আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আরেক দফা কাটছাঁট খাদ্য তালিকায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছে মানুষ। এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অস্থির করে তুলেছে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার। যুদ্ধের বড় প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে, যার আঁচ লেগেছে দেশেও। দেশে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় অনেক বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ ও পেট্রলে ৪৪ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানির এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে আরও একধাপ উসকে দিয়েছে। মানুষের যাতায়াত খরচ বাড়িয়েছে। নিত্যপণ্যের দামসহ জীবনযাত্রার বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের খরচের চাপ শুধু বাড়ছেই। এতে দিশেহারা মানুষ টিকে থাকতে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছেন। টিকে থাকতে মৌলিক চাহিদাতেও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। করোনাকালে এক দফা খাবারের খরচ কমাতে হয়েছিল সীমিত ও নিন্ম আয়ের পরিবারগুলোকে। এবার অতিমুল্যস্ফীতির চাপে খাদ্য তালিকায় আরেক দফা কাঁচি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। টিকে থাকার লড়াইয়ে মানুষকে এভাবেই জীবনযাত্রার গতিপ্রবাহ ঠিক করতে হচ্ছে।

বাসাবাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে মাসে ১১ হাজার টাকা আয় করেন নাছিমা বেগম। আয়ের এই সামান্য টাকা দিয়ে বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের পড়াশোনার খরচ সামাল দিতেই খেই হারিয়ে ফেলছেন স্বামী পরিত্যক্তা মধ্যবয়সী এ নারী। এর পর হাতে যে কটা টাকা থাকে তা দিয়ে মাসের বাজার খরচ কুলিয়ে উঠতে পারেন না তিনি। বাধ্য হয়ে পরিবারের খাওয়া কমিয়ে দিতে হয়েছে তাকে। নাছিমা বেগম বলেন, করোনাকালেও খাওয়া-দাওয়ায় কষ্ট করতে হয়েছে। তখন অন্তত চাল, ডাল, তেল, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, তরিতরকারি কিনে খেতে পারছিলাম। কিন্তু এখন ঋণ করেও বাজার খরচ কুলাচ্ছে না। ব্রয়লার মুরগি, ডিম, ডাল, পেঁয়াজ-রসুন, মসলার দাম সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। মাছ-মাংস একেবারেই ছেড়ে দিয়েছি বলতে গেলে। ছেলেমেয়েকে নিয়ে সামান্য আলুভর্তা আর ডিম ভাজি খাব, তাতেও অনেক খরচ পড়ছে। এখন কেবল ডাল-ভাত আর কম দামি শাকসবজি খেয়ে দিন পার করছি।

মগবাজার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে রাস্তার ধারে হোটেলে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন রিকশাচালক আল-আমিন। তিনি বলেন, আগে আলুভর্তা, ডাল আর ভাত খেতে ৩০ টাকাও খরচ হতো না। ইচ্ছে হলে একটা ডিমের তরকারি কিনে খাওয়ার সাহস করতাম। এখন তা পারি না। এখন ভর্তা-ডাল দিয়েই ভাত খেতে ৪০ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। খরচ বাঁচাতে প্রায় দিনই একটা বিস্কুট আর এক কাপ চা দিয়েই দুপুরটা পার করে দিই।

কেবল নিম্নআয়ের মানুষ নয়, বাজারের উত্তাপে পুড়ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও। রাজধানীর কোনাপাড়ার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট সংযোগ, পোশাক, অফিস যাতায়াত, ছেলেদের পড়াশোনা এসব খরচ কমানোর সুযোগ নেই। তাই বাধ্য হয়ে খাওয়ার পেছনেই খরচ কমাতে হচ্ছে। এখন ব্রয়লার মুরগি কিনতেও হিসাব করতে হচ্ছে। চলতি সপ্তাহ থেকে ডিম খাওয়াও বন্ধ রেখেছি। উপায় নেই। চাল, ডাল, তেল কিনতেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ঋণ করেও কুলানো যাচ্ছে না।

