আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছোড়া বন্ধে রিটের আদেশ আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি আদেশের জন্য আজ রোববারের (৪ আগস্ট) কার্যতালিকায় রয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চে রিটটি আদেশের জন্য ১০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালাতে এবং ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই রিটটি করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি রিটটি করেন। গত ২৯ ও ৩০ জুলাই রিটের ওপর শুনানি হয়।

৩১ জুলাই রিটটি আদেশের জন্য ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় ছিল। তবে বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন অসুস্থ থাকায় একক বেঞ্চ বসেন। যে কারণে বুধ ও বৃহস্পতিবার ওই রিটের শুনানি হয়নি।

এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গত বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চসিকের প্রশাসক হিসেবে যোগ দিলেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে যোগদানের পর চসিকের বিভাগীয় প্রধানদের সাথে সাথে মতবিনিময় করেন প্রশাসক।

এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রশাসককে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।

সভায় প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (সিডিএ) সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে হবে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও আলোকিত রাখার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও চেইন অফ কমান্ড শক্তিশালী করে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দেয়ার বিষয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

‌‘বর্তমানে ডেঙ্গুর যে শঙ্কা সেটি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। মশা মারার ঔষধে যাতে কোনো ঘাটতি না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মশাকে উৎস থেকে নির্মূলে কাজ করতে হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোরারোপ করে প্রশাসক বলেন, নগরীর কিছু বর্জ্য চসিকের ব্যবস্থাপনার আওতার বাহিরে থাকায় খাল-নালায় চলে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এজন্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, লোকজন কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারে তদারকি বাড়াতে হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে যা আয় হয় তা নগরবাসীর সেবাতেই ব্যয় হয়। আয় যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে জনগণকে সেবা দেয়া যাবেনা। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে সেবার মান বাড়ে সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে।

প্রশাসক বলেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের সচল করতে পারলে বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য নগরবাসীকে আর চসিকের প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত আসতে হবে না। এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চলসমূহ বণ্টন করে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিং করতে হবে।

জনগণের মাঝে তথ্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে। এজন্য চসিকের ওয়েবসাইটকে হালনাগাদ রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিতে হবে। উন্নয়ন কাজের গুণগত মান নিশ্চিতে মনিটরিং বাড়াতে হবে। ঠিকাদার যথাযথভাবে মালামাল দিল কিনা, নির্দেশনা অনুসরণ করল কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, উপসচিব আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলামসহ কর্মকর্তারা।


আরও খবর



উপাচার্যসহ ৭৫ জনের পদত্যাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরকার থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনে থাকা এ পর্যন্ত মোট ৭৫ সদস্য পদত্যাগ করছেন। ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রমে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রেজিস্ট্রার দপ্তর।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সর্বপ্রথম গত ছয় আগস্ট পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে।

এরপর গত আট আগস্ট একযোগে পদত্যাগ করেন ৩৩ জন প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর ও অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, হিসাব পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, ইংলিশ এন্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ ইনিস্টিউটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেলে পরিচালক ড. দুলাল চন্দ্র রায় এবং সহ-পরিচালক ড. মশিউর রহমান ও ড. আব্দুর রশিদ সরকার, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক শহিদুল আলম, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক সাদিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের পরিচালক সায়েদ মুস্তাফিজুর রহমান, টিএসসিসি'র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মিজানুর  রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন, রাকসু কোষাধ্যক্ষ ড. জাফর সাদিক, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রশাসক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ুম আন্তর্জাতিক ডরমিটরির অর্ডেন আতিউর রহমান, ওআইএ এর পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান, অফিস অব. দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সহকারী পরিচালক ড. শামস্ মুহাম্মদ গালিব, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এন্ড ডেভেলপমেন্টের সহকারী পরিচালক যিনাতুল ইসলাম, বিজ্ঞান কারিগরি কারখানার প্রশাসক ড. মো. মাহাবুবুর রহমান, বিএনসিসির প্রফেসর আন্ডার অফিসার ড. শমরিতা আলম।

