বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির ভোট গ্রহণ কাল। এই শিল্পী সমিতির ভোটকে কেন্দ্র করে তারকাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
কম হয়নি। আগামী কালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সব বক্তব্য ও পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের অবসান
হতে চলেছে।
তবে নির্বাচনের আগেই গত
মেয়াদে দায়িত্বে থাকা এবারের মিশা-জায়েদ পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন তরুণ নায়িকা
অধরা খান। বর্তমানে তিনি দুবাই অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই ফেসবুকে জায়েদ মিশার বিরুদ্ধে
অভিযোগ ও শিল্পী সমিতি নিয়ে তার বার্তা তুলে ধরেন।
বার্তার প্রথমেই অধরা লিখেন,
আসুন শিল্পে বাঁচি, সুরে হাসি, ছন্দে নাচি...শিল্পী সমিতির নির্বাচন এবং একান্তই আমার
নিজের কিছু কথা।
আগামীকাল ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এবার দুটি প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছে। সমিতির সদস্যরা বরাবরের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে শিল্পীদের
এই প্রাণের সংগঠনের আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। আমারও নির্বাচনে ভোট দেয়ার কথা
ছিল। সমিতির চলমান কমিটি কর্তৃক জেনেছিলাম এবার আমিও ভোটার! তবে ভোটার লিস্ট যখন প্রকাশিত
হলো সেখানে আমার নাম নেই এবং ছিল না! কিন্তু উল্লেখযোগ্য চরিত্রে আমার অভিনীত তিন ছবি
মুক্তি পাওয়া সত্ত্বেও আমার ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে। কেন করা হয়েছে, কোন কারণে
করা হয়েছে কিংবা কারা করেছে - এই মুহূর্তে সেই বিতর্কে যাচ্ছি না।
সবশেষ অধরা লেখেন, আমি ভোট
দিতে না পারলেও ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে গিয়ে
সিনিয়র জুনিয়র সব সহকর্মীর সঙ্গে নির্বাচনী উৎসবে সামিল হতাম। এমনটাই ইচ্ছে ছিল!
কিন্তু জরুরি কাজে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে থাকায় ওইদিন সবাইকে খুব মিস করবো। তবে অবশ্যই
চাই সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপ্রতীম পরিবেশে শিল্পী সমিতির আগামী দিনের যোগ্য
নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক। যারা নির্বাচনে জয়ী হবেন, তাদের জন্যে আগাম শুভেচ্ছা। সবাই
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান হচ্ছে, তাই সবাই
স্বাস্থ্য সতর্কতায় মাস্ক পরিধান করুন এবং নিজে ও অন্যকে নিরাপদ রাখুন।
ঢাকাই ছবির নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের মধ্যে অন্যথম অধরা। 'পাগলের মতো ভালোবাসি' , 'নায়ক' ও 'মাতাল নামে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। তিন ছবিতে তার নায়ক হিসেবে ছিলেন আসিফ নুর,বাপ্পি চৌধূরী ও সাইমন সাদিক।