আনোয়ারায় শীতের
অন্ধকার কুয়াশার মধ্যে বেড়ে গেছে গরু মহিষ চুরিসহ গ্রাম-গঞ্জের নানান অপরাধ কর্মকাণ্ড।
উপজেলার বিভিন্নস্থানে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে চুরির ঘটনা। এতে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ রয়েছে
আতঙ্কে।
গত বুধবার দিবাগত
রাত ২টার দিকে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নে মামুরখাইন গ্রামে বরকত উল্লাহ চৌধুরীর বাড়ি
হতে গোয়াল ঘর থেকে আবুল কালাম ও বদরুল হক নামে দুই ব্যক্তির গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে
বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুরি হওয়া গরু দুইটি আনুমানিক মূল্য ২লাখ ৫০ হাজার টাকা। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। প্রায় প্রতিরাতেই
কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। কৃষি নির্ভর এলাকার পরিবারগুলো
গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ২বছরের জানুয়ারি মাস হতে চলতি মাস পর্যন্ত পরৈকোড়া ইউনিয়নে
মামুরখাইন গ্রামে ২৫টি গরু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত
আবুল কালাম বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরু গুলোকে গোয়াল ঘরে
বেঁধে রেখে যাই। ভোরে ফযর নামাজের সময় গরুগুলোকে খেতে দিতে গেলে দেখি গোয়ালঘরে কোন
গরু নেই। এর পরেই তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে আসে এবং বিভিন্ন জায়গায়
খোঁজাখুঁজি করেও গরু গুলোর কোন খোঁজ পাননি।
অন্যদিকে গত
১৩ই জানুয়ারী শুক্রবার রাত ২টার পর একদল চোর উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের মৌলভী দিঘীর
পাড়া এলাকার খোরশেদের বাপের বাড়ির বাচ্চু মিয়ার গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে একটি গরু
চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরি হওয়া গরুটির মূল্য ৬০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে। তার আগে
গত মঙ্গলবার রাতে ডুমুরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ মিয়া মেম্বার বাড়ির বাসিন্দা ইজ্জত
আলীর বাছুরসহ ১টি গাভী চুরি করে নিয়ে গেছে, যার মূল্য এক লাখ বিশ হাজার টাকা বলে জানা
গেছে।
এ বিষয়ে জানতে
চাইলে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মীর্জা মুহাম্মদ হাসান বলেন, পরৈকোড়া ইউনিয়নে
মামুরখাইন গ্রামে গরু চুরির বিষয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেন নি, অভিযোগ পেলে
আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গরু চুরির বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।