প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য পদত্যাগ করেন। সহকারী প্রক্টররা হলেন, ড. মাহফুজুর রহমান, ড. পুরনজিত মহালদার, ড. হাকিমুল হক, ড. জহুরুল আনিস, ড. সাইকা কবির মিতু, ড. হামিদুল হক, ড. জাকির হোসেন, ড. কনক পারভেজ, ড. রতন কুমার, ড. কামরুজ্জামান ও ড. আল মামুন।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের মধ্যে ৯টি হলের প্রাধ্যক্ষরা পদত্যাগ করেছেন গত ১৪ আগস্ট। পাশাপাশি এইসকল হলের ৩১ জন আবাসিক শিক্ষকও পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগ করা ৯ প্রাধ্যক্ষ হলেন- রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়ন্তী রানী বসাক, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারজানা কাইয়ূম কেয়া, রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হাসনা হেনা, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসিরুদ্দিন, তাপসী রাবেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জুয়েলী বিশ্বাস, বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরা খানম, মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশিদা খাতুন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।

পদত্যাগ করা ৩১ জন আবাসিক শিক্ষক হলেন- রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ড. দুলাল চন্দ্র কবিরাজ, ড. ফেরদৌস আক্তার, ড. রনী রানী, ড. মো. মতিকুল ইসলাম ও সোমা দেব; বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. ইসতিয়াক মাহফুজ, ড. সুমনা সরকার, ড. বেবী বিশ্বাস ও ড. মনিকৃষ্ণ মহন্ত; রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আমিরুজ্জামান, শারমিন আখতার, কে এম সাব্বির হাসান; জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক তপন কুমার বর্মণ, হেমন্ত কুমার ভদ্র, ড. মো. আবদুর রশিদ ও ওমর ফারুক।

শহীদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ড. মোহা. আশিক শাহরিয়ার, ড. ছালেকুজ্জামান খান ও মো. আরমান হোসেন; তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক মো. তামজিদ হোসেন মোল্লা, মো. রাকিবুল ইসলাম, রাদিয়া আউয়াল তৃষা ও মো. ওমর ফারুক; বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক আইরিন চৌধুরী, ড. শেখ সেমন্তী ও সঞ্জয় কুমার চক্রবর্ত্তী; মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষক ড. খাইরুল ইসলাম, ড. মাহমুদা আকতার, ড. মো. শামীম হোসেন এবং ড. মো. ইসামঈল হোসেন।

এবিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ব্যক্তিগত কারণেই অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।


আরও খবর



ধামরাইয়ে শাপলা বেঁচে জীবিকা নির্বাহ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিলজুড়ে শুষ্ক মৌসুমে আবাদ হয় ধান ও নানা ধরনের সবজি। আর যেখানে পানি থাকে সেখানে মেলে মাছ। তবে মানুষগুলো বিপদে পড়েন বর্ষা মৌসুমে। পুরো বিল পানির নিচে থাকায় বেকার হয়ে পড়ে নিম্নআয়ের পরিবারগুলো। বর্ষার থৈ-থৈ পানিতে জন্মানো শাপলায় মনোহারী হয়ে ওঠে পুরো বিল। এই শাপলাই এখন হয়ে উঠেছে কর্মহীনদের জীবিকার অবলম্বন। বিলের শাপলা তুলে তা বিক্রি করে চলছে কয়েকটি পরিবার। স্থানীয় হাটের পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রাইকারি ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে এ শাপলা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পানিতে তলিয়ে যাওয়া চক ও বিভিন্ন বিল ঘুরে দেখা যায়, কৃষি জমি,খাল-বিলগুলোয়ও শাপলা জন্মে থাকে। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা তুলতে প্রতিদিন ভোর থেকেই বিলে নেমে পড়েন কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও। ছোট ছোট ডিঙি ও কোষা নৌকায় বিলজুড়ে ছুটে বেড়ান তারা।বিভিন্ন গ্রামের চক ও বিলে ব্যস্ত থাকেন শাপলা তুলতে। দুপুর ও বিকেল বেলায় নৌকাভর্তি শাপলা নিয়ে ফেরেন তারা। এর পর বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। পাইকাররা সেখান থেকে কিনে ট্রাক ও পিকআপে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যান। সবজি হিসেবে শাপলার জুড়ি মেলা ভার। শুধু বর্ষায় মেলে বলে চাহিদাও থাকে বেশি। রঘুনাথপুর বিলের শাপলার কদর বেশি।

