মুসলিমদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে তাই প্রস্তুত হচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। সেই সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটছে হাট ইজারাদারদের। এরই ধারাবাহিকতায় সারি সারি বাঁশের খুঁটিতে সেজেছে আনোয়ারা উপজেলার তিনটি স্থায়ী ও নয়টি অস্থায়ীসহ ১২টি পশুর হাট বাজার।
পাশাপাশি গরু বিক্রেতা খামারি আর পাইকারদের জন্য জায়গাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে একাধিক শেড ও বাঁশের আস্তাবল। সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষে অস্থায়ী এই হাটটিতে এখন শুধু কোরবানির পশু আসার অপেক্ষা।
হাট ইজারাদাররা বলছেন, আগামী ২০ তারিখের পর থেকে জমে উঠবে পশুর হাট। এখনও হাটে তেমন গরু আসেনি। কেউ কেউ আগেই গরু নিয়ে এসেছেন হাটে। তবে এ সময়ে গরু তেমন বিক্রি হয় না। বিক্রি জমজমাট হবে শেষ তিনদিন। তৈলারদ্বীপ পশুর হাটের ইজারাদার নূর মোহাম্মদ বলেন, এ বাজার দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তম পশুর বাজার। কোরবানকে সামনে রেখে বাজারের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে পুরো বাজারজুড়ে সিসি ক্যামেরা।
জানা গেছে, উপজেলায় তৈলারদ্বীপ পশুর হাট, বটতলী রুস্তম হাট, চাতরী চৌমুহনী বাজার, রায়পুর ওয়াহেদ আলী চৌধুরী বাজার, জেদ্দার হাট গহিরা দোভাষীর হাট, আন্নর আলী সিকদার হাট, বরুমচড়া কানু মাঝির হাট, মিন্নত আলী দোভাষীর হাট, কেবি ছাত্তার হাট, মালঘর বাজার ও পালের হাটসহ ১২টি বাজারে কোরবানের পশু কেনাবেচা হয়। তৈলারদ্বীপ পশুর হাট, বটতলী রুস্তম হাট ও চাতরী চৌমহনী বাজারে স্থায়ী পশুর হাটের ইজারা রয়েছে। এছাড়া বাকি নয়টি বাজারে কোরবান উপলক্ষে অস্থায়ী পশু কেনাবেচা হয়ে থাকে।
প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, আনোয়ারায় ৩০০টি খামার রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে উপজেলায় এ বছর ৬০ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এদিকে কোরবানির পশু নিরাপদ করতে গরু মোটা-তাজাকরণে ওষুধ ব্যবহার বন্ধে খামারিদের কাউন্সিলিং ও পরামর্শ এবং খামারে খামারে তদারকি করছে প্রাণিসম্পদ অফিস।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, আনোয়ারায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পশু কোরবানি করে থাকেন। গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলে ৩০০টি খামার রয়েছে। এছাড়াও অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও পশু পালন করেন। এবার কোরবানের জন্য ৬০ হাজার পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। চাহিদা বাড়লেও পশু সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। প্রতিটি বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষে মেডিকেল টিম থাকবে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, কোরবানের পশুর বাজারগুলোতে সার্বক্ষণিক আইশৃঙ্খলা বাহিনী ও মোবাইল কোর্ট নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। জাল টাকা সনাক্তে প্রতিটি বাজারে জালনোট সনাক্তের মেশিন বসানো হবে।