আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আমাজন জঙ্গলে কাজ করছেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অধ্যাপক ইউনূস প্রতিষ্ঠিত ‌ইউনূস এনভায়রনমেন্টাল হাব কলম্বিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০টি সামাজিক ব্যবসা গড়ে তুলেছে এবং এই ব্যবসাগুলোকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ১০টি সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আমাজনের জঙ্গলে। আমাজনের ক্রমাগতভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বনাঞ্চলের বনায়নসহ এলাকায় চক্রাকার অর্থনীতি গড়ে তোলা এই ব্যবসাগুলোর মূল উদ্দেশ্য। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার আমাজন জঙ্গলে কাজ করছে, এমন কিছু সামাজিক ব্যবসা পরিদর্শন করলেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইকুয়েডরের সীমান্তের নিকটবর্তী এই এলাকাটি কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে তিনি স্থানীয়দের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, কর্মসূচিগুলোর বহুমুখীকরণ এবং সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমাজন রেইনফরেস্ট কলম্বিয়ার মোট ভূমির প্রায় অর্ধেকজুড়ে বিস্তৃত। শান্তিচুক্তি সই হওয়ার পর এই এলাকায় বিরোধের অবসান হলে ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক উদ্যোগে এই রেইনফরেস্টে বৃক্ষনিধন পুরোদমে শুরু হয়ে যায়। কলম্বিয়ার নতুন সরকার এই বনভূমির আরও বিনাশ রোধ করতে এবং একে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তবে সরকার সবেমাত্র তার কাজ শুরু করেছে। দেশটির নতুন ও প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মারকুয়েজ একজন নিবেদিতপ্রাণ পরিবেশবাদী, যিনি অবৈধ খনি খননের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে সরাসরি সংগ্রাম করে আসছেন।

অধ্যাপক ইউনূস যে এলাকাটি পরিদর্শন করলেন, তার নাম কেকোয়াতা। এলাকাটি ফ্রাকের (রেভল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া) সদর দফতর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। শান্তিচুক্তির পর এলাকায় কোনও সুস্পষ্ট শাসনব্যবস্থা না থাকায় বন ধ্বংসের প্রক্রিয়া চুক্তি-পূর্ব সময়ের চেয়ে বরং আরও খারাপ হয়েছে। এলাকার গরিব মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে নির্বিচারে গাছ কাটছে, অটেকসই উপায়ে জমি চাষ করছে। আর কোম্পানিগুলো বনের গভীরে গিয়ে পরিবেশ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করে বন উজাড় করছে এবং বনাঞ্চল ও মাটির যথেচ্ছাচার ব্যবহার করছে।

সামাজিক ব্যবসাগুলোর একটি ‌আমাজনিয়া এমপ্রেনদ্রে বা এই ফ্লোরেন্সিয়া থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে রেইনফরেস্টের পাহাড়ি এলাকায় গভীর জঙ্গলে অবস্থিত। অধ্যাপক ইউনূস দুজন সামাজিক ব্যবসা উদ্যোক্তা জুলিও আন্দ্রে ও জুলিয়া হেরনেন্দেজের অতিথি হয়ে তাদের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। তারা দুজনেই সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ফ্রাংফুর্টের কাছে ওয়েজবাডেনে অবস্থিত ইউনূস এনভায়রনমেন্টাল হাবের সহযোগিতায় সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি ও পরিচালনায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তাদের এই সামাজিক ব্যবসাগুলোয় তারা ১৮ হাজার গাছ ও চারা রোপণ করেছেন। এগুলো স্থানীয় ১ হাজার ২৮৫টির মধ্যে ৪৭ প্রজাতির। এই সামাজিক ব্যবসাটি সরকারের কাছ থেকে ৩০ হেক্টর জমির লাইসেন্স নিয়ে তা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করে এবং ব্যবসাটির কর্মকাণ্ড ১ লাখ হেক্টর জমিতে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। ফ্রাকের অধীনে থাকাকালে এই এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে পারতো না এবং কোনও পুনরুদ্ধারকাজও তখন সম্ভবপর ছিল না। সামাজিক ব্যবসাটি একই সঙ্গে হুলবিহীন মৌ চাষ (মেলিপোনিক কালচার অব স্টিংলেস বিস) নিয়েও কাজ করছে, যা আমাজনের অন্যতম প্রাচীন এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বিবর্তিত চাষগুলোর একটি, যা এই এলাকায় ব্যাপক হারে বৃক্ষনিধনের কারণে এখন প্রায় হারিয়ে গেছে।

