আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আমার স্বামীই হারুন স্যারকে আগে মারধর করেন: এডিসি সানজিদা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে নির্যাতন এবং রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুনের মধ্যকার ঘটনার সূত্রপাত যাকে কেন্দ্র করে, সেই সানজিদা আফরিন অবশেষে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার স্বামীই এডিসি হারুন স্যারকে প্রথমে আঘাত করেছেন।

সানজিদা রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী। তিনি ৩৩তম বিসিএসের কর্মকর্তা। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সানজিদা।

সেদিনের ঘটনা নিয়ে সানজিদা আফরিন বেসরকারি একটি টেলিভিশনে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকদিন ধরে সিভিয়ার পেইনে (মারাত্মক ব্যথা) ভুগছিলাম। সেদিন পেইনটা একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছিল। তাই তখন আমার একজন ডাক্তার দরকার ছিল। যেহেতু ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল স্যারের (এডিসি হারুন) জুরিসডিকশনের (আওতা) মধ্যে পড়ে তাই ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য আমি স্যারের হেল্প চেয়েছিলাম।

স্যারকে জানালে তিনি আমাকে বলেছিলেন, ঠিক আছে আমি আশপাশে আছি। আমি এসে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে দিচ্ছি। এরপর স্যার (এডিসি হারুন) এলেন। আসার পর একটা ডাক্তার ম্যানেজ হলো। এরপর ডাক্তার কিছু টেস্ট দিলেন। আমি ব্লাড টেস্টের জন্য স্যাম্পল দিলাম। ইকো টেস্ট আর ইসিজি করানো হলো।

সানজিদা আরও বলেন, যে রুমে ইটিটি করানো হয় আমার ঘটনার সময় সেই রুমে ছিলাম। ইটিটি করানোর ১৫-২০ মিনিট পর আমি বাইরে একটা হট্টগোলের শব্দ শুনি। শুনতে পাই স্যার (এডিসি হারুন) চিৎকার করে বলছেন- ভাই আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না। আমার প্রথমে ধারণা হয়েছিল যে হয়তো অন্য কারও সঙ্গে ঝামেলা। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পাই আমার হাজবেন্ড (আজিজুল হক মামুন), উনি আসলে ওখানে কী করছিলেন, কেন গিয়েছিলেন আমি জানি না। ওনাকে টোটালি আউট অব মাইন্ড লাগছিল (মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না) এবং খুবই উত্তেজিত অবস্থায় ছিলেন। ওনার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছেলে ছিল, আমি তাদের চিনি না। তারা স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন।

ওই সময় হারুন স্যার নিজের সেফটির (নিরাপত্তার) জন্য আমি যেখানে দাঁড়ানো ছিলাম সেই রুমের দিকে দৌড়ে এসে দাঁড়ালেন। ইটিটি রুমে এতলোক ঢোকাতে তখন সেখানে একটা অকওয়ার্ড সিচুয়েশন (বিব্রতকর পরিস্থিতি) তৈরি হয়। কারণ ইটিটি রুমে রেস্ট্রিকশন থাকে। তখন আমি শাউট করছিলাম। কারণ এই রুমে কোনো ছেলে ঢোকার কথা না।

সানজিদা বলেন, এরপর আমার হাজবেন্ড তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, এই ভিডিও কর। এরপর সবাই ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে তখন আমি আমার হাজবেন্ড এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করছিলাম। এরপর যারা ভিডিও করছে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাতের সঙ্গে লেগে আমার হাতেও সামান্য ব্যথা পাই। কারণ আমি চাচ্ছিলাম না সেই অবস্থায় কেউ আমার ভিডিও করুক। আর আমার হাজবেন্ডের সঙ্গে যেসব ছেলে ছিল আমি তাদের কাউকে চিনতামও না।

সেই অবস্থায় আমার হাজবেন্ড (এপিএস আজিজুল হক) আমার গায়ে হাত তোলেন এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করছিলেন। তখন স্যারের কাছে বিষয়টি সেফ মনে হয়নি। এরপর স্যার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। তখন হাসপাতালের সিকিউরিটির লোকজনও এলেন। এর ১০-১৫ মিনিট পর ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।

এসব ঘটনার স্থান কোথায় এবং কয়টার দিকে হয়েছে জানতে চাইলে সানজিদা আফরিন বলেন, আমার ডাক্তার দেখানোর সিরিয়াল ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে। এরপর ৭টার দিকে স্যার (হারুন) এসেছিলেন, পরে ডাক্তারও আসেন। এরপর আমি ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকি। ঘটনা ঘটেছে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের চারতলার কার্ডিওলজি বিভাগে।

আপনার অসুস্থের বিষয়ে আপনার স্বামী (আজিজুল হক মামুন) জানতেন কি না, জানতে চাইলে সানজিদা বলেন, আমি অসুস্থ এটা আমার হাজবেন্ড জানতেন। কিন্তু আমি যে সেদিনই ডাক্তার দেখাতে যাবো তা তিনি জানতেন না। এর আগেও বিভিন্ন সময় ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল। কিন্তু কোনো করণে তা তিনি মিস করে গিয়েছিলেন। অথবা বিজি ছিলেন। যেহেতু ৬-৭ দিন ধরে আমার সিভিয়ার টেস্ট পেইন হচ্ছিল...। যাইহোক, সবসময় তো পরিস্থিতি সেরকম থাকে না যে আমি তার সঙ্গে শেয়ার করবো। যেহেতু আমার সিভিয়ার পেইন হচ্ছিল তাই আমি নিজেই ডাক্তারের কাছে গেছি।

এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে।

আহত তিন নেতা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

এর জেরে ওইদিন রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে মীমাংসা করেন। তবে ঘটনাটি আলোচনার জন্ম দেয়।

এরপর ১০ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বঙ্গবন্ধু টানেলে একমাসে পাড়ি দিল পৌনে দুই লাখ গাড়ি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে সর্বসাধারণের গাড়ি চলাচলের একমাস হয়ে গেল। ২৯ অক্টোবর ভোর ৬টায় এই টানেল দিয়ে প্রথমবারের মতো গাড়ি চলাচল শুরু হয়।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ছয়টা পর্যন্ত, ৩০ দিনে এই টানেল হয়ে চলাচল করেছে এক লাখ ৭৫ হাজার ১৯৭টি যানবাহন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা জানিয়েছেন, এসব যানবাহনের কাছ থেকে টানেল ব্যবহারের বিপরীতে একমাসে চার কোটি ১২ লাখ ২১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর টানেলটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয় সর্বসাধারণের গাড়ি চলাচল।

টানেল চালু হওয়ার পর থেকে এটি দেখতে প্রতিদিনই মানুষের ভিড় বাড়ছে। সেজন্য টানেলে চলাচল করা বেশিরভাগ গাড়িই ছিল পর্যটকদের। পাশাপাশি বিমানবন্দরগামী দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিপুল গাড়িও টানেলে চলাচল করেছে। ঢাকা-কক্সবাজারগামী কিছু দূরপাল্লার যানবাহনও টানেল দিয়ে পারাপার করেছে। তবে সেটি সংখ্যায় কম। সামনের দিনগুলোতে দূরপাল্লার বাসের চলাচলও বাড়বে মনে করা হচ্ছে।

টানেল চালুর পর প্রথমদিকে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর বেশ কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।

তবে এখন গাড়ি চলাচলে শৃঙ্খলা বেড়েছে বলে জনিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা। তিনি বলেন, টানেল দিয়ে দিনে দিনে যানবাহন চলার সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে গাড়ির শৃঙ্খলা। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেড়েছে।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




হাবিবকে নিয়ে তানজিন তিশার ৯ মিনিটের অডিও ফাঁস

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছেনা ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার। এক সঙ্গে অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেম, হাসপাতালে ভর্তি, পরেরদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, রাতে লাইভ, সাংবাদিককে হুমকি এসব নিয়ে তুমুল আলোচনায় এ অভিনেত্রী।

এরই মধ্যে ২৪ ঘন্টার বিরতি দিয়ে রোববার মধ্যরাতে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে এলেন তিশা। এবার অভিনেত্রীর পুরনো একটি অডিও ক্লিপস অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই অডিও ছিল হাবিব ওয়াহিদের সাবেক স্ত্রী রেহান চৌধুরীর সঙ্গে কথোপকথনের।

অডিওতে শোনা যায়, তিশা রেহানকে বলছেন হাবিব কি তোমার ওখানে? রেহান বলেন, আমি কিছুই বলবো না। তিশা বলেন, আমি জানি হাবিব তোমার ওখানে, তোমরা কি আবার গেটব্যাক করতে চাও? রেহান বলেন, আমি জানি না। তিশা বলেন, তোমরা যদি ফের এক হতে চাও আমাকে বলো, সে আমার সঙ্গে এমন করছে কেন?

কথোপকথনে ঘুরে ফিরে একই ধরনের প্রশ্নোত্তর আসছিল। তিশার চাপে রেহান বলেন, হ্যাঁ ও আসছে, টয়লেটে গেছে। ও তো অনেকটা সময় টয়লেটেই কাটায়। রেহান এক পর্যায়ে তিশাকে বোঝান যে, তুমি আনম্যারিড তোমার বাচ্চা নেই। তুমি ভালো ছেলে পাবা, তোমার জন্য কতজন পাগল, তুমি সুন্দরী৷ কিন্তু আমাকে কে নেবে। বাচ্চাসহ আমাকে কেউ নেবে না। আমি তো ফেঁসে গেছি।

প্রায় ৯ মিনিটের অডিওতে ঘুরেফিরে একই কথা আসছিল। যার সারমর্ম হলো তিশার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন হাবিব। কিন্তু সেপারেশনে থাকা রেহানের সঙ্গে হাবিব দেখা করতে যেতেন। এক পর্যায়ে তিশা বুঝতে পেরে রেহানকে ফোন দেন।

আলাপন থেকে বোঝা যায় হাবিবের সঙ্গে তখনও রেহানের বিচ্ছেদ হয়নি। রোববার মধ্যরাতে এই অডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়৷


আরও খবর



স্কুলে ভর্তির লটারি আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির লটারি আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

ডিজিটাল লটারির এ অনুষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

সরকারি ৬৯২ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনসংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ১০৬। তবে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার। আর ৪ হাজার ৩৯০ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লাখ। আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখের সামান্য বেশি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারিতে যুক্ত হওয়া সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন প্রায় ১১ লাখ ২২ হাজার। অন্যদিকে মোট আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৮ লাখ ৬৩ হাজার। সরকারিতে শূন্য আসনের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। অন্যদিকে বেসরকারিতে আবেদন পড়েছে এক-তৃতীয়াংশ আসনে। সরকারিতে সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা যদি বেসরকারিতে ভর্তি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় লটারিতে যুক্ত হওয়া স্কুলগুলোতেই শূন্য থাকবে প্রায় ৩ লাখ আসন।


আরও খবর



লাশ নিয়ে থানায় ভুক্তভোগী পরিবার, মামলা না নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে এক তরুণী ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলার দাবিতে থানায় লাশ নিয়ে হাজির ভুক্তভোগী পরিবার। ঐ পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ মামলা না নিয়ে নানা গড়িমসি করছে। এমনকি তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের অনেকের সাথেই খারাপ আচরণ করেছেন বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি। তথ্য জানতে গেলে সাংবাদিকদের সাথেও খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রিয়া আক্তার (২০) আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে। সাভার লিজেন্ড কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী।

নিহতের বোন কেয়া আক্তার বলেন, গতকাল আমার বোনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে কাউছার নামের একটা ছেলে। কাউছার আমার বোনের সাথেই লিজেন্ড কলেজে পড়াশুনা করে। সম্ভবত ওই ছেলের সাথে আমার বোনের রিলেশন ছিলো। পরে আমাদের ফোন করে রিয়া এনামে আছে বলে জানায় কাউছারের লোকজন। ওরা আমার বোনকে মেঝেতে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক গতকাল বিকেলে রিয়া মারা গেছে বলে আমাদের জানায়। এরপর থেকেই আমরা এসআই নূর খানের সাথে যোগাযোগ করছি হত্যা মামলা নেয়ার জন্য। কিন্তু উনি মামলা না নিয়ে গতকাল থেকে আমাদের ঘুরাচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ কালেক্ট করব, তদন্ত করছি এসব বলে গড়িমসি করছে। উপায় না পেয়ে আজ লাশ নিয়েই থানায় এসেছি।

লাশ বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক মাহফুজ হাসান বলেন, আমি থানার সামনে লাশের গাড়ি নিয়ে দাড়ায় ছিলাম। হঠাৎ এসআই নূর খান এসে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে লাশ নিয়ে দ্রুত চলে যেতে বলে। একজন পুলিশের কাছে এরকম আচরণ আশা করিনি। আমিতো লাশ নিয়ে এসেছি। এখান আমার কি দোষ?

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ খান রেগে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চারতলা ভবনের ছাদ থেকে ওই মেয়েটা পড়ে মারা গেছে। আমি তদন্ত করছি। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়া আসছি। সাংবাদিকরা ১৪ বছরেও পারবে এটা কালেক্ট করতে? আমি সাংবাদিকতায় পিএইচডি করছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাইকা। আমিতো সাংবাদিকগো তথ্য দেই না। এটাতো মামলা হবে গতকালই সিদ্ধান্ত হইছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, এঘটনায়তো মামলা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণের বিষয়টা আমি দেখছি।

নিউজ ট্যাগ: সাভার হত্যা

আরও খবর



নোয়াখালীতে যাত্রীবাহী বাসে হামলা, আহত ৫

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে একুশে পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালিয়েছে অবরোধ সমর্থকেরা। এতে বাসে থাকা পাঁচ যাত্রী আহত হয়। রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার দত্ত বাড়ির মোড় এলাকার পায়রা ফিলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন একুশে পরিবহনের চেয়ারম্যান অহিদ উদ্দিন মুকুল। তিনি বলেন, অবরোধ সমর্থকদের হামলায় বাসে থাকা পাঁচ যাত্রী আহত হয়। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে একই গাড়িতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে সোনাপুর বাস টার্মিনাল থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে একুশে পরিবহনের একটি বাস রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে বাসটি নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের দত্ত বাড়ির মোড় এলাকার পায়রা ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছলে আকস্মিক বাসটিতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে অবরোধের সমর্থকেরা। ওই সময় বাসে থাকা পাঁচ যাত্রী আহত হয়।

অপরদিকে, জেলার সদর উপজেলার রশীদ কলোনী, গোদার মসজিদ, কর ভবন, নোয়া কনভেনশন হলের সামনে অবরোধের সমর্থনে ছোট ছোট বিক্ষোভ মিছিল করে অবরোধের সমর্থকেরা। এ ছাড়াও বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজারের ব্যাংক রোডে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ নিয়মিত মামলা ও ওয়ারেন্টমূলে ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন,দুর্বৃত্তরা সড়কের পাশের একটি গলি থেকে চলন্ত বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বাসের ৩-৪টি গ্লাস ভেঙ্গে থাকা একজন যাত্রী আহত হয়।  


আরও খবর