স্থানীয়রা জানান, কোনো পুঁজির প্রয়োজন না হওয়ায় বর্ষাকালে বিভিন্ন বয়সের অনেক মানুষ এ কাজে যুক্ত হন। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা সংগ্রহকারীরা নৌকা নিয়ে ডুবে যাওয়া জমিতে ও বিলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে শাপলা তুলতে থাকেন। বিস্তীর্ণ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে অনেক শাপলা হয়ে থাকে। শাপলা বিক্রি করে একজন ব্যক্তি দিনে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করতে পারে ।

কয়েকজন শাপলা সংগ্রহকারী জানান, এ সময়ে একেকজন কমপক্ষে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ মোঠা শাপলা সংগ্রহ করতে পারে। পাইকারেরা আবার এসব শাপলা সংগ্রহকারীর কাছ থেকে কিনে একত্র করেন। দিন শেষে একেক জন ব্যক্তি সংগৃহীত শাপলা বিক্রি করে সাতশো থেকে একহাজার টাকা আয় করে থাকেন।

উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিল থেকে শাপলা সংগ্রহকারী মোঃ জসিম বলেন, শুকনাকালে ইট বালুর ট্রাকে কাজ করে সংসার চালান আর বর্ষাকালে আমাদের চারপাশে পানি থাকে। কোথাও কোনো কাজ থাকে না। বেকার বসে থাকেতে হয়। তাই এই সময় বসে না থেকে বিল থেকে আমি আর আমার ভাই দুই জন মিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাপলা তুলে মোঠা বেধে বাইপাইল বাজারে পাইকার বিক্রি করি, প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করি , গাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বাদে আমরা দুজনেই ভাগ করে নেই, আর সেই টাকা দিয়েই সংসার চালাই।

একই গ্রামের দিনমজুর মো. মিরাজ বলেন, বর্ষায় একদম বেকার হয়ে পড়েন। তবে শাপলা তুলে সংসার চালানোর পাশাপাশি কিছু সঞ্চয়ও করতে পারছেন। প্রতিদিন তিনি ৭০০ থেকে হাজার টাকা রোজগার করেন।

পাইকার আয়নাল হক জানান, স্থানীয়দের কাছে শাপলা কিনে তিনি পিকআপে করে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন। প্রতি আঁটি শাপলা কেনেন খুচরা ১৪ থেকে ১৬ টাকায় আর ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন ২০ থেকে ২৫ টাকায় । 

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে মৌসুমে শাপলা উৎপাদন হয়ে থাকে। এসময় বেকার ও নিম্ন আয়ের মানুষ শাপলা বেচা কেনার সঙ্গে জড়িত। শাপলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি, শাপলায় প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকে। এছাড়াও শর্করা, ক্যালসিয়াম, আমিষ পাওয়া যায় শাপলা থেকে। শাপলা তরকারি হিসাবেও খুবই মজাদার।


আরও খবর



পাবনায় প্রকাশ্যে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

পাবনায় হোটেলে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের বাস টার্মিনালের হালিম হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতর মিলন হোসেন মধু (৪৫) পাবনা শহরের পূর্ব শালগাড়িয়ার মুজাহিদ ক্লাবের বাংলা বিড়ির গলির আরমান শেখের ছেলে এবং মঞ্জু প্রামাণিক (৪৪) পূর্ব রাঘবপুর এলাকার নুর আলীর ছেলে। মধু পরিবহনের চাঁদা তুলতেন আর মঞ্জু অটোরিকশা চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহতদের স্বজন ও হোটেল কর্মচারীরা জানান, সকালে হোটেলে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন মধু ও মঞ্জু। হোটেলের সামনে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তারা হোটেলের সামনে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন দুজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখছি; পরে বিষয়টি বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান ওসি।


আরও খবর



শেরপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষ দুই মাইক্রোবাস: ১৭ জন আহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুর পৌর শহরের নবীনগর পাসপোর্ট অফিসের পাশে দু'টি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি না হলেও আহত কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ৫ টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে ৪ জন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আরো ১০/১২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে ৪/৫ জন শিশুও রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে শেরপুর শহরের নবীনগর পাসপোর্ট অফিসের পাশে বিকট শব্দে দুটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে আহতদের গাড়ি থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর

আরও খবর