এই ফ্লোরেন্সিয়া সামাজিক ব্যবসা হিসেবে বন পুনরুদ্ধারে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান দিতে ব্যক্তি ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে একটি অরণ্য বিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করছে। এখানে কয়েক দিন ধরে প্রশিক্ষণ চলে। প্রশিক্ষণার্থীদের হোস্টেল হিসেবে তৈরি করা ব্যক্তিগত তাঁবুতে রাত যাপন করতে হয়।

অংশগ্রহণকারীদের একাকী রাত কাটাতে হয়, যাতে তারা অরণ্যের রাত ও ভোরের শব্দের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। অধ্যাপক ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের এই তাদের প্রক্রিয়াগুলোর মধ্য দিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদের কিছু প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান প্রদর্শন করে।

ইউনূস তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটান এবং তাদের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, কর্মসূচিগুলোর বহুমুখীকরণ এবং সামাজিক ব্যবসা হিসেবে বনায়নের মাধ্যমে এলাকার মানুষের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি, মধু, ফল ও অন্যান্য বনজ দ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং স্থানীয় মানুষকে বাজারজাতকরণ ও আর্থিক সেবাগুলো প্রদান বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান।

পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ইউনূস এলাকার তিনটি স্থানে আমাজন পুনরুদ্ধার, যার ওপর শুধু কলম্বিয়া বা ল্যাটিন আমেরিকা নয়, বরং সমগ্র পৃথিবী নির্ভরশীল, তার প্রতি সমর্থন ও প্রতিশ্রুতির চিহ্ণ হিসেবে কেকেও চারা রোপণ করেন। এরপর প্রফেসর ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত বেলিন ডে লস অ্যান্ডাকিসে ইসাবেলা গনজালেজ ও তার ২৩ জন নারী সহ-সদস্য পরিচালিত দ্বিতীয় সামাজিক ব্যবসা আয়াকুনা পরিদর্শনে যান।


আরও খবর



বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, দূরের যাত্রায় যাত্রীদের ব্যয় কত?

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনে ভাড়ার ক্ষেত্রে রেয়াতি ব্যবস্থা বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে করে দূরের গন্তব্যের ট্রেনের ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়বে ১০ শতাংশ। তবে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া অপরিবর্তনশীল থাকবে।

রেয়াতি সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। যদিও এটাকে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে বলে মানতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রেলের দাবি, শুধু একটা সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না।

রেলওয়ের রেয়াতি ব্যবস্থায় ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটার ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটারে মেলে ২০ শতাংশ ছাড়। এরপর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ থেকে তদূর্ধ্ব কিলোমিটার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এটাকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে বানানো হচ্ছে এমনটা বলা ঠিক হবে না। এত দিন কিলোমিটারের ওপর যে ছাড় দেওয়া হতো সেই সুবিধাটা বাতিল করা হচ্ছে। এতে করে নতুন ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে। কিন্তু এর মধ্যে সবগুলো স্টেশনের ভাড়া সমন্বয় করা সম্ভব না-ও হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আরও কয়েক দিন পেছানো হবে। সবগুলো স্টেশনের ভাড়া সমন্বয় করা শেষে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। আর ২০১৬ সালে সর্বশেষ ভাড়া বৃদ্ধি করেছিল সরকার।

যদিও সম্প্রতি রেলভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন, রেল লোকসানে রয়েছে। কিভাবে লোকসান থেকে বেরিয়ে আসা যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। অনেক দিন ধরে ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়ছে না। প্রয়োজনে নতুন ভাড়া সমন্বয়ের কথা হতে পারে। কিন্তু সেটা এখনই করা হবে না। যদি ভাড়া বাড়ে তাহলে আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের জানিয়ে ভাড়া বাড়ানো হবে।


আরও খবর



আজও স্বস্তি নেই ঢাকার বাতাসে

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। রোববার (১০ মার্চ) ভোর ৬টার পর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেকক্সে (একিউআই) দেওয়া তথ্যমতে ১৯৪ স্কোর নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।

বায়ুদূষণের এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের কলকতা। শহরটির স্কোর ২০৪। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রাজধানী ঢাকা, শহরটির স্কোর ১৯৪, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শহর করাচি, যার স্কোর ১৭৯। আবার একই স্কোর নিয়ে চর্তুথ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, যার স্কোর ১৭৫।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে সাবেক এমপির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এর ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের আকবরের মোড় এলাকায় সাবেক এমপির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সাবেক এমপির বাড়ির পাহারাদার মো. রানা বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের প্রাচীর নির্মাণ কাজের সামগ্রী দেখার জন্য গিয়েছিলাম। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে করে মাক্স পরিহিত চারজন লোক এসে বাড়ির সামনে রাখা প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তাদের হাতে থাকা একটি বিদেশি মদের বোতল ভেঙে পালিয়ে যায়।

