আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আমার দেখা তসলিমা নাসরিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
খবরের কাগজের পেস্টিং শেষ করে প্রতি সপ্তাহে ময়মনসিংহ চলে যেতেন নাইমুল ইসলাম খান। সেখানে একটা হোটেলের একটি রুম, নিজস্ব কাপড় চোপড়, টুথপেস্ট, ব্রাস সব সেখানে থাকতো। নাইমুল ইসলাম খানের যুগে ঢাকায় ডাক্তার

ফজলুল বারী

রুদ্রর সংগে এই ছবিটা পোষ্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। ময়মনসিংহের ছবি। তসলিমা তখন ১৯। রুদ্র ২৫। আমরা প্রথম তসলিমাকে চিনি চিত্রালীর চিঠিপত্র বিভাগ আপনাদের চিঠি পেলামএ। তসলিমা নাসরিন, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ পরিচয়ে তিনি চিঠি লিখতেন। এরপর বিচিত্রার ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনে তাকে নিয়ে বেশ হৈচৈ হয়।

ফেনীর একজন লিখেছিলেন, বাংলাদেশের সব মেয়েরাই চরিত্রহীনা। তসলিমা এর জবাবে লিখেন, ‘….সাহেব, এতদিনে আপনার একটা ভালো পরিচয় দিলেন, নিশ্চয় কোন চরিত্রহীনা মায়ের গর্ভ থেকে.! প্রতি শব্দ ৫০ পয়সা হিসাবে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন দিতে হতো বিচিত্রায়। এখন ফেসবুক আসায় সারাদিন ফ্রি কতকিছু লেখা যায়!

১৯৮৭/৮৮ সালে টিএসসিতে তসলিমা-রুদ্রকে দেখতাম। তখন তাদের সম্পর্কের শেষ সময়। একসংগে টিএসসিতে এলেও দুজন দুদিকে তাকিয়ে যারযার বন্ধুদের সংগে আড্ডা দিতেন। এরপর আসে নাইমুল ইসলাম খান, মিনার মাহমুদ যুগ। খবরের কাগজের লেখা নিয়ে আলোচনা বাড়লে এর জবাব দিতে পুর্বাভাসে হুমায়ুন আজাদকে দিয়ে নারী লেখার আয়োজন করেন মোজামমেল বাবু।

খবরের কাগজের পেস্টিং শেষ করে প্রতি সপ্তাহে ময়মনসিংহ চলে যেতেন নাইমুল ইসলাম খান। সেখানে একটা হোটেলের একটি রুম, নিজস্ব কাপড় চোপড়, টুথপেস্ট, ব্রাস সব সেখানে থাকতো। নাইমুল ইসলাম খানের যুগে ঢাকায় ডাক্তার হিসাবে বদলি নিয়ে আসেন তসলিমা নাসরিন। এই সম্পর্ক ভেংগে গেলে জীবনে আসেন মিনার মাহমুদ।

মিনার মাহমুদকে বিয়ের পর পূর্বাভাসে তসলিমা নাসরিন মরে গেছে শিরোনামে একটা লেখা তিনি লিখেন। এতে বলা হয় তিনি এখন মাগুর মাছের ঝোল রান্না করে স্বামীর অপেক্ষায় বসে থাকেন। মহসিন শাস্ত্রপানি এর জবাবে লিখেন তসলিমা নাসরিনের অনিবার্য মৃত্যু! শান্তিনগরে বাসায় তখন অনেক দুপুরে মিনার ভাইর সংগে আমি খেতে যেতাম।

এই সম্পর্ক ভেংগে গেলে আমেরিকা চলে যান মিনার মাহমুদ। আমান উদ দৌলা ভাই আমাদের প্রিয় প্রজন্মে লিখেন, আমার এক বান্ধবী সম্প্রতি চতুর্থ স্বামী গ্রহন করেছেন।তসলিমা আমাকে ফোন করে বলেন, বদরুল আমার হাতের রান্না এই ঢাকা শহরে আপনার চেয়ে কে বেশি খেয়েছে বলেনতো। সেই আপনার পত্রিকায় আমান এ ধরনের কথা লিখলো!আমি তখন তাকেও লিখতে অনুরোধ করি। তসলিমা লিখতে শুরু করেন, আমার মেয়েবেলা। প্রিয় প্রজন্ম বন্ধ হয়ে গেলে আমার মেয়েবেলা কলকাতা থেকে বই আকারে বেরোয়।

তসলিমা নাসরিন যখন মোল্লাদের হুমকির মুখে আত্মগোপনে তখন তাকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যেতে ডক্টর কামাল হোসেন, তাঁর মেয়ে সারা হোসেন, ডাক্তার জাফর উল্লাহ চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী শিরিন হক প্রশংসনীয় সহায়তা দিয়েছেন।

সারা বিশ্বে তসলিমা নাসরিন যখন আলোচিত তখন বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক লেখকরা তার উৎস বৃত্তান্ত খুঁজতে এসে আমাকে খুঁজে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতেন। আমি তাদেরকে যতোটা সম্ভব নির্মোহভাবে বলার চেষ্টা করেছি আমার দেখা তসলিমা নাসরিন। মিশরে নাগিব মাহফুজ আমাকে বলেছিলেন তিনি বাংলাদেশকে চেনেন তসলিমার কারনে।

সর্বশেষ ২০১৬ সালে কলকাতায় গেলে সেখানে অবস্থানরত একজন তার পক্ষে তদবিরের জন্য তসলিমাকে ফোন করে আমাকে ধরিয়ে দেন। বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে তখন তসলিমার সুপারিশ কাজে লাগতো। আমি ফোনে কথা বলতেই বিব্রতকর একটা অবস্থায় পড়ি। তসলিমা আমাকে চিনতেই পারছিলেননা! কোন ফজলুল বারী? আমি কি তাকে চিনি? আপনার সংগে আমার কি আগে কখনো কথা হয়েছে? কিন্তু ক্রমশ কথার মধ্যে ডুবে গেলেন তসলিমা নাসরিন। তখন তিনি আর ফোন ছাড়তেই চাইছিলেননা। তসলিমা নাসরিন সেই তদবিরটি করে দিয়েছিলেন।


আরও খবর



পাকিস্তানে কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১২

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের একটি কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশের হারনাই জেলায় বুধবারের (২০ মার্চ) ওই ঘটনায় ১২ জন খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আট জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

খনি পরিদর্শক আব্দুল রশিদ জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মিথেন গ্যাসের কারণে খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তদন্তকারীরা এখনও বিস্ফোরণের কারণ নির্ধারণে কাজ করছেন।

খনি দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলার নিন্দা জানালেন বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের মাটিতে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। তবে ইরানের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপের পর ইরানের হামলার বিষয়ে এক বিবৃতি জারি করেছেন বাইডেন। এতে তিনি ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানান।

বাইডেন বলেছেন, প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে আগেই সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া ইসরায়েলের নিরাপত্তার ব্যাপরেও তিনি অঙ্গীকার প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বা অবকাঠামোতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে যে কোনো ধরনের হুমকির ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকবো।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর



রাঙামাটিতে জ্বর-রক্তবমি উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির অতি দুর্গম বরকল উপজেলার এক গ্রামে তীব্র জ্বর, রক্তবমি, পেটব্যাথাসহ আরও বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে আরও ১০ জন এসব উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে রোগটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা এসব উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে। মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে দুর্গম এই গ্রামে রওনা দিয়েছে।

স্থানীয় ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের শুইছড়ি মৌজার চান্দবিঘাট এলাকায় বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি মাস থেকে এই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫ জন। তাদের মধ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে। চান্দিনাঘাট গ্রামের লবিন্দর চাকমা এবং স্নেহবালা চাকমার ছেলে পত্ত রঞ্জন চাকমা (২৫) প্রথম এই রোগে মারা যান। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বিমলেশ্বর চাকমা (৫৫), ২৬ ফেব্রুয়ারি ডালিম কুমার চাকমা (৩৫), ১৫ মার্চ চিত্তি মোহন চাকমা (৬০) এবং সবশেষ চলতি মাসের ১৭ তারিখ সোনি চাকমা নামের ৮ বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। এলাকাটি অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে সেখানে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই এবং আশপাশে নেই কোনো চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র। স্থানীয় কবিরাজির মাধ্যমে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে আরও জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে গ্রামবাসীরা মিলে একটি পুরনো বটবৃক্ষ কেটে ফেলে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস গাছটি একটি আধ্যাত্মিক গাছ এবং এই গাছ কাটার ফলেই এই রোগের উৎপত্তি।

বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফোরকান এলাহি অনুপমের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বুধবার সকালে এই বিষয়ে একটি খবর পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এই বিষয়ে একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। তারা ওখানে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

এই বিষয়ে বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মং ক্যছিং সাগর বলেন, আমি ব্যাপারটি জানতে পেরেছি। গত জানুয়ারি থেকে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টিও জেনেছি। আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করে একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি, যেটি আগামীকাল ঘটনাস্থলে পৌঁছবে।

তিনি আরও বলেন, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে আমরা জ্বর, বমি, পেট ব্যথা, শরীর ব্যাথার কথা জানতে পেরেছি। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে যারা অসুস্থ আছেন তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে বলেছি।

রাঙামাটির সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, তীব্র জ্বর, পেটব্যাথা, রক্তবমির উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে এটা কোনো অজ্ঞাত রোগ নয়। খাদ্যাভ্যাসের কারণে তাদের এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় তারাও সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসার বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহ না থাকার কারণে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে তারা মারা যেতে পারে। আমরা খবর পাওয়ার পর বুধবার পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ওই গ্রামে পাঠিয়েছি। এলাকাটি যেহেতু খুবই দুর্গম, তাই ওখানে পৌঁছতেও বেশ সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ওখানে পৌঁছানোর পর আক্রান্তদের কেস স্টাডির পর আমরা বিস্তারিত জানতে পারব।


আরও খবর



এক নজরে দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে এদিন প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। রোববার (২৪ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচির বিস্তারিত জানিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা : এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন : সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক-দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী : এদিন সরকারি ছুটি থাকবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অনুষ্ঠান : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা; মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

অন্যান্য আয়োজন : মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে।  ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্র কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজসমূহ ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



ইতিকাফের সময় গোসল ফরজ হলে করণীয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফ বলা হয়, বিশেষ নিয়তে বিশেষ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে। ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব কিছু থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।

ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি রহ. বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)

মদিনায় অবস্থানকালে রাসূলুল্লাহ সা. প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও রমজানে তিনি ইতিকাফ ছাড়েননি। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফে কাটান। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)

ইতিকাফের সময় দুনিয়াবি সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হয়। এ সময় প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। তবে কারো যদি স্বপ্ন দোষের কারণে গোসল ফরজ হয় তাহলে তার করণীয় বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো

ইতিকাফের সময় কারো গোসল ফরজ হলে এমন ব্যক্তি তাৎক্ষণিক তায়াম্মুম করে মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করে নেবেন। আর যদি তায়াম্মুম করার মত কোনো কিছু না পায় তাহলে দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করে আসবে। মসজিদের বাইরে গোসল ছাড়া অন্য কোনো কাজ বা বিষয়ে সামান্য সময়ও ব্যয় করা যাবে না। (রদ্দুল মুহতার ১/৪১০;)

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