আন্দোলনের নামে বিএনপি লাশের রাজনীতি করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
শুক্রবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভবন অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি হিংসার রাজনীতি করে, বাংলা ভাইয়ের মতো জঙ্গি সৃষ্টি করে, বোমাবাজির রাজনীতি করে, হত্যার রাজনীতি করে, লাশের রাজনীতি করে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, যারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এবং একটা এলিট শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ওরা স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন কীভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যা করা যায়। সেই মানসিকতা থেকেই তো ২১ আগস্ট ঘটাতে চেয়েছিলেন? শুধু শেখ হাসিনা নয়, আপনাদের টার্গেট ছিল এদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির সব নেতাকে হত্যা করা। সুপরিকল্পিতভাবে আপনারা সেদিন আমাদের নেত্রী আইভী রহমানসহ প্রায় ২৫ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছেন।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এদেশের রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সংস্কৃতি ধ্বংসের পেছনে এককভাবে দায়ী। কী বর্বর এবং অসহিষ্ণু ওদের রাজনৈতিক মনোবৃত্তি যে বিরোধী মতামত তো দূরের কথা, পুরো দলটাকেই সাংগঠনিকভাবে নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেন নাই। শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন বলে আজ তিনি এই পৃথিবীর বুকে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবং উন্নয়নে উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। যাকে এই পৃথিবীর বহু সুনামধন্য রাষ্ট্রনায়ক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা অনুসরণ করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির কোনো শক্তি নেই, সাহস নেই। জনগণের অধিকার খর্ব করার জন্যই ওরা রাজনীতির মাঠে নেমেছে। রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার জন্য ওরা মাঠ গরম করার চেষ্টা করছে। আর কিছু না।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, যুবলীগ সৃষ্টি করেছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। আজকে একটা উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার বাঙালির অধিকার ও স্বপ্ন ওরা নস্যাৎ করতে চায়। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সব নেতাকর্মীকে আজ সজাগ, সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। যাতে করে আমাদের আগামীর প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ওরা ধ্বংস করতে না পারে।
আলোচনায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বপ্ন বাস্তবায়নে, দেশ ও জাতির কল্যাণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সৃষ্টি হয়েছিল। এদেশে তরুণ সমাজ-যুব সমাজ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার খুনি, ১০ ট্রাক অস্ত্রের চোরা-চালান মামলার আসামি, জঙ্গিবাদের মদদদাতা, ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ ধ্বংসকারী, বিদেশে অর্থ পাচারকারী খুনি তারেক রহমানকে আর চায় না। তাদের দাবি খুনি তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা।
তিনি মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হতেন তাহলে খুনি তারেকের নির্দেশে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারতেন না। আপনি যদি দেশকে ভালবাসতেন, দেশের মানুষকে ভালবাসতেন তাহলে দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতেন না। আপনি বলেন-পাকিস্তান আমলেই না কি ভাল ছিলেন, আমি বলতে চাই-পাকিস্তান যদি আপনার কাছে এতই প্রিয় হয় তাহলে পাকিস্তানেই চলে যান।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, সহ-সম্পাদক এ কে এম মুক্তাদির রহমান শিমুল, কার্যনির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, বজলুল করিম মীর, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সহ-সভাপতি সাব্বির আলম লিটু, মজিবুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর রহমান, সিদ্দিক বিশ্বাস, শিবলী সাদিক, মামুন সরকার, উপ-দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান কামরুলসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।