নতুন করে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে খুদে বার্তার
মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, নতুন
করে ডিম আমদানির অনুমতি পেয়েছে ছয়টি কোম্পানি, যাদের প্রতিটি এক কোটি করে ডিম আমদানি
করবে। আমদানির অনুমতি পাওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে চিজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট,
এমএস রিপা এন্টারপ্রাইজ, এসএম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।
দেশের বাজারে ডিমের দাম বেড়ে গেলে গত বৃহস্পতিবার
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংবাদ সম্মেলন করে ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেন।
তিনি বলেন, এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি
কেজি আলু ৩৬ ও দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, যদিও সেই ঘোষণার এক সপ্তাহ পরও নির্ধারিত দামে
এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে না।
ঢাকার মালিবাগ, রামপুরা, কারওয়ান বাজার,
তালতলা ও মোহাম্মদপুর টাউন হলে বাজার ঘুরে প্রথম আলোর প্রতিবেদকেরা দেখেন, ফার্মের
মুরগির প্রতি হালি ডিম ৪৮-৫০, প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫০ ও দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে। এমনকি বাজার অভিযানের কারণে দাম না কমে আলু ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমতে শুরু
করেছে।
এর আগে গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চার
কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য শুরুতে চার কোটি ডিম আমদানি
করতে চারটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মীম এন্টারপ্রাইজ,
প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং
লিমিটেড।
প্রথমবার ডিম আমদানির অনুমতির সঙ্গে চারটি
শর্ত দেওয়া হয়। প্রথমত, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুমুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি
করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার
কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড
ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি
করা যাবে না এবং সরকারের অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে, এমন দুটো শর্তের কথা
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত সোমবার বলেন,
‘আমাদের লক্ষ্য
দেশের বাজারে ডিমের দাম কমিয়ে আনা। সে জন্য আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। ডিমের
দাম না কমা পর্যন্ত আমরা এটা চালিয়ে যাব।’