বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের এক সদস্যের
বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গঞ্জালো মন্তিয়েলের বিরুদ্ধে ওঠা সেই অভিযোগ ইতোমধ্যে
বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে ফুটবল বিশ্বে।
একের পর এক যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের দায়ে
খবরের শিরোনাম হচ্ছেন ফুটবলাররা। প্রথমে অভিযোগ ওঠে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজের
বিরুদ্ধে। চলমান সেই মামলায় তিনি বর্তমানে স্পেনের একটি কারাগারে রয়েছেন। এর পর মরক্কোর
তারকা ফুটবলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ফ্রান্সে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে তদন্ত কার্যক্রম।
এবার এক নারী মডেলের আইনজীবী আর্জেন্টাইন ফুটবলার মন্তিয়েলের বিরুদ্ধে তার জন্মদিনে
যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মার্কা এই তথ্য নিশ্চিত
করেছে।
ভুক্তভোগীর আইনজীবী হার্মিদা জানান, ওই
নারীর সঙ্গে মন্তিয়েলের অল্প সময়ের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে মন্তিয়েল
সেই নারীকে বাসায় নিয়ে এসেছিলেন এবং লা মাতানজায় অনুষ্ঠিত পার্টিতেও নিয়ে যান। ঘটনার
শিকার সেই নারী পেশায় একজন মডেল এবং মদ্যপান করেন না। কিন্তু পার্টিতে দুবার মদ্যপানের
পর তিনি চেতনা হারান। এর পর সেই নারীকে মন্তিয়েলের বাসার বাইরে ছুড়ে ফেলা হয় এবং ঠিক
কতজন লোক মিলে তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন সেটি তিনি জানেন না। তবে মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী,
এটি যৌন নির্যাতন।
তার দাবি, পার্টি থেকে ওই নারী কীভাবে
বাসায় পৌঁছেছেন সেটিও তিনি জানেন না। পরে এই বিষয়ে ওই মডেল কথা বলতে গেলে তাকে মন্তিয়েল
ও তার মা হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারী নারী বুয়েনস আয়ার্সের লা মাতানজা
অঞ্চলে থাকেন, সেখানেই এরকম ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে অভিযোগ করার আগে সেই নারী কেন
এতদিন সময় নিলেন, এমন প্রশ্নেরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন হার্মিদা। তার দাবি, ঘটনার শিকার
ওই মডেল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। আত্মহত্যার কথাও নাকি ভেবেছিলেন। একটু ধাতস্থ হয়ে
ওঠার পর লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন, এই সময়ে সে আইনজীবী খুঁজেছে। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে
করোনা মহামারির সময়।