আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আরশোলার বিয়ারই সবচেয়ে জনপ্রিয় জাপানে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছুটি উদ্‌যাপনের একটি বড় অংশ জুড়ে অনেকসময় থাকে ঠান্ডা বিয়ার। সেই বিয়ারের তালিকায় আকছার থাকে ডার্ক বিয়ার, জার্মান বক, পোর্টার, হুইট বিয়ার ইত্যাদি বিয়ারের রকমারি সম্ভার। তবে জানেন কি, বিয়ারের এই তালিকায় আছে আরও একটি বিয়ার আরশোলার বিয়ার। শুনেই আঁতকে উঠলেন নিশ্চয়। শরীরও খানিক ঘিন ঘিন করে উঠল। তবে জাপানের মানুষ কিন্তু আরশোলার বিয়ারে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দবোধ করেন। জাপানে এই আরশোলার বিয়ার তৈরি হয় কঞ্চুটক বা পোকা টক দিয়ে।

এই আরশোলার বিয়ার তৈরি করতে প্রথমেই বিভিন্ন কৌশলে আরশোলাগুলিকে বাক্সবন্দি করা হয়। তারপর জীবন্ত আরশোলাগুলিকে গরম জলে ফুটিয়ে তিন থেকে চারদিন রেখে দেওয়া হয়। তিন-চারদিন পর তেলাপোকা থেকে রস বার করে পানীয়তে পরিণত করা হয়।

বিশেষ করে পুরুষ তাইওয়ানি আরশোলা জাপানে খুবই সুস্বাদু বলে মনে করা হয়। এমনকি তা ফল হিসাবেও খেয়ে থাকেন জাপানের মানুষ।

জাপানে এই প্রতি বোতল আরশোলা বিয়ারের দাম ৪৫০ ইয়েন (প্রায় ৩০০ টাকা)। এই বিয়ারটি জাপানে কাবুতোকামা নামে পরিচিত। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে জাপানে এই আরশোলা বিয়ার খুবই জনপ্রিয়।

নিউজ ট্যাগ: আরশোলার বিয়ার

আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




গায়িকা আঁচলের রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী আঁচল রাঘওয়ানির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের বারানসি এলাকায় রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২২ বছর বয়সী লোকসংগীত শিল্পী আঁচল প্যাটেল ওরফে আঁচল রাঘওয়ানির। বুধবার (০৬ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর প্রদেশের বারানসি এলাকার শিবপুর থানার পক্ষ থেকে আঁচলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।

৫ মার্চ মঙ্গলবারই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে আঁচলের। খবর পেয়েই ছুটে গেছেন তার ভাই বিকাশ। সেদিনই তিনি দাবি করেছেন আঁচলকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তার স্বামীর দিকে।

শিবপুর থানায় আঁচলের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিকাশ। আঁচলের স্বামীর সঙ্গে আরো এক নারীর নাম নিয়েছেন গায়িকার ভাই। ময়নাতদন্তের জন্য আঁচলের মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়।

শিবপুর থানা থেকে জানানো হয়েছে, আঁচলের স্বামী ও একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।

লোকসংগীত শিল্পী আঁচল তার স্বামীর সঙ্গে বারানসির ঢেলওয়ারিয়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। মৃত গায়িকার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার তারা একটি ফোন পান। যেখানে জানানো হয়, আঁচল আর বেঁচে নেই। তিন বছর আগে দীপকের সঙ্গে বিয়ে হয় আঁচলের।

যে ফ্ল্যাটে আঁচল-দীপক থাকতেন, সেখানে প্রায়ই বাইরের লোকজন আসত বলে জানা গেছে। দীপক স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করতেন বলেও জানায় আঁচলের পরিবার। বিয়ের পর থেকেই আঁচল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন, এমনটাও অভিযোগ করা হয়েছে আঁচলের পরিবারের পক্ষ থেকে।

মাত্র ২২ বছর বয়সে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেও অকালে চলে গেলেন আঁচল। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া বিনোদন জগতে।


