আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আন্দোলনের পঞ্চম দিনেও উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদেশি শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনের পাশাপাশি একটি মিছিল ও বের করে তারা। এসময় ধর্ষণ বিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টায় বশেমুরবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল সারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্ত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বশেমুরবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত সোমালিয়ান, নেপালি ও বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।

এনিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী অসমিতা কারকি বলেন, "আমরা এই ভার্সিটিতে, এই শহরে নিরাপদ বোধ করছি না৷ আমাদের একটাই দাবি আমাদের বোনের ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।"

একই বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী জিতু হাঙ্ক বলেন, "আমরা নেপাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তার বিচার চাওয়ায় আন্দোলনকারীদের উপর হামলাও হয়েছে এই ঘটনায় আমরা এখানে নিরাপদ বোধ করছি না। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক এটাই চাই।"

এছাড়াও সিএসই বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী বিবেক করণ, সোমালিয়ান শিক্ষার্থী মোঃ আদম বক্তব্য দেন৷ বক্তারা বলেন, "যে ঘটনাটি ঘটে গেছে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হোক।"

আজকের দিনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিকাল ৪:৩০ টায় মুখে কালো কাপড় ও হাত বেঁধে প্রতিবাদ এবং সন্ধ্যায় ৭ টায় ধর্ষকদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে। এর আগে, সকাল ৭ টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পঞ্চম  দিনের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষক ও হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত বুধবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকায় বন্ধুর সাথে মেসে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক নিকটবর্তী নির্মাণাধীন জেলা প্রশাসন স্কুলে নিয়ে ধর্ষণ করে বশেমুরবিপ্রবির এক শিক্ষার্থীকে। এই ঘটনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় স্থানীয়রা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে উপাচার্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ আহত হয় অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র‍্যাব ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।


আরও খবর



এসএসসির ফলাফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো বোর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে। এরই মধ্যে ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। 

শনিবার বিকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তপন কুমার বলেন, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মেএই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।

এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ এসব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জে পৌরসভার কাউন্সিলর ও তার সহযোগীদের আধিপত্য বিস্তার ও জোড়পূর্বক বাড়িঘর দখলের অভিযোগ এনে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করেছে হাটলক্ষীগঞ্জের এলাকাবাসী।

গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকাবাসীর আয়োজনে মুন্সিগঞ্জ শহরের প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

মানববন্ধনে বক্তৃতা বলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মকবুল হোসেন ও তার ভাই মনির, আনোয়ার, দেলোয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন, অত্যাচার ও জোড়পূর্বক বাড়িঘর দোকান ও জমি দখল করে আসছে।

এলাকার নিরিহ মানুষ তাদের জিম্মি থেকে বাঁচতে এবং অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধের দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা।

মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিউদ্দিন শেখ, মুন্সিগঞ্জ ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো: সোহেল, মোঃ শাহ আলম, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমীক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক ইসলাম, মনির হোসেনসহ হাটলক্ষীগঞ্জের এলাকার শতাধিক জন নারীপুরুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

এই বিষয়ে জানতে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেন জানান, এই অভিযোগ মিথ্যে এইরকম ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।


আরও খবর



নয় জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, নিহত ১৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পিরোজপুর পৌরসভার পালপাড়া ও সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমরিতলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঝড়ের তাণ্ডবে নলবুনিয়া গ্রামের খালে পড়ে মৃত কানাই লাল পালের ছেলে অনিল পাল (৮২) মারা গেছেন।

ঝড়ের সময় কানাই লাল গ্রামের একটি বাজারে ছিলেন। ঝড়ের গতি বাড়তে থাকায় এ সময় তিনি বাড়িতে রওনা দিলে প্রচণ্ড বাতাসে তিনি খালে পড়ে নিখোঁজ হন। ঝড় থামলে পরে স্থানীয়রা তাকে মৃত অবস্থায় খাল থেকে উদ্ধার করে। অপরদিকে, ঝড়ের সময় শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে রুবী বেগম (২২) নামে এক নারী নিহত হন। এসময় তার শিশু কন্যা গুরুতর আহত হলে তাকে খুলনায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ঝড়ে পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপরে পড়ে ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঁচা ঘর-বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা রাস্তায় কাজ করছে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, হঠাৎ ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুরের সদর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ২ জন নিহত হয়েছেন।

কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বহু ঘর-বাড়ি। রোববার বেলা ১১টার দিকে লালমোহনে হঠাৎ করেই বইতে শুরু করে ঝড়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে ঝড়ের তাণ্ডব। এতে ঘর চাপা পড়ে ও বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘর চাপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

একই সময় বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে দুই জনের প্রাণহানিসহ এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

অপরদিকে, বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার তিন শতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হলে এ ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে তিনজন আহত হয়েছে। সবাইকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে পূর্ব সোনারচর গ্রামে।

এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিনশেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার ২নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশ ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখী ঝড়ে রাতুল (১৪) নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রাতুলের বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামে। বাবার নাম জহির সিকদার। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে তিনি মারা গেছেন। আর সুফিয়া বেগমের বাড়ি উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে। তার স্বামীর নাম মৃত আহম্মেদ প্যাদা। ঘরের উপর গাছ চাপা পরে তিনি নিহত হন। এছাড়াও ঝড়ে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থকে ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৫ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে কাঁচা বাড়ি-ঘর, গাছ গাছালি উপরে গেছে। বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত ও কয়েক হাজার গাছগাছালি উপরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বিরামহীনভাবে বজ্রপাত হয়েছে। বাউফল পৌর শহরের থানার সামনে ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার একটি ভবনের টিনের চালা উপড়ে রাস্তায় পরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গোসিংগা গ্রামের আফসেরের গ্রেজ এলাকায় ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে মা সাবিহা (৩০), তার মেয়ে ইভা (১২) ও দুই বছর বয়সি শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে ও বেশ কয়েকটি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তরমুজসহ রবি ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে বাগেরহাটে আকস্মিক ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্নস্থানে কয়েকশ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আকস্মিক ঝড় চলাকালে জেলার কচুয়া উপজেলার চর সোনাকুড় গ্রামে বজ্রপাতে আরিফুল ইসলাম লিকচান (৩৫) নামে মাদরাসার দপ্তরি নিহত হয়েছেন।

এছাড়া জেলা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালে একটি সাইনবোর্ডের টাওয়ার ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহীবাসেরওপর পড়ে এক বাস শ্রমিকসহ বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন জানান, আকস্মিক ঝড়ে বাগেরহাটের দেড় শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

জেলার রাজস্থলী উপজেলায় বজ্রপাতে সাজেউ খিয়াং (৪৮) নামে একজন নিহত গেছেন। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

সাজেউ খিয়াং রাজস্থলী উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ধনুছড়ি পাড়া গ্রামের  অংসাউ খিয়াং এর ছেলে। বিকেলে ধনুছড়ি পাড়া গ্রামের নিজের বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন সাজেউ খিয়াং। এ সময় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি নিজের ঘরে অবস্থান নেন। তখন ঘরে বজ্রপাত হলে মারা যান তিনি।

রাজস্থলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঝালকাঠি জেলার দুই উপজেলায় ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।

মৃতরা হলেন, কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গাজীবাড়ি এলাকার মৃত আলম গাজীর স্ত্রী গৃহিনী হেলেনা বেগম, সদর উপজেলার শেখেরহাট এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী গৃহিনী মিনারা বেগম ও পোনাবালিয়া এলাকার মো. বাচ্চুর মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া আক্তার ঈশান। ঝড়ের আধা ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডবে ঝালকাঠির চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর, দোকানপাট, বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে শেখেরহাট এলাকায় মিনারা বেগম নামে এক নারী এবং পোনাবালিয়া এলাকায় মাহিয়া আক্তার ঈশান নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে।

কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, বজ্রপাতে কাঁঠালিয়া উপজেলার মুন্সিরাবাদ গাজীবাড়ি এলাকায় গরু আনতে গিয়ে হেলেনা বেগম নামে আরেক নারী নিহত হয়েছেন।

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে মো. ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৯) নামের এক মৎস্যচাষি নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়ার কোমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওবায়দুল্লাহ গাজী ওই গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে। ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ফুফাতো ভাই আবু সুফিয়ান বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওবায়দুল্লাহ পাশের কানাইডাঙ্গা বিলে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরে বজ্রপাতে শহীদ মিয়া (৫২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার রাজঘাট হাওরে বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে।

শহীদ মিয়া উপজেলার মেন্দীপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। নিহতের ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানান, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের সামনে রাজঘাট হাওরে মরিচ ক্ষেতের পরিচর্যা করছিলেন তার ভাই। দুপুরের দিকে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় ধান ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (৬০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। সকালে উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটেছে। ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য পোদাউলিয়া গ্রামের জাহান আলি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আব্দুল মালেক উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলি পাটোয়ারীর ছেলে।

নিউজ ট্যাগ: কালবৈশাখী ঝড়

আরও খবর



আজও কিছু এলাকায় ব্যাংক লেনদেন চলবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) কয়েকটি এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকছে। মূলত পোশাক কারখানার কর্মীদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সুবিধার্থে পোশাকশিল্প এলাকায় শুক্র, শনি ও রোববার তিনদিন ব্যাংক লেনদেন চলছে। তবে পূর্ণ দিবসের পরিবর্তে এ তিনদিন সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে লেনদেন চলবে নির্ধারিত সময়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগের পরিচালক মাসুমা সুলতানা জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী/কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও রপ্তানি বিল ক্রয়ের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো ঈদের আগের সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।

ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ছুটির দিন খোলা থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত শাখার অফিস সময়সূচি হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) লেনদেন হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত, অফিস কার্যক্রম চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) ও আগামীকাল রোববার (৭ এপ্রিল) শিল্প এলাকায় ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। অফিস চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বে মামুন উল হক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইটিসি) প্রফেসর মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিব আনিসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ ও প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্তি করা হয়।  সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে। বোর্ডের জাল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির বিষয়ে তথ্য জানতে আলী আকবর খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সেহেলা ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটে পরিচালক সানজিদা আক্তার কলি, কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুন (৪০)।

এই পাঁচজনের মধ্যে পুলিশ সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান ও ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে গত ১ এপ্রিল। তাদের দেওয়া তথ্যে কলিকে কুষ্টিয়া সদর এলাকা থেকে ধরা হয় গত ৫ এপ্রিল। পরে এই তিনজন  আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর কলির জবানবন্দিতে জাল সনদ জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সেহেলার জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে।

গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামান ও সানজিদা আক্তার কলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর