ভারতের আসাম রাজ্যে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট
পাহাড়ি ঢলে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা রেলের কয়েকটি বগি উল্টে গেছে। রাজ্যের দিমা হাসাও
জেলার হাফলং রেলওয়ে স্টেশনে আজ এই ঘটনা ঘটেছে। বন্যার কারণে রাজ্যের ২০ জেলার রেলযোগাযোগ
ব্যাহত হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মিনিট
তিনেকের একটি ভিডিওতে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত রেলের চিত্র উঠে এসেছে। রেলস্টেশনের পদচারী–সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে
থেকে ওই ভিডিওটি করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাত্র কয়েক মিনিটের
মধ্যে গোটা হাফলং স্টেশন প্লাবিত হয়। রেললাইনে ট্রেন দাঁড়িয়ে না থাকলে বোঝার উপায় ছিল
না যে এটি কোনো রেলস্টেশন। চারপাশে কাদাপানি যেন থইথই করছে। এর মধ্যেই নেমে আসে কাদাপানির
ঢল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভিডিও চিত্র ধারণ করা ব্যক্তি। এ সময় বৃষ্টিও ঝরছিল। মেঘলা আকাশ
প্রকৃতিতে যেন জেঁকে বসেছে। হঠাৎ কাদাপানির ঢলে পুরো চেহারাই বদলে গেল স্টেশনের।
কয়েক মিনিটে চারপাশ যেন একটা স্রোতস্বিনী
চেহারা ধারণ করে। এর মধ্যেই গাছ, কাঠ, ধ্বংসস্তূপ ঠেলে নিয়ে স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকা
একটি গোটা ট্রেনের ওপর আছড়ে পড়ে কাদাপানির ঢল। এ সময় রেললাইনে দুটি ট্রেন দাঁড়িয়ে
থাকতে দেখা যায়। পানির ঢলে একটি ট্রেনের অনেক বগি দুলতে দুলতে উল্টে যায়।
বন্যায় ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয়
প্রদেশটির বাজালি, বাকসা, কাছাড়, চরাইদেও, দারাং, ধেমাজি, দিব্রুগড়, দিমা হাসাও,
কামরূপ, কার্বি আলং, নওগাঁও, শোনিতপুর, মাজুলি ও হোজাইসহ ২০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে আসামের ৬৫২টি গ্রামের অন্তত দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢলে রেলের বগি উল্টে যাওয়ার পর স্টেশনে
অপেক্ষমাণ যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা চালায় ভারতের নর্থইস্ট ফ্রন্টেয়ার রেলওয়ে। এক টুইটবার্তায়
তাঁরা উদ্ধার অভিযানের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে। টুইটে লেখা হয়েছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের
ত্বরিত পদক্ষেপের কারণে দিতোকচেরায় লাইনচ্যুত ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া
সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারকাজে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়।