আয়ারল্যান্ডের
হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তার, রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি দুই নম্বরে।
নেতৃত্বের দিক থেকে তিনিই সফলতম। কিন্তু বিগত চার বছর ধরে টি-টোয়েন্টি দলের বিবেচনায়
ছিলেন না। আয়ারল্যান্ডের হয়ে কেবল ওয়ানডে খেললেও সেখানেও ব্যাটে তেমন ধারাবাহিকতা ছিল
না। সবকিছু মিলিয়ে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
বৃহস্পতিবার
(১৬ জুন) আন্তর্জাতিক আঙিনায় ১৬ বছরের যাত্রার ইতি টানার ঘোষণা দেন ৩৭ বছর বয়সী পোর্টারফিল্ড।
২০০৬ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন পোর্টারফিল্ড। এই সংস্করণে ১৪৮
ম্যাচ খেলে ১১ সেঞ্চুরি ও ২০ ফিফটিতে তার রান ৪ হাজার ৩৪৩। গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বিপক্ষে খেলা ওয়ানডে ম্যাচটি হয়ে রইল দেশের হয়ে তার শেষ। ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও করে
ফেলেছেন পোর্টারফিল্ড। নিজের সাবেক কাউন্টি দল গ্লস্টারশায়ারের কনসালটেন্ট কোচ হিসেবে
কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
অভিষেকের দুই
বছর পর জাতীয় দলের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। এই সংস্করণে সবশেষ ম্যাচ খেলেন
২০১৮ সালে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৬১ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিতে
পোর্টারফিল্ডের রান ১ হাজার ৭৯। ২০০৮ সালে ট্রেন্ট জনস্টনের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব পান
পোর্টারফিল্ড। তার নেতৃত্বে সবচেয়ে বেশি ১১৩ ওয়ানডে খেলেছে আইরিশরা। সর্বোচ্চ ৫০ জয়ও
তার সময়েই। ৫৬ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতান ২৬টিতে, দুটিই সর্বোচ্চ। এখন
পর্যন্ত তিনটি টেস্ট খেলা আয়ারল্যান্ডের সবগুলো ম্যাচেই অধিনায়ক ছিলেন পোর্টারফিল্ড।
২০১৯ সালের নভেম্বরে নেতৃত্বের ১১ বছরের অধ্যায়ের ইতি টেনে দেন পোর্টারফিল্ড। এবার
বিদায় বলে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই।