ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের
সময় গত জুন মাসে দাখিল করা হলফনামায় মোহাম্মদ আলী আরাফাতের হাতে নগদ (ব্যাংক স্থিতিসহ)
ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৬ টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নতুন
যে হলফনামা দিয়েছেন তিনি, সেখানে তার কোনো নগদ টাকা নেই।
অপরদিকে তার স্ত্রীর আগের নগদ অর্থ এক
কোটি ১০ লাখ থেকে বেড়ে এক কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে উপনির্বাচনের
হলফনামায় তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দেখানো হলেও, নতুন হলফনামায়
কোনো আয় দেখানো হয়নি।
মোহাম্মদ আলী আরাফাতের একাদশ জাতীয় সংসদের
উপনির্বাচন ও দ্বাদশের হলফনামা তুলনামূলক পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা গেছে, মোহাম্মদ এ আরাফাতের আগের
তুলনায় তার বার্ষিক আয় কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় এক কোটি ৩২ লাখ ৭৮ হাজার
৬০০ টাকা। এর আগে আয় দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৫ টাকা। তার আয়ের খাতগুলো
হচ্ছে শেয়ার ও ব্যাংক আমানত ৪৯ হাজার ২৬০ টাকা, চাকরি এক কেটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার এবং
অন্যান্য খাত থেকে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪০ টাকা।
উপনির্বাচনের সময় তার ওপর নির্ভরশীলের
আয় দেখিয়েছিলেন ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। কিন্তু এবার কোনো আয় দেখাননি।
এবার মোহাম্মদ এ আরাফাতের হাতে নগদ শূন্য
হলেও, স্ত্রীর হাতে নগদ এক কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৩ টাকা। আগে ছিল এক কোটি ১০ লাখ টাকা।
মোহাম্মদ এ আরাফাতের বর্তমানে এক কোটি
৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৩ টাকার শেয়ার রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ টাকার। স্ত্রীর
১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেযার বিনিয়োগ থেকে বেড়ে দুই কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।
আরাফাতের নিজের নামে সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী
আমানত আগের ৩০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪ লাখ টাকা হয়েছে। এছাড়া তার আগের মতোই ১৭ লাখ ২০
হাজার টাকার গাড়ি, ছয় লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে এবং ২ কোটি ৭০
লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।
আগের মতোই তার নিজের ও স্ত্রীর স্বর্ণ,
পাথরনির্মিত অলংকার বা অন্য কোনো মূল্যবান অলংকার নেই।
আরাফাত স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড
ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এসএফআইএল) থেকে নিজ নামে আগে এক কোটি ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৬ টাকা
গৃহঋণ ছিল। এবার তা কিছুটা কমে এক কোটি ১০ লাখ ২৩ হাজার ৯১৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে স্ত্রীর
ঋণ আগের মতো ৮ লাখ টাকাই রয়েছে।