আরও খবর



ঘর পাচ্ছে ফুটবল কন্যা সাগরিকার পরিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অন্যদের দেওয়া জমির উপর একটি জরাজীর্ণ বাড়ি। ঘর দুটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। আর এ ঘরেই জন্ম সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলার মোসাম্মাৎ সাগরিকার। একমাত্র ভাই সাগরকে নিয়ে এমনই জীর্ণ কুটিরে বসবাস করে আসছেন সাগরিকার বাবা-মা।

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের হতদরিদ্র চা বিক্রেতা লিটন-আঞ্জুমান দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া সাগরিকাকে পাকা ঘর করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ১০টায় মুঠোফোনে আজকের দর্পণকে রানীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এমন খবরে উল্লসিত তার পরিবার, আত্মীয়স্বজনসহ শুভাকাঙ্খীরা।

তিনি বলেন, উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে অবস্থিত সাগরিকার পরিবারের জরাজীর্ণ বাড়ি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্বান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানে সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বাড়ি ব্যয় নির্ধারণ করে আগামী সাপ্তাহে বাড়ির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

এ দিকে বাড়ি নির্মাণের কথা শুনে উল্লসিত সাগরিকার বাবা বলেন, চা বিক্রি করে ছেলে-মেয়েকে বড় করেছি। অন্যের জমির উপর একটি টিনের ঘরে কোনমতে মাথা গুঁজে থাকি। কখনো ভাবি নাই বাড়ি পাবো। মেয়ের জন্যই এতোকিছু সম্ভব হলো।

সাগরিকার ভাই সাগর আলী বলেন, এখনো খুব কষ্ট করছি। অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারেনি। নিজের বাড়িতে থাকার ঘরে জায়গা না হওয়ায় মাঝে মধ্যে বাবা চায়ের দোকানে থাকি। বোনের জন্য আজ ঘর পাচ্ছি। তাঁর জন্য গর্ব হয়। শুধু আমার নয় পুরো গ্রামবাসীর গর্ব আমার বোন।

এর আগে গত ৩ মার্চ ফুটবল কন্যা সাগরিকার নেই মাথা গোঁজার ঠাই শিরোনামে আজকের দর্পণ মাল্টিমিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

জানা গেছে, সাগরিকার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে। বাবা লিটন আলী আর মা আনজু বেগম। চা বিক্রি করে সংসার চালানো লিটন আলীর পরিবারে অভাব-অনটন যেন নিত্যসঙ্গী। এর মধ্যে মেয়ে খেলতে চায় ফুটবল। সমাজের কটু কথার ভয়ে মেয়েকে ফুটবল খেলতে বারণ করতেন বাবা। কিন্তু মেয়ের আগ্রহ আর জেদের কাছে হেরে যান লিটন আলী।

রাঙ্গাটুঙ্গি একাডেমিতে ফুটবলের প্রথম পাঠ নেন সাগরিকা। একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা তাজুল ইসলাম সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় রাঙ্গাটুঙ্গি একাডেমি থেকে কয়েকজন মেয়েকে ভর্তি নিতে চেয়েছিল বিকেএসপি। কিন্তু সাগরিকা সেখানে গিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। এরপর রাঙ্গাটুঙ্গি থেকেই সাগরিকাকে অনূর্ধ্ব নারী ফুটবলারদের সঙ্গে দলে ভেড়ায় মেয়েদের ফুটবল লিগের দল এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গ্রাম ছাড়ার পর গ্রামবাসী রটিয়ে দেয়, প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে সাগরিকা! এতে একটু নড়েচড়ে বসে পরিবার। তবে এই কটু কথা থেকে সাহস খুঁজে নেয় সাগরিকা। এক সময় যারা করতেন কটূক্তি আজ তারাই দিচ্ছে বাহবা। এখন সেই সাগরিকাই গোটা গ্রামবাসীর গর্ব। ফুটবল খেলার জেদের কারণে দীর্ঘ ১ মাস মেয়ের সাথে কথা না বলা সেই বাবার মুখ সবার কাছে উজ্জল করে তুলেছেন মেয়ে সাগরিকা।

