সাড়ে তিন হাজার
কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার পি কে হালদারসহ পাঁচজনের আরও ১০ দিনের রিমান্ড
দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ড শেষে আবারও ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে তাদের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া এক নারীকে
১০ দিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পি কে
হালদারসহ পাঁচজনকে আজ (মঙ্গলবার) ব্যাঙ্কশাল সিবিআই স্পেশাল কোর্টে হাজির করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের
তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল ভারতীয় এই সংস্থাটি।
গত শনিবার গ্রেফতার
করা হয় পি কে হালদারসহ ৬ জনকে। এরপর তাদের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। আদালত ইডির
আবেদন মঞ্জুর করে এবং ৫ জনকে তিনদিনের হেফাজত দেয় এবং একজনকে জেলে পাঠায়।
তাদের কাছ থেকে
১৫০ কোটি টাকার সম্পদের হদিশ পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকটি পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া
বেশ কিছু ডিভাইসও উদ্ধার করা হয়।
গত শনিবার (১৪
মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হন পি কে হালদার। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ থেকে পলাতক পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে।
ইডির বরাত দিয়ে
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, পি কে হালদার রেশন কার্ড, ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র,
আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পি এ এন (প্যান) ও আধার কার্ডের মতো ভারতীয় বিভিন্ন সরকারি
পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে অবস্থান করছিলেন।
সেখানে তিনি শিব শংকর হালদার নাম নিয়েছিলেন। যদিও সরকার জানিয়েছে, পি কে হালদারের গ্রেফতারের
বিষয়টি ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ইডি জানিয়েছে, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে কেবল একটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেটি হল "প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২"। অর্থপাচার সম্পর্কিত এই আইনের ৩ ও ৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে গ্রেফতারকৃত ছয় জনের বিরুদ্ধে। তাদের কেস নম্বর ECIR No- KL20-II-16/22 dated-17.05.2022 special (CBI-1)।