আজঃ সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আশুগঞ্জে চারলেন সড়ক পরিদর্শনে ভারতীয় হাই কমিশনার

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দর এবং আখাউড়া স্থল বন্দর পরিদর্শন করেছেন। সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ পৌছে আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমাদের প্রচেষ্টা মূলত এই উন্নত যোগাযোগ পরিকাঠামো ব্যবহার করে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক গতিশীলতা, জনগণের সুযোগ সুবিধা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ইত্যাদিকে আরও সুবিধাজনক করা যা গত কয়েক বছর ধরে আমাদের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হয়েছিল।

আমি মনে করি এই প্রকল্পগুলি যোগাযোগ ব্যবস্থার রূপান্তরকে সহজতর করে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তাই আমরা আশাবাদী এবং আমরা কিছু সমস্যার সমাধান করতে এসেছি যা প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিলম্ব করছে। আমরা আশা করি আমরা বাংলাদেশী স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমর্থন পাব এবং তারা প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হবে। যত তাড়াতাড়ি আমরা এই প্রকল্পগুলি তৈরি করব, তত দ্রুত সুফল আসবে। এটাই আমাদের এই সফরের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে যা ভারতের কাছ থেকে ক্রেডিট নিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমি আশুগঞ্জ বন্দর থেকে আখাউড়া-৪ লেন সড়কের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসেছি যা ভারত থেকে ঋণের আওতায় নির্মিত হচ্ছে। আমরা সফল হয়েছি এবং দ্রুত অবকাঠামো দিতে পারলে এই প্রকল্প থেকে জনগণ উপকৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, আশুগঞ্জ বন্দরের জন্য কিছু ভবিষ্যত প্রকল্প রয়েছে যা ৪ লেন সড়কের মূল পয়েন্টে পরিণত হবে। এর ফলে আমাদের ব্যবসা আরো সহজ হবে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে যা এই দুই দেশের জনগণের জন্য ভাল। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর আমাদের প্রকল্পগুলোতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে যেমন- রাস্তা, রেললাইন, নদীপথ আরো অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা।

পরিদর্শনকালে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেন মহাসড়ক প্রকল্পের পরিচালক শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক খালেদ সাহিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আরও খবর



রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতালে যাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধীদের ডাকা তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হচ্ছে শুক্রবার সকাল ৬ টায়। এবারের অবরোধ কর্মসূচিতে খুব একটা সক্রিয় হতে পারেনি বিরোধী দলগুলো। তাই কর্মসূচির ধরনে এবার পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দল ও জোটগুলো।

বিএনপি ও দলটির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার কর্মসূচি থাকবে না। এরপর ১২ ও ১৩ তারিখ হরতালের কর্মসূচি পালন করা হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিএনপিসহ বিরোধীরা যে যার অবস্থান থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেবে।

তবে কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, বিকেলে আমাদের দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তখন জানতে পারবেন।

নতুন কর্মসূচির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, নতুন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। সবকিছু বিবেচনা নিয়ে আমরা কর্মসূচি দেবো। অবরোধ-হরতালসহ আরও নানা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। 

বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, সরকার আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই হিসেবে বিরোধী দলগুলোর হাতে খুব বেশি সময় নেই। বড় জোর ৬-৭ দিন সময় আছে। তাই এর মধ্যে সরকারকে বড় একটা ঝাঁকুনি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, সেটা কিভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। যদিও সরকার ইতোমধ্যে সেটা বুঝে গিয়ে বিএনপিসহ বিরোধীরা যেন মাঠে দাঁড়াতে না পারে তার জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে। ইতোমধ্যে বিএনপির প্রায় শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি মাঠের সক্রিয় ও তৃণমূল নেতাদেরও গ্রেফতার করছে।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পরও প্রতিটি নেতাকর্মী কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রমাণ করে বিএনপি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সরকার যতই চেষ্টা করুক বিএনপিকে ভাঙতে পারবে না।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছেন, বর্তমানে দেশের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তা থেকে বের হয় আসতে হলে সরকারকে তার উদ্যোগ নিতে হবে। এখানে বিএনপির কিছু করার নেই। তাছাড়া বিএনপি তো এখন কারাগারে ও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন সরকার যদি কোনো উদ্যোগ না নেয় তাহলে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে।

এদিকে গত ১৩ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে। কার্যালয়ের গেটে পড়ে আছে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া চিঠিসহ বিভিন্ন চিঠি। আর প্রতিদিনের মতো আজও দলটির কার্যালয়ে দুই পাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এ সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৪৫ জন রোগী।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৪৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৪ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৯১ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৮৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার হাসপাতালে ১ হাজার ৫০ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ২ হাজার ৭৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৬ হাজার ৬৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫৯ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ৬ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭০৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ জন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯২২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৬১ জন।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ১

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বালুয়াকান্দি অংশে জৈন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আব্দুল রউফ নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আব্দুর রউফ পথচারী ছিলেন। তিনি গজারিয়া উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয় বলে স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশের সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে জৈনপুর পরিবহন নামের বাসটি কুমিল্লা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসটি গজারিয়ার বালুয়াকান্দি এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে পথচারীর মৃত্যু হয়। বাস খাদে পড়ে আহত হয় অন্তত ২০ জন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আহতদের গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গজারিয়া উপজেলা ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক জানান, সকালে কুমিল্লা থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে জৈনপুর পরিবহন নামের বাসটি ঢাকার অভিমুখে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে ভাটেরচর এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় রাস্তা পাশে হাঁটতে থাকা বৃদ্ধ পথচারী আব্দুর রউফকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময়ে বাসে থাকা একযাত্রীর পা বিচ্ছিন্নসহ আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ইসলামী আন্দোলনের চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে কাজ না হওয়ায় চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

চার দফা কর্মসূচি হলো-

১. নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।

২. তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারা দেশে প্রতিটি জেলা এবং মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল ।

৩. আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সব কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।

৪. জাতীয় সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

ইসলামী আন্দোলনের আমির রেজাউল করীম বলেন, একজন নেতা ও একটি দলের কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। 

আরও পড়ুন>> আজও নেতাকর্মীশূন্য বিএনপি কার্যালয়, পাহারায় পুলিশ

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার লোভে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।


আরও খবর



নির্বাচনের জন্য ইসির প্রয়োজন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন করতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে, যা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাব অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনায় ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ব্যয় হবে ৬০০ কোটি টাকা।

ব্যাপকভাবে জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের দামের বেড়ে যাওয়ায় ব্যয়ের এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সম্প্রতি বলেন, ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছে। তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছে এবং কতজন সদস্য মোতায়েন করা হবে তা উল্লেখ করেছে।

এর আগে পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও কোস্টগার্ড নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রায় ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা দাবি করেছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হার অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে।

পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তা, ২ হাজার ৩৫৫ জন কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৭ হাজার বিজিবি সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর মোট ৭ লাখ ৪৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হবে। তবে বাহিনী কতদিন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬৫ কোটি টাকার প্রয়োজন ছিল। নবম সাধারণ নির্বাচনে ১৬৫ কোটি টাকা, অষ্টম নির্বাচনে ৯৫ কোটি টাকা, সপ্তম নির্বাচনে ৭১ কোটি টাকা, পঞ্চম নির্বাচনে ২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, চতুর্থ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, তৃতীয় নির্বাচনে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা, দ্বিতীয় নির্বাচনে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ৮১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয় করে ইসি।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন কমিশন

আরও খবর