রাঙ্গাটুঙ্গি মহিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, সাগরিকার বাবা-মা চায়ের দোকান করে থাকেন। নিজের কোনো বসতভিটা নেই। সরকারি জায়গায় তারা থাকেন। প্রশাসন তাঁর পরিবারকে পাকা ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বাউফলে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে অনুমতি ছাড়া একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম নিয়ে খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারের দোকান থেকে স্থানীয় তিন শিশু ইমাম হোসেন (৭), আবদুল্লাহ (৯) ও ফাহিম (১০) আইসক্রিম খায়। এ সময় ব্যবসায়ী আনোয়ার দোকানে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে শিশুদের আইসক্রিম খেতে দেখে রেগে যান আনোয়ার হাওলাদার। পরে দোকান থেকে শিকল এনে ওই তিন শিশুকে বেঁধে রাখেন। সন্ধ্যার পর তিনি শিশুদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অভিভাবকরা খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ৩ শিশুকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মুহুর্তেই এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ওই ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেন। ভোররাতে বাউফল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করে।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিশুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




নিখোঁজের পরদিন ভুট্টা ক্ষেতে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

নিখোঁজের একদিন পর ভুট্টা খেতে মিলল সোহেল হোসেন (৩৫) নামের এক ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীর মরদেহ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের পাশের ভুট্টা খেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে দোকান থেকে নিখোঁজ হন সোহেল।

নিহত সোহেল হোসেন নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

পুরাতন ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঈশ্বরদীর এয়ারপোর্ট মোড় থেকে ইলেকট্রিক দোকানদার সোহেল হোসেন নিখোঁজ হয়। রাত গভীর হওয়ায় পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে ঈশ্বরদী থানা ও লালপুর থানায় খোঁজ নেন। সেখানেও না পেয়ে আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের (বিমানবন্দর) পাশে ভুট্টা ক্ষেতের আইল দিয়ে একটি মহিলা যাওয়ার পথে সোহেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে তার আত্মীয়স্বজনদের খবর দেন। সোহেল স্থানীয়ভাবে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত। ভুট্টা ক্ষেতটি লালপুর থানার অধীনে হওয়ায় সেখানে লালপুর থানার পুলিশ  প্রাথমিক তদন্ত করছেন।

এ ব্যাপারে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। মৃত সোহেল মিস্ত্রির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




‘বৃষ্টি খাতুন’ পরিচয়ে সাংবাদিকের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি নামে পরিচিত নারী সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিহত নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন।

এস আই আব্দুল জব্বার জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে অভিশ্রুতির প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে এক নারী সাংবাদিক রয়েছেন। ওই সাংবাদিক কর্মক্ষেত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত। তার একটি বায়োডাটায় লেখা আছে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী।

তবে তার মৃত্যুর খবর দেখে মরদেহ নিতে আসেন কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম সবুজ নামে একজন। তিনি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন অভিশ্রুতি মুসলিম। ফলে ওই সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তেরি হয়। জটিলতা তৈরি হয় মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে। তবে, কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম ছাড়া ওই নারীর মরদেহ নিতে অন্য কেউ আসেননি।

পরিচয় নিশ্চিত হতে আজ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেছে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন লেখা আছে। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা আছে।

এনআইডি অনুযায়ী তার গ্রাম বনগ্রাম, ডাকঘর বনগ্রাম, উপজেলা খোকসা এবং জেলা কুষ্টিয়া। এনআইডির তথ্যানুযায়ী পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এখন সাংবাদিক অভিশ্রুতির মরদেহ তার বাবা শাবলুল আলম সবুজের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টি খাতুনের মা বিউটি বেগম জানান, অভিশ্রুতি নামটি ওর নিজের দেওয়া। ওর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।

তার বাবা সবুজ শেখ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। অভিশ্রুতি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আমার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব?


আরও খবর