বিশ্বব্যাংক প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোকচিত্র
প্রদর্শনী বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্য তুলে ধরেছে। যা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বৈশ্বিক
ঋণদাতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি আশা করি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য আমাদের
উৎসাহব্যঞ্জক যাত্রায় বিশ্বব্যাংক আমাদের সঙ্গে থাকবে। আসুন আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের
জন্য যৌথ আস্থার চেতনায় একসঙ্গে কাজ করি।
আরও পড়ুন: সৌদি যেতে আর প্রয়োজন হবে না স্টিকার ভিসার
সোমবার (১ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংকের
প্রিস্টন অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড
ম্যালপাসের সঙ্গে যৌথভাবে ৫০ বছরের বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্ব উপলক্ষে আয়োজিত
আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। তারা প্রদর্শনীর কিছু অংশ ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে
বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা লোকদের উন্নয়নের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশকে
একটি সহনশীল ও সমৃদ্ধ ভূমিতে পরিণত করার জন্য আমাদের সরকারের সংকল্পের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: সরকার শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির
লক্ষ্যে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করার জন্য বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের
ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমাদের অভিন্ন শত্রু হচ্ছে
দারিদ্র্য ও ক্ষুধা । আমরা এগুলো কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মনে করেন এ ফটো
প্রদর্শনী একসঙ্গে কী অর্জিত হয়েছে এবং কি কাজ রয়ে গেছে তা স্মরণ করিয়ে দেবে। প্রধানমন্ত্রী
বলেন, প্রদর্শনীটি সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্বও তুলে ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান আমাদের দুস্থ মানুষের মধ্যে যে ধরনের হাসি দেখতে চেয়েছিলেন এ প্রদর্শনীতে
তা প্রতিফলিত হচ্ছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে
পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে
সেক এবং তার এসএআর ভিপি মার্টিন রাইসার ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।