বাংলাদেশে নিষিদ্ধ
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গি সদস্য আবু তাল্লাহ'র খোঁজে আসাম পুলিশ। সম্প্রতি আসামের
বিলাসিপাড়া থেকে দলের নারী সদস্য জহুরা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করে
জানা গেছে, করোনার সময় বাংলাদেশের নিষিদ্ধ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৬ জঙ্গি আসামে প্রবেশ
করে। তার মধ্যে অন্যতম আবু তাল্লাহ। এখন তার খোঁজে আসামের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি
চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে আসামের
বরপেটায় ঢাকলিয়া পাড়ার মাদ্রাসা শিক্ষকের ছদ্মবেশে লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের মৃত্যুদণ্ড
প্রাপ্ত জঙ্গি মুহম্মদ সুমন। গত ৪ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে আসাম পুলিশ। স্থানীয় এক
নারীকে বিয়ে করে জঙ্গি আর্দশ ছড়ানোর কাজ করছিল সে। একইভাবে আবু তাল্লাহ বাংলাদেশ থেকে
পালিয়ে এসে বিলাসিপাড়ায় আশ্রয় নেয়। স্থানীয় জহুরাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তাকে বিয়ে
করে জেহাদি আর্দশে দিক্ষিত করে সে। আবু থাকতো মৈরাবাড়ির শহরিয়া পাড়ার মুফতি মোস্তফার
জমিউল হুদা মাদ্রসায়। মাদ্রসার ছাত্রদের মগজ ধোলাই করত আবু। কিন্তু গত ৫ মাস আগে জহুরাকে
নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় আবু। মোস্তাফাকে আটক করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই জুহুরার
সন্ধান পায় নিরাপত্তা বাহিনী।
গ্রেফতারে জানা
গেছে,জহুরা গ্রামের সাধারণ মেয়ে হয়েও একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ। গোয়েন্দারা জহুরার মোবাইলে
এমন কিছু অ্যাপ পেয়েছেন যা সাধারণত ইন্টারনেটে বা প্লে স্টোরে থাকে না। এর জন্য ডার্ক
নেটের প্রয়োজন। পুলিশে ধরা পড়ার আগমুহুর্তে নিজের মোবাইল জ্বালিয়ে ফেলার চেষ্টা করেও
সফল হয়নি জহুরা। গোয়েন্দারা মনে করছেন,আবুর নির্দেশেই মোবাইল জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
করেন জহুরা। জহুরাকে জেরা করে আসামে আনাসারুল্লা বাংলা টিমের নেটওর্য়াক আর স্লিপার
সেল ভাঙার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।