আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

আড়াই লাখ চীনা পর্যটক প্রত্যাশা করছে ইন্দোনেশিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছর ইন্দোনেশিয়া প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার চীনা পর্যটক আগমনের প্রত্যাশা করছে। মহামারীর কারণে প্রায় তিন বছর চীন থেকে ইন্দোনেশিয়ার রিসোর্ট দ্বীপ বালিতে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ ছিল। চীন কোভিড নীতিমালা শিথিল করার পর সম্প্রতি এ রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়েছে। এরই মধ্য দিয়ে দ্বীপটিতে বাড়তে শুরু করেছে চীনা পর্যটকদের সংখ্যা।

ইন্দোনেশিয়া এ বছর সামগ্রিকভাবে ৩৫ থেকে ৭৪ লাখ বিদেশী পর্যটক আগমনের রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। চীনা পর্যটকদের প্রত্যাবর্তন সে লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে মনে করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চীন থেকে ৯৪ হাজার ৯২৪ জন ভ্রমণকারী এসেছে দেশটিতে। চলতি বছর কমপক্ষে ২ লাখ ৫৫ হাজার চীনা পর্যটক ইন্দোনেশিয়ায় আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মহামারী শুরুর আগে প্রতি বছর চীন থেকে ২০ লাখের অধিক পর্যটক পাড়ি জমাত দেশটিতে।

পর্যটন ও সৃজনশীল অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী স্যান্ডিয়াগা উনো এক বিবৃতিতে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনের অন্যতম বড় বাজার চীনা পর্যটক। চীনের অনলাইন ট্যুর এজেন্টদের তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশে পর্যটন গন্তব্যের জন্য অনুসন্ধানের পরিমাণ ৪৩০ শতাংশ বেড়েছে। ইন্দোনেশিয়া শীর্ষ পাঁচটি অনুসন্ধানের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে বালি দ্বীপ অনুসন্ধানের পরিমাণ ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।

দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা ঘুচিয়ে রবিবার চীনের শেনজেন থেকে আসা ইন্দোনেশিয়া লায়ন এয়ারের একটি চার্টার ফ্লাইট বালিতে অবতরণ করে। প্রথম ফ্লাইটটিতে প্রায় ২১০ জন পর্যটক ছিল। চীন কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত চীনা পর্যটকরা। বালিতে আসা প্রথম ফ্লাইটে থাকা অ্যান পেই নামের এক চীনা পর্যটক বলেন, আমি অত্যন্ত সুখী ও প্রশান্তি অনুভব করছি। আমরা অনেকদিন ধরে বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারিনি।

৮ জানুয়ারি চীন সরকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ফ্লাইটটি চালুর ঘোষণা এসেছিল। ২২ জানুয়ারি শুরু হওয়া চীনা চান্দ্র নববর্ষের প্রথম দিনে ফ্লাইটটি চালু হয়। লায়ন এয়ারের মুখপাত্র ড্যানাং ম্যান্ডালা প্রিহ্যানটোরো জানিয়েছেন, শেনজেন-বালি রুটটি প্রাথমিক পর্যায়ে সপ্তাহে একবার পরিচালিত হবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র জমা দেবে হামাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হামাসের জ্যেষ্ঠ এক রাজনীতিক মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, তারা ইসরাইলের সঙ্গে পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে স্বশস্ত্র গোষ্ঠীটি নিরস্ত্রীকরণ করবে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে রূপান্তরিত হবে। খবর সিএনএনের

কয়েক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই বুধবার এক সাক্ষাৎকারে হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া এসব বলেন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। দেশটি হামাসকে শেষ করে দিতে শপথবদ্ধ। আর দেশটির বর্তমান নেতৃত্ব ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধী।

জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আল-হাইয়া যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিত্ব করেন। ইস্তানবুলে এপির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আল-হাইয়া বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ গ্রুপের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তিনি বলেন, হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা মিলে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং ইসরাইলের ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রেজল্যুশনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন হামাস মেনে নেবে।

আল-হাইয়া আরো বলেন, যদি তা হয়, তবে তাদের সামরিক শাখা বিলুপ্ত হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা, অধিকার ও রাষ্ট্র পেয়ে গেলে দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করা গোষ্ঠীটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে। তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতীয় সেনাবাহিনীতে রূপান্তরিত হবে।


আরও খবর



পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা কাটাকাটির জেরে কিল-ঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্চে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করলে খাদ্যের অভাব হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করতে পারলে জীবনেও খাদ্যের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল ভাতের কথা চিন্তাও করতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংস ডিমের কথাও চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করব। উদ্বৃত্ত থাকলে অন্যকে সাহায্য করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বীজ উৎপাদন বিএডিসিসহ নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই কৃষি গবেষণায় জোর দেয়। বীজ, মাছ, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সরকার বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের জন্য নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই এদেশের কৃষি সমৃদ্ধ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনোই চায়নি এদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, তারা চেয়েছে অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে দেশ চালাতে। সারাদেশে আটক নেতা কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপির যে দাবি করছে তাতে কারাগারে আটক সব অপরাধীই যেন বিএনপির নেতাকর্মী।


আরও খবর



বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বাংলাদেশ ও কাতারের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) সই হবে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

জানা গেছে, আমিরের সফরে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন।

সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

এদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে কাতারের আমির সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হবে। এ ব্যাপারে গত ২১ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।

২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম ঢাকায় সফরে এলেন কাতারের কোনো আমির।


আরও খবর