আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের শিকার হতে পারে রোহিঙ্গারা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হলে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার যদি শিগগিরই সমাধান না হয় তাহলে এরা (রোহিঙ্গা) ইন্টারন্যাশনাল টেররিস্টদের ইজি প্রে (আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সহজ শিকার) হতে পারে।

আমরা বলবো না তারা প্রে হয়ে গেছে, আমরা আশঙ্কার কথা বলছি। আশঙ্কার আড়ালে আমরা দুই-একটা ঘটনাও দেখছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান সেটিরই ইঙ্গিত বহন করে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াবার টাকা ভাগাভাগির জন্যই রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। এছাড়া পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়া ৫২ জঙ্গির সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও তাদের মূলোৎপাটন করা যায়নি। যেকোনো মূল্যেই তাদের নির্মূল করা হবে।


আরও খবর



আবারও কমলো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন করে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করলো সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জ্বালানি তেলের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত নতুন মূল্যের তথ্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। যা আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

নতুন হিসাব অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে কেরোসিন ও ডিজেলের খুচরা মূল্য ১০৮ টাকা থেকে কমে ১০৬ টাকা, অকটেন ১২৬ ও পেট্রোল প্রতি লিটার ১২২ টাকা দরে বিক্রি হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানায়।

এর আগে গত ৭ মার্চ স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ১০৮, কেরোসিন ১০৮, অকটেন ১২৬ ও পেট্রোল ১২২ টাকা দরে বিক্রির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় হয় ২৯ আগস্ট, ২০২২। এরপর কোভিড মহামারি-উত্তর সরবরাহ সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে সমুদ্রপথে জ্বালানি পণ্যের  প্রিমিয়াম, পরিবহন ভাড়া, বিমা ও ব্যাংক সুদের হার ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে। উল্লিখিত সময়ে শুধু মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা অবমূল্যায়িত হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের (প্রধানত ডিজেল) মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

আরও বলা হয়, ফর্মুলা বা গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি বা ক্রয়মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।


আরও খবর



পদ্মা সেতু দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টার পর মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে উঠে নান্দনিক এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এ নির্মাণ প্রকল্প দেখে মুগ্ধ হন তিনি।

এরপর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে ভুটানের রাজার। আর বিকেল ৪টায় তিনি রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

সফরের শুরুর দিন ভুটানের রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ভুটানের রাজাও শ্রদ্ধা জানান। পরে বিকেল সোয়া ৫টায় (মঙ্গলবার) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান ভুটানের রাজা।

নিউজ ট্যাগ: জিগমে খেসার

আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



গাজায় দুর্ভিক্ষ, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৫ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের অবিরাম গণহত্যা অভিযানে তছনছ হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হানা দিয়েছে। সেখানে ভিক্ষা দেওয়ার মতো মানুষ নেই। অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা। খাবারের অভাবে অপুষ্টির কারণে এরই মধ্যে শিশুসহ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। তবে ইসরায়েল অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা-হাঙ্গামা জারি রেখেছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জুমা দিনে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে হত্যা করেছে। এসব ঘটনায় প্রায় দেড়শ মানুষ আহত হয়েছে। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৬০০ ছড়িয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, যা সম্ভবত সম্পূর্ণরূপে বিরাজমান।’

জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করে বলছে, মে মাসে পুরো গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়বে। এ অব্স্থায় গাজায় বাধাহীন ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। পরদিন শুক্ররার মার্কিন এক কর্মকর্তা উত্তর গাজার দুর্ভিক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে এখনও দুর্ভিক্ষ শুরু হয়নি, তবে ঝুঁকি রয়েছে। ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির অর্থ হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জরুরিভাবে’ উত্তর গাজায় খাবার পাঠাতে হবে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র তামারা আলরিফাই এর আগে আলজাজিরাকে বলেছিলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫৫ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করছে, সেখানে ফিলিস্তিনিদের চাহিদা মেটাতে ন্যূনতম ৫০০ ট্রাক খাবার প্রয়োজন।

গতকাল জাতিসংঘ শিশু তহবিলের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, গাজায় যার সঙ্গেই কথা হচ্ছে, তিনি বলছেন; আমাদের খাদ্য প্রয়োজন। সব কথার আগে তারা এটিই বলছেন।’

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছিল, মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোনো সময় উত্তর গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হতে পারে। এতে আরও বলা হয়, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যা অভিযান থামাতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি। গত বৃহস্পতিবার রাতে জো বাইডেনের একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন একদল মানুষ। তাদের বলতে শোনা যায়, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত। ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা থামাতে বলুন।’ এ সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা।

পবিত্র রজমান মাসে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, তা নজিরবিহীন। গাজার এক বাসিন্দা আলজাজিরাকে বলেছেন, আমরা মৃত্যু মুখেও রোজা রাখছি।’


আরও খবর



সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষ উদ্‌যাপন, যা বলল ডিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা উপেক্ষা করে নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিএমপি বলেছে, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদ্‌যাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার।

এতে বলা হয়, উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে ,আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বলছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এ সব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদ্‌যাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌দযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

ডিএমপি বলছে, উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও ঊদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।


আরও খবর