সংযুক্ত আরব আমিরাতের
কাছে ক্ষমা চেয়েছে বিশ্ব পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি
এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাইয়ে চালানো ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের হামলা প্রতিহতে
আমেরিকার পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানোপোড়েন
দেখা দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ
বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করেছে অ্যাক্সিওস
নিউজ, আনাদোলু এজেন্সি, দ্য নিউ আরাব ও মিডল ইস্ট মিররসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম।
এসব গণমাধ্যমের
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
গত জানুয়ারি
মাসে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী সংযুক্ত আরব আমিরাতের
রাজধানী আবুধাবি এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাইয়ে হামলা চালানোর পর আমিরাত এবং আমেরিকার
মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়।
হুথিদের হামলা
প্রতিহত করার ব্যাপারে আমেরিকার পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে সংযুক্ত
আরব আমিরাত মনে করে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ব্লিংকেন এই ক্ষমা
চাওয়ার মধ্যদিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করলেন বলে দৃশ্যত মনে
হচ্ছে।
মরক্কোয় বৈঠকের
সময় ব্লিংকেন স্বীকার করেন যে, হুথিদের হামলা মোকাবেলার জন্য আমেরিকার পক্ষে যথেষ্ট
ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং এজন্য দুঃখিত তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র
দফতরের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা অ্যাক্সিওস নিউজ ওয়েবসাইটকে জানিয়েছেন, মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাতের যুবরাজের কাছে একথা পরিষ্কার করেছেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের
সঙ্গে অংশীদারিত্বকে আমেরিকা অত্যন্ত মূল্যবান মনে করেন এবং অভিন্ন হুমকি মোকাবেলায়
আমেরিকা তার অংশীদারদের পাশে থাকবে।
গত জানুয়ারি
মাসে হুথি যোদ্ধারা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি
ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাইয়ে হামলা চালায়। সেসময় আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে তিনজন
নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছিলেন। এই হামলা ঠেকাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং
পরবর্তীতে আমেরিকা হুথি আন্দোলনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত না করায় আবুধাবি
হতাশা প্রকাশ করে এবং আমেরিকার সঙ্গে ক্রমেই সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি করে। ফেব্রুয়ারি
মাসের শেষ দিকে মার্কিন সেন্টকমের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি আরব আমিরাত সফরে
গেলে আবুধাবির যুবরাজ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করেন।