সীমিত ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ অনেক বেশি বলে জানান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মূল্যস্ফীতির যে হিসাব, এটি আসলে ধনী-গরিব নির্বিশেষে গড় হিসাব। গরিব মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি থাকে। আমি মনে করি, তাদের ওপর প্রকৃত মূল্যস্ফীতির চাপ ১০ শতাংশের মতো আছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মানুষের আয় না বাড়লে প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয় পর্যায়ে বাড়লে নিম্নআয়ের পরিবারগুলোকে বাধ্য হয়ে খাওয়ার পেছনে খরচ কমাতে হয়। এর ফলে অসংখ্য পরিবার অপুষ্টিতে ভুগবে, যা দীর্ঘমেয়াদে কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনশীলতায় প্রভাব ফেলবে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি যা, তাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন। তবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কষ্ট লাঘবে উদ্যোগ নিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যাতে উপকৃত হন তা নিশ্চিত করতে হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, এমনটি যেন না হয়।

গত ৫ জুন বেসরকারি সংগঠন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (বিআইজিডি) এক গবেষণায় জানায়, করোনাকালে দেশে তিন কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছিল। করোনার প্রকোপ কমায় এ সংখ্যা কমে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশে ২১ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত ২৭ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য, জ্বালানি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় বর্তমানে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। মূল্যবৃদ্ধি প্রভাব ফেলেছে মানুষের কেনাকাটার সার্ম্যথে জাতীয় পর্যায়ে মানুষের কেনাকাটা বা ব্যয় প্রায় ৫ শতাংশ কমে গেছে।

বাজার চিত্র বলছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা। গুড়া দুধের দাম কেজিতেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আমদানিকৃত রসুনের দাম বেড়ে এখন ১৩০ টাকা কেজি। আদার কেজি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। খোলা চিনিতেও কেজিপ্রতি ৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। দাম বেড়েছে পেঁয়াজেরও। গরুর মাংস ও মাছের দাম অনেক আগেই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সয়াবিন তেল কিনে খেতেও ঘাম ছুটছে কপালে। এরই মধ্যে সম্প্রতি লাফিয়ে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। ব্রয়লারের কেজি ১৯৫ থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত এবং ফার্মের ডিমের ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। সহজলভ্য প্রোটিনের উৎস ব্রয়লার ও ডিমের দাম এত হারে বেড়ে যাওয়ায় পণ্য দুটি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে অনেক পরিবার।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন মানুষের প্রতিদিনের খাবারে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা, ১৫ শতাংশ প্রোটিন ও ৩০-৩৫ শতাংশ স্নেহ জাতীয় খাবার প্রয়োজন। এর ব্যত্যয় হলে স্বাভাবিকভাবেই তা স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। কম খেলে বা সুষম খাবারের ঘাটতি হলে তা সরাসরি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খুরশিদুল জাহিদ। তিনি বলেন, অতিমূল্যস্ফীতির ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। আয়ের তুলনায় ব্যয় বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর ক্রয়ক্ষমতা কমেছে এবং তারা বাধ্য হচ্ছেন খাদ্যতালিকা থেকে মূল্যবান খাবার বাদ দিতে। আবার অনেক দরিদ্র পরিবার বাধ্য হচ্ছেন কম খাবার খেতে। এর ফলে অনেকের খাদ্যতালিকা থেকে  ও প্রোটিনের উৎসগুলো বাদ পড়ছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উননে পড়েছে বলে মনে করেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, করোনায় এমনিতেই মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এসব অসহায় মানুষের টিকে থাকাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। বাধ্য হয়ে মানুষ কম খাচ্ছে, সাশ্রয়ী হতে প্রয়োজনীয় অনেক খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়ছে। এটা অমানবিক।

 


নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র (৪৩) নামে এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন। এ সময় বিএসএফের গুলিতে আরও ২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের একশত গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

