আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আন্তঃনগর ট্রেনের দায়িত্বে পুলিশ, ক্ষুব্ধ রেলবাহিনী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তঃনগর ট্রেনের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) আর এ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ফলে ভাতাও পাবে না। এতে ক্ষুব্ধ রেলের নিজস্ব বাহিনীর সদস্যরা। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আরএনবি ট্রেন পরিচালনায় সম্পৃক্ত জনবল তথা রানিং স্টাফ নয়। তাদের ভাতা পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

রেলওয়ের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে রেঞ্জ রয়েছে। কর্মপরিধি অনুযায়ী, স্টেশন এলাকা ও রেললাইনের দুই পাশের ১০ ফুট করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রেলওয়ে পুলিশের। অন্যান্য স্থাপনা ও সম্পদ পাহারায় থাকে আরএনবি। এ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, ট্রেনে বিনাটিকিটে যাত্রী তুলে নিজের পকেট ভারী করার অভিযোগ রয়েছে। আবার চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব পালনের কারণে ভাতাও পেয়ে থাকেন।

বিনাটিকিটের যাত্রী ও ভাতার খরচ কমাতে আরএনবিকে চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে রেলসূত্রের খবর। তবে আরএনবি সদস্যদের দাবি, এতে তারা শুধু ভাতা হারাবেন না, যাত্রীরাও নিরাপত্তাহীনতায় পড়বেন। ছিনতাই, মাদক পরিবহন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, মলমপার্টির উৎপাত বাড়বে। বিনাটিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া টাকার পুরোটা পকেটে ঢোকাতে কর্তৃপক্ষকে দিয়ে পুলিশ ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা আরএনবিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে।

তবে রেলসূত্রের ভাষ্য, আরএনবি সদস্যদের অস্ত্র না থাকায় ছিনতাই, মাদক পরিবহন, চোরাচালানের মতো অপরাধ দমনে সক্ষম নয়। বিনাটিকিটের যাত্রী তুলে যে উপরি আয় হয়, তা পুলিশ, রানিং স্টাফ এবং আরএনবির মধ্যে ভাগ হতো। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ায় এ ভাগ হারিয়েছে আরএনবি। পুলিশের কব্জায় যাবে তা। ভাতা ও উপরি আয় হারিয়ে ক্ষুব্ধ আরএনবি। 

আরও পড়ুন>> উচ্চবিত্ত পর্যায়ে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেছেন, আরএনবি রানিং স্টাফ নয়। তাই আন্তঃনগর ট্রেনের দায়িত্ব থেকে তাদের সরানো হয়েছে। অন্যান্য ট্রেনে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ট্রেনের সামনের দিকে এবং পেছনে দুটি পৃথক গার্ড ব্রেক থাকে। আরএনবি সদস্যরা তা পাহারা দিতেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে সামনের গার্ড ব্রেকটি তালাবদ্ধ রাখা হবে।

ট্রেন চালানোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত কর্মী তথা পরিচালক, লোকোমাস্টার (চালক), সহকারী লোকোমাস্টার, সাব লোকোমাস্টাররা রানিং স্টাফ হিসেবে গণ্য হন। তারা দিনে ১০০ মাইলের বেশি ট্রেন পরিচালনা করলে এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ মাইলেজ ভাতা পান, যার ৭৫ শতাংশ পেনশনে যোগ হয়। পরে আদালতের রায়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই), অ্যাটেন্ড্যান্টসরা রানিং স্টাফের স্বীকৃতি পেয়েছেন। খরচ কমাতে সরকার মাইলেজ ভাতার সুবিধা বাতিল করেছে। তবে রানিং স্টাফদের আন্দোলনে তা পুনর্বহালের প্রক্রিয়া চলছে। আরএনবিও একই সুবিধা চাইছে। মাইলেজ না পেলেও ট্রেনে দায়িত্বের জন্য মূল বেতনের অনুপাতে ভাতা পেতেন আরএনবি সদস্যরা।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তঃনগর ট্রেন থেকে আরএনবিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে প্রতিটি ট্রেনে একজন হাবিলদারের নেতৃত্বে দু-তিনজন করে আরএনবি সিপাহি থাকত। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, বিভিন্ন সময় আরএনবি সদস্য বিষয়ে কথা উঠেছে। তারা কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটিয়েছে। তাই এই বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে ঠিক কী কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা বোধগম্য নয় বলে দাবি করেছেন আরএনবির পূর্বাঞ্চলীয় চিফ কমান্ডেন্ট মো. জহিরুল ইসলাম। বাহিনীতে দুই হাজার সদস্য থাকার কথা থাকলেও এখন আছে মাত্র ৮০০। 

আরও পড়ুন>> দেশে নতুন জঙ্গি সংগঠন, করছিল হামলার পরিকল্পনা

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট কার্যালয়ের চাহিদায় ২০০৬ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনে আরএনবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। একজন লোকোমাস্টার ঢাকা-ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটের আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেসের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ট্রেনটিতে প্রতি যাত্রায় অন্তত শপাঁচেক বিনাটিকিটের যাত্রী থাকেন। পুলিশ, আরএনবি এবং রানিং স্টাফরা এসব যাত্রী তোলেন। যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা আদায় করলেও প্রতি যাত্রায় লাখ টাকা উপরি আয় হয়। পুলিশ, আরএনবি এবং রানিং স্টাফ মিলিয়ে একটি ট্রেনে ২০ জনের বেশি থাকে না। ফলে জনপ্রতি দিনে আয় ৫ হাজার টাকা। খরচ কমাতে অ্যাটেনড্যান্টস সরিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঠিকাদারের মাধ্যমে অনবোর্ড সেবা দিতে যেসব বেসরকারি কর্মী রাখা হয়েছে, তারাও ভাগ পান। ভাগ পান রেলের কর্মকর্তারাও। উপরি আয়ের জন্যই আরএনবিসহ সবাই ট্রেনে দায়িত্ব পালন করতে চায়।


আরও খবর



একীভূত হওয়ার খবরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাংকটির শেয়ারের দাম ২ শতাংশের বেশি বা ৫০ পয়সা কমেছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সংকটে থাকা সরকারি বেসিক ব্যাংকের একীভূত হওয়ার খবর আসে।

মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতেই সিটি ব্যাংকের শেয়ারের দর পড়ে যায়। ব্যাংকটির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয় আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়সা কমে। আর দিন শেষে এটির শেয়ারের দাম ৫০ পয়সা কমে নেমে আসে ২২ টাকা ৪০ পয়সায়।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিটি ও বেসিক ব্যাংকের একীভূত হওয়ার খবরে বিনিয়োগকারীরা তেমন একটা খুশি নন; কারণ তারা মনে করেন, এই একীভূতকরণ তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য সুবিধা দিতে পারবে না।

এর আগে গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। একীভূতকরণের ঘোষণায় এক্সিম ব্যাংকের শেয়ারের দাম ১০ টাকার ফেস ভ্যালুর নিচে নেমে যায়। বর্তমানে ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৯ দশমিক ৫০ টাকায়।


আরও খবর



ঈদে আনফিট গাড়ি নামালে কঠোর ব্যবস্থা: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, ঈদে আনফিট গাড়ি নামার সুযোগ নেই, কেউ যদি বের করে, সেটি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে লোকাল প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ শনিবার গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান একথা বলেন।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতিবছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য আমরা বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজার্ভেশনে রেখেছি। এছাড়া গার্মেন্টস মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং এখানে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই। এছাড়া যেসব জায়গা থেকে আনফিট গাড়ি বের হওয়ার চেষ্টা করে সেগুলো বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করেছি। গাবতলী বাস টার্মিনালে আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। বিভিন্ন টিকেট কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, বেশিরভাগ জায়গায় ভাড়া কম নেওয়া হচ্ছে। দুই-এক জায়গায় রুট ভুল লিখেছে। তাই ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে বলেছি। এখানে যাত্রীরও তেমন ভিড় নেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়াও অভিযোগ দেখছি না।

বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিলেন্স টিম সদস্য দেখছেন। মালিক সমিতির নেতারাও এই ব্যাপারে সিরিয়াস, যাতে তাদের বদনাম না হয়।


আরও খবর



রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঈদযাত্রায় সহজ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আপনারা জানেন। এখন আমরা ঘরের ভেতের করছি, কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য পুরো সেশনটিই উন্মুক্ত ছিল। যে যা বলেছেন, সবই আপনারা পেয়েছেন। যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিএ, তাও আপনাদের জানানো হয়েছে পরিষ্কারভাবে।

তবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঈদের পরে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আপনারা ঈদের পরে প্রশ্ন করতে পারেন। গাড়ির চাপ আছে, কিন্তু যানজট নেই, এটা আমি বলতে পারবো।

ঢাকায় অস্বাভাবিক যানজট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই, থাকবে না। রাজধানী খালি হয়ে গেছে। কোথায় যে দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার!

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে, আশা করি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


আরও খবর



ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



রমনার বটমূলে মানুষের ঢল, সুরের মূর্ছনায় বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। সকাল সোয়া ছয়টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই স্থান পেয়েছে লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। এছাড়া অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবার ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ১১টি সম্মেলক গান, ১৫টি একক গান, পাশাপাশি পাঠ ও আবৃত্তি রয়েছে।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয়ে আলাদা।


আরও খবর