আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আরও ৪৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

কমিউনিটি ভিশন সেন্টার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক অনবদ্য সৃষ্টি ন্যাশনাল আই কেয়ার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক তৃতীয় পর্যায়ে দেশের ৪টি বিভাগে ৪৫টি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ৪৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা।

বুধবার বেলা ১১টায় বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এর সঞ্চলনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুল আহসান, বরিশাল রেঞ্জেরে ডিআইজি মো. আখতারুজ্জামান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান (চক্ষু) ডা. দেবব্রত পাল, বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মজিবুর রহমান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান, সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান, বীরমুক্তিযোদ্ধারা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তারা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

ওই সময় উপকারভোগী মাওলানা আ. রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনি একটা সময় আমতলীর এমপি ছিলেন। এখনও আপনাকে আমরা আমতলীর মানুষ আমাদের এমপি হিসেবে জানি ও ভালবাসি। আমতলী হাসপাতাল কমিউনিটি ভিশন সেন্টার (চক্ষু বিভাগ) স্থাপন করার ফলে আমার মত অনেক অসহায় ও গরীব মানুষ বিনা পয়সায় চোঁখের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হচ্ছে। এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আপনার জন্য দোয়াকরি সামনের নির্বাচনেও আপনি আবার এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে এভাবে অসহায় ও গরীব মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, এখনো মনেকরি আমতলীর এমপি আমি। আমি নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করে দিয়েছি। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে দেশের অসহায় ও গরীব মানুষ স্থাণীয় হাসপাতালে অবস্থিত কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে গিয়ে বিনা পয়সায় চোঁখের চিকিৎসা করিয়ে অকাল অন্ধত্তে¡র হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। এটাই আওয়ামী লীগ সরকারের বড় একটি সফলতা। তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার কথা শেষ করেন।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা-রানি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। এই সফরে তার সঙ্গে রানি জেতসুন পেমাসহ একটি প্রতিনিধি দল থাকছে। সফরকালে রাজা ও রানি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং একটি নবায়ন হবে। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

রোববার দুপুরে ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ভুটানের রাজাকে স্বাগত জানাবেন। ভুটানের রাজার সফরে নতুন করে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। সেগুলো হলো- ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। এছাড়া সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত একটি চুক্তি আছে- সেটির নবায়ন করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রথম দিন রাজার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৬ মার্চ ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন রাজা।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সফরে ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন। তিনি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শনের জন্য বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করে তিনি সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়বেন। স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করবে। সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রাজার সফরের তাৎপর্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশে প্রথম কোনো উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর এটি। এ সফরে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে (বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে) ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। থিম্পুতে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের বৃহত্তর কল্যাণ সাধন হবে। ট্রানজিট এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ হবে। বিদ্যুৎ খাতে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ আসন সংখ্যা ২২ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হবে। প্রতি বছর ভুটানের ফরেন সার্ভিস অফিসারদের জন্য বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য দুটি আসন বরাদ্দ করা হবে।

বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি ভুটানে একটি কূটনৈতিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা দেবে। বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিলে ভুটানের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে তিন বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফর বাংলাদেশ-ভুটানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুপ্রতিবেশীসুলভ পররাষ্ট্রনীতির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অবস্থান সুদৃঢ হবে।

বাংলাদেশে মহান স্বাধীনতার প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটান। মহান স্বাধীনতা মাসে দেশটির রাজার এ সফর এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ভুটানের রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। সফরে ঢাকায় রাজাকে ব্যাপক উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হবে। রাজার আগমন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কে ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানো হয়েছে।


