রাশিয়ার একটি
আদালত বড় ধরনের প্রতারণা এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে নাভালনিকে দোষীসাব্যস্ত করে ৯
বছরের কারাদণ্ড দেয়। ওই দিন রায় ঘোষণার পরপরই নাভালনির দুই আইনজীবীকেও গ্রেপ্তার করে
পুলিশ। বর্তমানে নাভালনি পূর্ব মস্কোর একটি কারাগারে বন্দি আছেন। সেখানে তিনি প্যারলে
মুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে আড়াই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
রায় ঘোষণার পর
টুইটে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নাভালনি লেখেন, ‘আমি বলতে চাই: আমার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক
বন্দিদের জন্য সব থেকে সেরা সমর্থন সমবেদনা বা সদয় কথা নয় বরং কাজ করা। প্রতারক এবং
চোর পুতিনের শাসনের বিরুদ্ধে যেকোনো কাজের মাধ্যমে সেটা হতে পারে। এই ধরনের যুদ্ধাপরাধীদের
বিরুদ্ধে যেকোনো রকম বিরোধিতা।’
২০২০ সালে সার্বিয়ায়
নাভালনিকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে
চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানি নেওয়া হয়। জার্মানিতে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে গত বছর নাভালনি
দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার হন।
নাভালনির অভিযোগ,
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। অন্যদিকে,
ক্রেমলিন বলেছে, নাভালনিকে যে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল তার কোনও প্রমাণ নেই। যদি সত্যিই
বিষ দেওয়া হয়েও থাকে, তাতে রুশ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
রুশ কর্তৃপক্ষ
মনে করে, পশ্চিমারা নাভালনিকে দিয়ে রাশিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
নাভালনির অনেক
মিত্র বিধিনিষেধ বা কারাদণ্ড এড়াতে রাশিয়া ছেড়ে নির্বাসিত জীবন বেছে নিলেও সব ঝুঁকি
মাথায় নিয়ে নাভালনি দেশে ফেরেন এবং এখন অসুস্থ শরীরে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।