্ছে ফুলের বাগানের মতো। শিশুদের মন থাকে কোমল। সেই কোমলমতি হৃদয়ে তাকে ধারণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে- এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

এ সময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাব জর্জ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফারুকউজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু ও মাযহারুল আলম সুমন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

স্বাধীনতার এতদিনেও দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সে পথেই বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু নিরলস চেষ্টা করতে থাকেন। কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে। সব ধরনের উন্নয়ন থমকে যায়। সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা করার পরিবর্তে পশ্চাৎপদ হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার পর ফের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ফিরে এসেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাল-সবুজ পতাকার যে অভিষ্ট লক্ষ্য, তা পূরণ হওয়ার পথে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি পরপর ক্ষমতায় থাকার কারণে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে বড় ধরনের সফলতা এসেছে। এই সফলতা পূর্ণাঙ্গতা পাবে যদি আমরা সুশাসন দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি দমন করে আরও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি। তবেই আমরা স্বাধীনতার পরিপূর্ণ সাফল্য পাবো।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারাই স্বাধীনতার ঘাটতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের অর্জন আকাশসম। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যেতে পারছি। কিন্তু দুর্নীতি, অনিয়ম স্বমূলে উৎপাটন করতে পারিনি। স্বাধীনতার এত বছরেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি স্বমূলে উৎপাটন করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে আমি মনে করি, কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

সুশাসনের স্বার্থেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। জনগণ যেন তার সব স্তরের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে। এটিকে নিশ্চিত করা দরকার। কারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করতে পারবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক দুর্নীতিবাজের সাজা হচ্ছে। কিন্তু সুকৌশলে দুর্নীতির ফের বিস্তার ঘটছে। দুর্নীতি কমছে না এটিই আমাদের জাতি হিসেবে লজ্জার।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



২০ দিনে আড়াই হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসে কার্যকর করা অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নথিবিহীন ২ হাজার ৫৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। গত ১ মার্চ দেশটিতে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ থেকে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চালু করেছে মালয়েশিয়া। এই কর্মসূচির আওতায় গত ২০ দিনে ১১ হাজার ৯৪৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি আছেন ২ হাজার ৫৩০ জন।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৮২৪ জন নথিবিহীন অভিবাসী নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। নিবন্ধনকৃতদের মধ্যে ১২ হাজার ৪৯৫ জন পুরুষ, ৩ হাজার ৭২৮ জন নারী, ৩১০ জন তরুণ এবং ২৯১ জন তরুণী রয়েছেন।

দেশটির এই কর্মকর্তা বলেন, কর্মসূচিতে অবৈধ অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক নিবন্ধনের রেকর্ড করেছেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা। ৭ হাজার ৭৮২ জন ইন্দোনেশীয় দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

তিনি বলেন, এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ২ হাজার ৫৩০ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। এরপরই ভারতের ২ হাজার ৪৫৪ জন এবং পাকিস্তানের এক হাজার ৬১৭ জন নাগরিক কর্মসূচিতে নিবন্ধন করেন।

রুসলিন বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্তত ৯৪ জন তাদের নিয়োগকর্তার মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। তাদের সবাইকে চাকরির নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‌‌আমরা এই কর্মীদের কাউকে আটক করিনি। আমরা তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা দিয়েছিলাম। কারণ তারা অভিবাসন আইনে কোনও অপরাধ করেননি। নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশি এই কর্মীদের সাথে প্রতারণা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



রক্ষণাবেক্ষণের কাজ স্থগিত, ইন্টারনেট পরিষেবা থাকবে স্বাভাবিক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্তকারী সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবল সিস্টেম (সি-মি-উই-৪) সিঙ্গাপুর অংশের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট পরিষেবা যথারীতি চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে কনসোর্টিয়াম ২ মার্চে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল। তবে এই সময়ে অন্যান্য কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়ায় সি-মি-উই-৪ এর রক্ষণাবক্ষেণের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তাই ২ মার্চে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)-এর সব সার্কিট যথারীতি চালু থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের ব্যাপারে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত পুনরায় গ্রহণ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আবারও আগাম জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সি-মি-উই-৪ এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২ মার্চ সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩, আহত ১২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

গত ১১ মার্চ মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তালেবান কর্মকর্তারা কয়েকটি বিস্ফোরণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল হলেও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কয়েক দশক ধরে তালেবান আন্দোলনের শক্ত ঘাঁটি কান্দাহার শহরে বসবাস করছেন।

কান্দাহার প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ইনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, একটি আত্মঘাতী হামলায় তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে কান্দাহার শহরের নিউ কাবুল ব্যাংকের শাখার বাইরে অপেক্ষমাণ একদল লোককে লক্ষ্য করে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

তিনি বলেন, মানুষজন সেখানে বেতন নিতে জড়ো হয়েছিলেন।


আরও খবর



বিচ্ছেদের প্রশ্নে যা জানালেন জয়া

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। ভারতীয় গণমাধ্যমের ওই সাক্ষাৎকারে তার অভিনয়ে আসা, অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা, নাটক ছেড়ে বড় পর্দায় নাম লেখানো, দুই বাংলায় বিভিন্ন চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এ সময় তাকে বিচ্ছেদ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।

ফিল্মফেয়ারের ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। গত বছর তিনি কড়ক সিং’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে বলিউডে নাম লিখিয়েছেন। তিনি নারী চরিত্রটিকে অনন্য এক মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছেন। তার অভিনয়দক্ষতা হিন্দি সিনেমার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।’

এতে আরও বলা হয়, তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার, ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক বিদেশি পুরস্কার যেমন ঝুলিতে ভরেছেন, তেমনি ছয়বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।’

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জয়াকে প্রশ্ন করা হয়, এর আগেও বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কি? জয়া জানান, বেশ কিছু কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কড়ক সিং’ দিয়ে শুরু করা তার কাছে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে। ছোট হলেও চরিত্রটির নানা স্তর তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

অভিনয় শুরুর দিকে জয়ার তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে সৃষ্টিশীল মাধ্যমে কাজ করার অদম্য ইচ্ছা ছিল।

জয়া আরও জানান, তিনি পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিলেন। পাশাপাশি গান ও ছবি আঁকায় আলাদা মনোযোগ ছিল। আবার শৈশব থেকে অভিনয়ও তাকে টানত। কিন্তু তার পরিবারের কারও সঙ্গে মিডিয়ার কোনও যোগসূত্র ছিল না। অভিনয়ের স্কুলেও তার পড়া হয়নি। নিজের মতো করেই একটু একটু করে অভিনয়ের পথে পা বাড়ান। যদিও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা এ এস মাসুদ চাইতেন, মেয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করুক। কিন্তু সেদিকে জয়ার আগ্রহ ছিল না।

ক্যারিয়ার নিয়ে নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে ওই সাক্ষাৎকারে। পরবর্তী সময়ে তার বিবাহবিচ্ছেদ এবং পরে কাজের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় জয়া আহসান বলেন, উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা যুদ্ধের মতো। সেই সময়ে আমার মানসিক ধারণাটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে দৃষ্টি ঘোরাই। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। এমনকি ফোকাস থেকেও সরে যায়। কিন্তু আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। যে কারণে আমি কাজকেই ভালোবেসেছি। আমি কখনওই কাজ থেকে দূরে সরিনি। আমি আমার এই যাত্রাকে ভালোবাসি। এর মধ্য দিয়েই মানুষ আমার প্রশংসা করেন, আমি কাজকেই সম্মান করি।’


আরও খবর