আরও খবর



কর্মী হিসেবে অফিসে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবনের তাগিদে অনেকেরই চাকরি করতে হয়। এ কারণে অফিস বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে থাকা সব মানুষগুলো এক ধরনের হয় না। এরপরও সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কাজের ক্ষেত্রে মতামতে অমিল, দক্ষতায় সাম না হওয়া এবং কারও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য অনেক সময় বিভেদের সৃষ্টি হয়। এই বিভেদ অনেকে প্রকাশ করেন, আবার কেউ কেউ প্রকাশ করেন না। কিন্তু বিভেদ প্রকাশ হোক বা হোক, মনে বিভেদ থাকলে এ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে এক বা দুজনের কারণে পুরো টিমে এর প্রভাব পড়ে। এমনকী ব্যক্তিজীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

কর্মক্ষেত্রে সবসময় টিম বা অফিসের ইতিবাচক হয়, এমন চিন্তাভাবনা এবং এ উদ্দেশ্যে সবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে অগ্রসর হতে হবে। কারও সঙ্গে মতামতের মিল না হলে ভেবে দেখতে হবে, দুজনের মধ্যে কার সিদ্ধান্ত অফিসের জন্য সেরা সুফল বয়ে আনবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কেমন আচরণ ও ব্যবহার হওয়া উচিতএ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট কেটি রবার্টস।

সততা: ব্যক্তিগত কিংবা অফিশিয়াল জীবনে সততা সবার ঊর্ধ্বে। কর্মক্ষেত্রে সবসময় খোলামেলাভাবে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে গোপনীয়, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা ক্লায়েন্টের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কেউ অসৎ আচরণ বা অন্যায় করলে সেটি সহ্য বা সমর্থন করা যাবে না। এমনটা হলে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে হবে।

পরস্পর সম্মান: সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে, এমনকি চাপের সময়ও। নিজে কোনো কারণে কোনো কাজের জন্য চাপে বা জটিলতায় থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে সহকর্মীদের কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, আঘাত বা অসম্মান করবেন না। হোক সে আপনার সিনিয়র বা জুনিয়র। সবসময় মৌখিক এবং লিখিতভাবে উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করবেন। নিজের ভুল হলে বা কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলে ক্ষমাপ্রার্থী হতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকেও সম্মান করতে হবে।

মিটিং: কর্মক্ষেত্রে অফিসের উন্নয়ন বা নতুন কোনো পদক্ষেপের জন্য মিটিং, আলোচনা সভার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব মিটিংয়ে সর্বদা সময়মত পৌঁছান। মিটিংয়ে আপনার কী করতে হবে, তা আগে জেনে-বুঝে নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন। মিটিংয়ে থাকা সবার কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শুনুন এবং নিজের কোনো মতামত থাকলে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

যোগাযোগ: সহকর্মীদের সঙ্গে সর্বদা স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং কিছুটা সময় লাগলেও এমন ভাষায় উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই তা বুঝতে পারে। সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে অফিশিয়াল ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত গসিপে জড়ানোও ঠিক নয়। সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: অফিসে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আপনাকে দেয়া কাজটি যথাসময়ে করার চেষ্টা করুন। কখনো বিলম্ব করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে কয়েক মিনিট আগে অফিসে পৌঁছান। কোনো কারণ দু-একদিন অফিসে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, তবে সেটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে কফি পান ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব গুছিয়ে ঠিক সময়ে অফিসের কাজ শুরু করুন। কাজের মাঝে চা বিরতি ও দুপুরের খাবার এবং বিরতির সময়সূচি মেনে চলুন। কাজ শেষ হলে যথা সময়ে চলে যান।

অফিসের লক্ষ্য: প্রতিটি অফিসেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। সেসব বাস্তবায়নে একেকজন কর্মীর ওপর একেক ধরনের দায়িত্ব দেয়া থাকে। আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিজে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন।

দায়িত্ববান হওয়া: নিজের কাজের জন্য নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেটি করুন এবং নিজের কাজ অন্যের জন্য রেখে দেবেন না। কোনো কারণে নিজের কিছু ভুল হলে বা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে, এটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করার অভ্যাস করুন। এ নিয়ে অন্য সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান তৈরি করুন। এতে পরবর্তীতে কাজটি শেষ করা আপনার জন্য সহজ হবে।

