বরগুনার আমতলী উপজেলার সরকারি দপ্তর প্রধানদের কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রশাসনিক সম্প্রসারিত নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যেগ নেয় প্রকৌশল দপ্তর। ভবন নির্মাণের জায়গাও নির্ধারিত করে দেওয়া হয়। অথচ প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ এখনো শুরু করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাফিলতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জায়গা নির্ধারণ করে দিলেও উল্টো জায়গা না পাওয়ার অযুহাত দেখিয়ে ভবন নির্মাণের প্রায় ১০ মাস শেষ করেছে। তাছাড়া কাজ করবে না মর্মে জামানতের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে আবেদন করেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, জনসাধারণের সেবার মান বাড়াতে ও সরকারি দপ্তর প্রধানদের কষ্ট কমাতে প্রকৌশল দপ্তর সম্প্রসারিত নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যেগ নেয়। এর ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ২৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮২২ টাকা। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইফটি ইসিটিএল প্রাইভেট লি. ৬ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭ হাজার ৩৪০ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ নেয়। বছরের ৮ মে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ শুরু করেনি। এতে জনগণের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অন্যদিকে সরকারি দপ্তর প্রধানরাও সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাছাড়া খুদে বার্তা পাঠালেও সে কোন সারা দেয়নি।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আলম মামুন বলেন, জায়গা নির্ধারণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরু করার জন্য বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ শুরু করতে সে কোন আগ্রহ দেখায়নি। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি জামানতের টাকা উপজেলা প্রকৌশলীর অনুকুলে আনতে বাংলাদেশ বাংককে চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জী জানান, উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে জায়গা নির্ধারণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরু করতে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তা আমলে নেয়নি। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, জায়গা নির্ধারিত হওয়ার পরেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উপজেলা পরিষদের সম্প্রারিত ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেনি। জামানতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, জামানত ফেরত চেয়ে আবেদনের বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টির সত্যতা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজকের দর্পণ/ কাজী শাহরিয়ার রুবেল/আমতলী