আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আপনার প্রতীক্ষায় জাদিপাই ঝর্ণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাদিপাই ঝর্ণাকে বলা হয় ঝর্ণার রানি। বাংলাদেশের আকর্ষণীয় ঝর্ণাগুলোর একটি জাদিপাই ঝর্ণা। আকৃতিতে দেশের সবচেয়ে বড় না হলেও গঠন আর অবস্থানের ভিত্তিতে এ ঝর্ণা অনন্য, অপরূপা। উঁচু পাহাড় আর চার দিকে সবুজের সমারোহ।  কেওক্রাডং, জংছিয়া ও জাদিপাই তিন পাহাড়ি ঝিরি একসঙ্গে মিলিত হয়ে জাদিপাই ঝর্ণার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে কালো পাথর বেয়ে স্বচ্ছ পানির ধারা নিচে নেমে আসে। ঝর্ণাটি পরে মিলিত হয়েছে সাঙ্গু নদীর সঙ্গে।

জাদিপাই ঝর্ণা ভ্রমণে কখন যাবেন: জাদিপাই ঝর্ণা সারা বছরই কম-বেশি পানি থাকে, তবে বর্ষাকালে গেলে ভালো পানি পাওয়া যাবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তাই এখন গেলেও ঝর্ণার যৌবন দেখতে পাবেন।

জাদিপাই ঝর্ণা ভ্রমণে কীভাবে যাবেন: প্রথমে আপনাকে বান্দরবান শহরে যেতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির গাড়ি ছেড়ে যায়। যেমন, শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, সৌদিয়া, এস আলম, ডলফিনের যেকোনো একটি বাসে চড়ে আপনি বান্দরবানের যেতে পারেন। রাত ৯-১০ টায় অথবা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, কলাবাগান, সায়দাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে বাসগুলো বান্দরবানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। নন এসি বাসে জন প্রতি ভাড়া ৯০০ টাকা। এসি ১৪০০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকেও বান্দরবান যেতে পারেন। বদ্দারহাট থেকে বান্দারবানের উদ্দেশে পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের বাস যায়। এসব বাসে জনপ্রতি ৪২০ টাকা ভাড়া রাখা হয়। এবার আপনাকে বান্দরবান থেকে চান্দের গাড়িতে বা লোকাল বাসে করে যেতে হবে রুমা। রুমা বাজারে অবশ্যই বিকাল ৪ টার মধ্যে পৌঁছতে হবে। ৪টার পরে সেনাবাহিনী কোনো চান্দের গাড়ি বগা লেকের উদ্দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয় না।

জাদিপাই ঝর্ণার পথে ট্রেকিং: বান্দরাবন থেকে রুমা উপজেলার সদরে যেতে লোকাল বাসে খরচ হবে জন প্রতি ১৮০ টাকা। পুরো চাঁন্দের গাড়ি বা জিপ ভাড়া করলে ৪০০০ টাকা। রুমা থেকে বগালেক পুরো জিপ ভাড়া করলে ২৭০০ টাকা।  রুমা বাজার থেকে গাইড নেওয়া বাধ্যতামূলক। গাইড না নিলে সেনাবাহিনীর অনুমতি দেবে না। প্রতিদিনের গাইড খরচ ৭০০ টাকা। গাইডের খাওয়া থাকা নিজেদের বহন করতে হবে। বগা লেক থেকে হেঁটে কেওক্রাডং, তারপরে পাসিং পাড়া, পাসিং পাড়া থেকে পায়ে হেঁটে জাদিপাই ঝর্ণা যেতে হবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, কেওক্রাডংয়ের পর থেকে সাধারণ পর্যটকদের যাওয়ার নিষেধ। অবশ্য বিশেষ অনুমতি থাকলে যেতে পারবেন। বান্দরবান থেকে থানচি হয়েও জাদিপাই যাওয়া যাবে। এ জন্য বান্দরবান শহর থেকে চাঁন্দের গাড়ি বা লোকাল বাসে যেতে হবে থানচি। থানচি থেকে চাঁন্দের গাড়ি বা জিপ নিয়ে বাক্লাই ক্যাম্পের ঠিক আগে নেমে যেতে হবে। কারণ, জাদিপাই একটা অফট্রেইল।

সাধারণ পর্যটকদের তমাতুঙ্গীর পর যাওয়ার অনুমতি নেই। তবে কেউ কেউ লুকিয়ে বাক্লাই ক্যাম্প পর্যন্ত যায়। তারপর বাক্লাই পাড়া থেকে ৪-৫ ঘন্টা ট্রেকিং করলেই উদ্যমী জাদিপাই পাড়া (নতুন জাদিপাই পাড়া) পৌঁছে যাবেন। উদ্যমী জাদিপাই পাড়া থেকে ১ ঘন্টা ট্রেক করলেই জাদিপাই ঝর্ণায় পৌঁছে যাবেন।

বান্দরবান থেকে থানচি লোকাল বাসে জন প্রতি ২২০ টাকা। চান্দের গাড়ি বা জিপ ভাড়া ৬০০০ টাকা। থানচি থেকে বাক্লাই ক্যাম্প পর্যন্ত চাঁন্দের গাড়ির ভাড়া ২৫০০ টাকা। উদ্যমী জাদিপাই পাড়া থেকে লোকাল গাইড নেওয়া বাধ্যতামূলক। গাইড খরচ ৫০০ টাকা।

জাদিপাই ঝর্ণা ভ্রমণে খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা: বগালেক ও কেওক্রাডংয়ের খাওয়া-থাকার সুব্যবস্থা আছে। জন প্রতি ১৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজের খাবার পাওয়া যায়। আছে থাকার ব্যবস্থাও। জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে থাকতে পারবেন। এক রুমে ৬-৭ জন করে থাকা যায়। এছাড়াও উদ্যমী জাদিপাই পাড়া বা পুরানো জাদিপাই পাড়ায় ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

ঝর্ণা ভ্রমণে সঙ্গে যা নিতেই হবে: অবশ্যই ভালো মানের ট্রেকিং ব্যাগ নিতে হবে। যা দীর্ঘক্ষণ ট্রেকিংয়েও পিঠ ঘামাবে না।  কোমড়ের উপরে চাপ সৃষ্টি করবে না। সঙ্গে রেইন কভার ও বড় পলিথিন নেবেন।  এড়াও ট্রেকিং প্যান্ট, ট্রেকিং স্যান্ডেল, শুকনা খাবার,  হ্যান্ড গ্লাভস, হেড ল্যাম্প,  টি শার্ট ২/৩ টি, হাফ প্যান্ট, ট্রাউজার, ট্রেকিং পোল, মোজা ১/২ জোড়া, টুথ ব্রাশ, পেস্ট, সাবান, গামছা, পানির বোতল, প্রাথমিক ওষুধ, স্যালাইন, গ্লুকোজ, মশার জন্য ওডোমস ক্রিম, এনআইডি/স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি ২ টা ও পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে নেবেন।

নিউজ ট্যাগ: জাদিপাই ঝর্ণা

আরও খবর



শিশুদের নিডো-সেরেলাকে বাড়তি চিনি মেশাচ্ছে নেসলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি পাওয়া গেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। বাড়তি চিনির এসব পণ্য বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে- বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতেই এই প্রবণতা বেশি। এসব দেশে নেসলের ব্র্যান্ড নিডো বেশ পরিচিতি। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

যৌথ এ গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে। যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও নেসলের শিশুখাদ্য বাড়তি চিনির প্রমাণ মিলেছে। বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



পবিত্র লাইলাতুল কদর শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে। এদিন মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যদিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামী রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: লাইলাতুল কদর

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




তারাকান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই-বোন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

জেলার তারাকান্দা উপজেলা সদরে আজ বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে সহোদর ভাই-বোন নিহত হয়েছেন।

আজ রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা দক্ষিণ বাজারের জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার চর শিমুলচরা গ্রামের মোকাদ্দেস রহমান তোরাব ও মনিরা বেগমের ছেলে আনাছ আহনাফ (৩) এবং বোন মাশুরা নোকাদ্দেছ তানাছ (১৬)।

জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী ভাই সোহাবুর রহমান বাপ্পীকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে রবিবার ভোরে ঢাকা যাচ্ছিল বোন মনিরা বেগম, মনিরার স্বামী মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব, তাদের সন্তান তানাজ, আনাছসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। পথিমধ্যে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ফিলিং স্টেশনের সামনে মিথুন সুপার নামে একটি বাসের সাথে সংর্ঘষ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তানাজ ও শিশু আনাছ। আহত হয় তাদের বাবা-মাসহ ৩ জন।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলী দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,

মাইক্রোবাসে করে পরিবারটি শেরপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে তারাকান্দা দক্ষিণ বাজারে দুর্ঘটনায় পড়ে। সেখানে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যায়। আহত বাবা ও মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরও খবর



উদ্ধার হওয়া স্যাটেলাইট লাগানো কুমির সুন্দরবনে অবমুক্ত হবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের চিতলমারীর একটি মৎস্য ঘের থেকে  স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চিতলমারী উপজেলার দক্ষিণ শৈলদাহ গ্রামের মোঃ হাসান শেখের মৎস্য ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।

ট্রাকে করে কুমির খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও)র কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়ছেন ডিএফও নির্মল কুমার পাল।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে মৎস্য ঘেরে কুমিরটি দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা কুমির দেখতে ভীড় জমায়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার রয়েছে।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, কেউ যাতে কুমিরটির ক্ষতি না করে সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। খবর শোনার পর থেকে আমরা বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। খুলনা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্যর নেতৃত্বে একটি দল ট্রাকে করে কুমিরটিকে খুলনায় নিয়ে গেছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও) নির্মল কুমার পাল বলেন, আমরা কুমিরটিকে উদ্ধার করেছি। কুমিরটি সুস্থ্য রয়েছে।পরবর্তীতে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে।

গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ জানার জন্য গত ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে চারটি কুমির সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে অবমুক্ত করা হয়। ৪টি কুমিরের ৩টি কুমিরের অবস্থান সুন্দরবনে পাওয়া গেলেও, অন্য একটি কুমিরের অবস্থান মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, পিরোজপুর এলাকায় পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়।


আরও খবর



২১ নাবিক ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহ নিয়ে, দুজন বিমানে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহতে চড়েই দেশে ফিরবেন জাহাজটির ২১ নাবিক। বাকি দুই নাবিক ফিরবেন বিমানযোগে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী বিমানযোগে অথবা জাহাজে দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছিল। এরপর নাবিকেরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের পথে আছে। ওই বন্দরে ২২ এপ্রিল জাহাজটি পৌঁছার কথা রয়েছে। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপরই দেশের পথে রওনা হবেন নাবিকেরা।

কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছিলাম। ২১ নাবিক জাহাজে ও বাকি ২ জন বিমানে বাংলাদেশে আসবেন। তবে চাইলে সবাই উড়োজাহাজে আসতে পারবেন, যদি তারা আসতে চান। তবে ২১ নাবিক জানিয়েছেন তারা এমভি আবদুল্লাহকে নিয়েই বাংলাদেশে ফিরবেন।’

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিওবা তখন সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল জাহাজটি। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মির ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার (১৩ এপ্রিল) জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