আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
বেশ ক’দিন ধরে তাপদাহে পুড়ছে দেশ। অসহনীয় গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ। একের পর এক রোগী ভর্তি হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্থান সংকুলান না হওয়ায়, অনেকের শয্যা মিলছে হাসপাতালের বারান্দায়। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গত সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয় ২৯ জন। আর তাদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এর বাইরে অনেক ডায়রিয়া রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এপ্রিল মাসে এ হাসপাতালে শুধু ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৩৭ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরম, দূষিত পানীয় জল ও বাসি খাবার খাওয়ার কারণেই মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে আক্রান্ত রোগীরা বিশেষ কোনো এক জায়গা থেকে আসছে না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ড দুটিতে রোগীর চাপ সামলাতে না পেরে বাইরে অতিরিক্ত বেড়েও চিকিৎসা থেকে কিনতে হয়েছে। দিতে হচ্ছে। তবে ওয়ার্ডের ভেতরের অবস্থা খুবই নাজুক। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা তো নেই, বিদ্যুৎ নেই বলে পাখাও ঘুরছে না। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসকের দেখাও মেলেনি। কর্তব্যরত নার্সরা বললেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অবস্থা। গুরুতর না হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বেডের শিশু রোগী সাঈদ বাবা নাসির উদ্দিন বলেন, হঠাৎ করেই আমার বাচ্চার পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এতে সে দুর্বল হয়ে পড়েছে। পরে তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তবে স্যালাইনসহ সব ওষুধ কিনতে হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, 'ডায়রিয়া রোগী বেশি হওয়ায় সামাল দিতে কষ্ট হলেও সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত স্যালাইন থাকলেও ওষুধপত্রের কিছু সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসে জানানো হয়েছে।