টিমওয়ার্ক: কর্মক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এতে প্রায়ই এমন কিছু পরিস্থিতি হয়, যে কাজগুলো আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বাদ রেখে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দলগতভাবে কাজ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কর্মক্ষেত্র

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে মখলিছ মিয়ার বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ায় গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহতরা হলেন- ফয়জুর রহমান (৫২), শিরি বেগম (৪৫), সামিয়া (১৬), সাবিনা (১৩) ও সায়েম উদ্দিন (৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বসতঘরের ওপর পরলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার (৬) নামে এক শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন বলেন, মরদেহগুলো জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাংলাদেশি জন্মসনদ!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের জন্ম ও মৃত্যুসনদ সার্ভারে পাওয়া গেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাংলাদেশি জন্মসনদ! সেখানে দেখা যাচ্ছে, আবেদনকারীর নাম জাস্টিন ট্রুডো। তিনি আবেদন করেছেন বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের জন্য। সেই জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে পাবনা থেকে।

এ বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত বলেন, ওই লোকের আসল নাম ছিল আজিজুল। সেটাকে বদলে করা হয়েছে জাস্টিন ট্রুডো। মানুষের কাছে যেকোনো ক্ষমতা দিলে তার অপব্যবহার হতে পারে। এটাকেও সেভাবেই দেখছেন তিনি।

এরইমধ্যে পাওয়া গেছে পাবনার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে করা আরও কিছু অবৈধ জন্মসনদ। জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে এসব অবৈধ জন্মসনদ করে দেন ওই ইউনিয়নের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন।

টাকার বিনিময়ে আবেদনের পর নিজেই সব অ্যাপ্রুভ করিয়ে দেন। জাস্টিন ট্রুডোর নামে আবেদনটি হয়েছিল এভাবেই।

এ বিষয়ে আহম্মদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জন্মসনদ আপনার ইউনিয়ন থেকে সম্পন্ন হয়েছে। এর জন্য আপনার কি গর্ববোধ হচ্ছে? তিনি বলেন, আমার কাছে এটি লজ্জার বিষয়। কারণ, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, তার নিবন্ধন হয়েছে আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। এটা আমার জন্য খুবই লজ্জার।

বৈধভাবে জন্মসনদের সংশোধন করানোর সময় নানা ঝক্কিতে পড়েন মানুষ। উল্টোদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নামেও এক রাতে করা যায় জন্মসনদ। তাহলে কতটা সুরক্ষিত দেশের এই নিবন্ধন সার্ভার?

ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত বলেন, আমরা এখন বুঝতে পারলাম। যেহেতু আমরা সার্ভার নিয়ে কাজ করি, সুতরাং কে কয়টায় কাজ করেছে, তা ধরা পড়েছে আমাদের কাছে। এখন আমরা অ্যাকশন নেব।


আরও খবর



বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে সৌদিতে ৫ পাকিস্তানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে প্রবাসী এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার দায়ে পাকিস্তানের পাঁচ নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে আসামিদের দণ্ড কার্যকর করা হয়।

সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। এদের মধ্যে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। গুরুতর আহত বাংলাদেশির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তদন্তের পর ওই পাঁচজনকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়, যেখানে তারা দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে আসামিদের আবেদন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। পরে রাজকীয় অধ্যাদেশে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়।

সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিরাপত্তারক্ষীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানা যায়নি। দণ্ডিতদের মধ্যে পাঁচজনই পাকিস্তানের নাগরিক।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান ও পাচারের ক্ষেত্রে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

গত বছর ডিসেম্বরে আর্থিক বিরোধের জেরে মুখে কীটনাশক স্প্রে করে এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায়ে বলা হয়, ভুক্তভোগীকে প্রলোভন দেখিয়ে ওই দুই আসামি তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখে কাপড় প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং মুখে কীটনাশক স্প্রে করে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ওই ব্যক্তি।


আরও খবর