মুরুলী চন্দ্র কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি পাচারকারী চক্র ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে ভারতে প্রবেশ করেন। গরুর রাখালরা ভারতীয় গরু নিয়ে বুড়িরহাট সীমান্ত দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় বিএসএফ তাদেরকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে ৩ জন বাংলাদেশি রাখাল গুলিবিদ্ধ হন। পরে বাকিরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রংপুরে নেওয়ার পথে মুরুলী চন্দ্র মারা যান। বাকি দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, সীমান্ত এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মুরলী চন্দ্র নামে একজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

নিউজ ট্যাগ: লালমনিরহাট

আরও খবর



দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে সেসব খেলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে আমাদের কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই সরকার এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।

সরকার প্রধান বলেন, সব ধরনের খেলাধুলার বিকাশে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে। যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এ সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।


আরও খবর
আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




জুমাতুল বিদা’য় বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। আল বিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরু রমাদান।’ অর্থাৎ, বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান- জুমাতুল বিদার খুতবার মধ্য দিয়ে রমজানকে বিদায়ের প্রস্তুতি নেবে মুসলমানরা। একইসঙ্গে আজ দেশের বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনায় দোয়াও করেন মুসল্লিরা। সে উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঢল নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দেখা যায়- নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে মসজিদ। সড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে মুসল্লিদের উপস্থিতি। অন্যরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে জুমা পড়তে আসেন শিশু-কিশোররাও।

নানা কারণেই মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ করা হয় যে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেসব দিবসে সূর্য উদিত হয় তার মধ্যে উত্তম দিবস হচ্ছে জুমা, সেদিন আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে। একই দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন। আবার পুনরায় পৃথিবীতে আগমন করেন। এই দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। এই শুক্রবারই কিয়ামত সংঘটিত হবে। এই পুণ্য দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল হয়।’ (সুনানে তিরমিজি ৪৯১, সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬)

জুমাতুল বিদা রোজাদারদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মাহে রমজানের সমাপনান্তে এ বছর এর চেয়ে ভালো দিবস আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং এই পুণ্যময় দিনটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা প্রত্যেক দিনদার মুমিন-মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে মুসলমান রমজান মাস পেল, কিন্তু সারা বছরের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তার মতো হতভাগা আর কেউ নেই।’

আগামীকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) পবিত্র শবেকদর পালিত হবে। কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী, কদরের রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সারা বিশ্বের মুসলিমরা ইবাদত-বন্দেগিসহ বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে এই মহিমান্বিত রজনী। অবশ্য লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ ১০ দিনের যেকোনো বিজোড় রাতেই হতে পারে।

আল্লাহর অনুগ্রহ, ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস রমজান। সুনানে তিরমিজিতে আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন (নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য) এত বেশি পরিশ্রম করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিল এই ছুটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ বিষয়ে আগামীকালের (সোমবার) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এর আগে আসন্ন ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গত ২৭ মার্চ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

১২ মার্চ রোজা শুরু হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। তবে ইতিমধ্যে ঈদের জন্য ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল সম্ভাব্য ছুটির দিন নির্ধারণ করা আছে। যদি এটি ঠিক থাকে, তাহলে পরদিন ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তার পরদিন ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ। এদিনও সরকারি ছুটি। তার মানে, পাঁচ দিন ছুটি নিশ্চিত হয়ে আছে। আর নির্বাহী আদেশে এক দিন ছুটি যদি কোনো কারণে বাড়ে, তাহলে মোট ছুটিও বাড়বে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংসসহ ৪টি পা উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড চরলাঠিমারা এলাকা থেকে হরিণের পা ও মাংস উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামে হরিণের মাংস পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। তখন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।

এসময় ৪টি হরিণের পা সহ ২৫ কেজি মাংস উদ্ধার করে। পরে হরিণের মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি কোস্টগার্ড।


আরও খবর