মো. বক্কার হোসেন নামের এক অটোচালক বলেন, আমি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় দেখি মাক্স পরা কয়েকজন লোক লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করছে। আমি ভয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত চলে যাই।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র আমি সাবেক এমপির বাড়িতে অবস্থান করি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপির বাড়িতে রাতে এভাবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি আওয়ামী লীগের দলীয় কেউ এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তবে আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল বলেন, সাবেক এমপির বাড়িতে হামলার ঘটনায় বর্তমান এমপি গালিবুর রহমান শরীফের নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে দলীয় বা অন্য যারাই জড়িত থাক না কেন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বাড়িতে বসে কথা বলছিলাম। হঠাৎ গেটের সামনে ভাঙচুরের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি আমার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও বাড়িতে আসা একজনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পালিয়ে গেছে। আমি মনে করি এটা শুধু ভাঙচুর নয় সেখানে গেলে আমাদের হত্যার ঘটনাও ঘটতে পারতো।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাবেক এমপির বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করেছি। কি কারণে এবং কারা এ হামলা করেছে তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



কলকাতায় ‍ভোটের আগে মুরগির দাম ৩০০!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচন এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাড়তে শুরু করেছে দ্রব্যমূল্য। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির মাংস।

আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও বাড়ছে। দৌড়ে সবার আগে ছুটছে মুরগি।

মুরগির ট্রিপল সেঞ্চুরি!

ঘরে-বাইরে মুরগির মাংস এখন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড বা নামিদামি রেস্তোরাঁয় সবচেয়ে বেশি চাহিদা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্য সামগ্রীর। সেই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে নজির সৃষ্টি করেছে কলকাতায়।

সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ রুপির মধ্যেই থাকে। কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকায় প্রতি কেজিতে এই দাম ২০ রুপির মতো বেশি দেখা যায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় এক কেজি মুরগির দাম ছিল ২৩০ রুপির আশপাশে। গত সাত দিনে মুরগির দাম পৌঁছে গিয়েছে তিন শতকের দোরগোড়ায়। অর্থাৎ প্রায় তিনশ রুপিতে।

গত এক সপ্তাহে ধরে প্রায় রোজই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। কলকাতার অভিজাত বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ রুপি দরে। কোথাও আবার একেবারে ৩০০ রুপি। জেলায় দাম একটু কম হলেও তা ২৫০ রুপি পার হয়েছে।

মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও। রুই, কাতলা, ভেটকি, চিংড়িসহ নানা মাছের দাম বিয়ের মরশুম চলায় এমনিতেই চড়া। বিভিন্ন বাজারে এই মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২৫০ রুপি থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত হয়েছে।

দাম বাড়ার এই বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সন্দীপ তরফদার। তিনি বলেন, এই সময়টা মুরগিতে মড়ক লাগে। মুরগি মরে যায়। ফলে যোগান কমে। ভোট সামনে এলে আবার চাহিদা অনেকটা বাড়ে। রাজনৈতিক দলের সভা থাকলে অনেক বেশি অর্ডার আসে। এছাড়া সামনে দোলযাত্রা, সব উৎসবের মুখে দাম বাড়ে।

মুরগি পালনের খরচও বেড়েছে বলে দাবি পোল্ট্রি সংগঠনের। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি বলেন, মুরগির খাবার হিসেবে ভুট্টার দানা লাগে। এই দানা ইথানল শিল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে দানার দাম বেড়েছে। এতে মুরগি পালনের খরচও বেড়ে গিয়েছে।

সবজির দাম

পশ্চিমবঙ্গের মাঠে মাঠে এখন আলু চাষিদের ফসল তোলার সময়। হিমঘরগুলোর দরজা খোলা, বাজারেও আলুর যোগান পর্যাপ্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে আলুর দাম একটু একটু করে বাড়ছে। আলু যেখানে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল, তা গত কয়েকদিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ রুপি।

গত মাসে রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ রুপিতে পৌঁছেছিল। যদিও তা এখন কমতে কমতে ২০০ রুপিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পেঁয়াজ, টমেটো ৩০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাক সবজির দাম অবশ্য নাগালের মধ্যে আছে।

এই দামের উল্লেখ করে ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, গত মাসে কাঁচা সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এখন তা কমে এসেছে। মুরগির মাংসের দাম অনেকটা বেড়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি যাতে, এই দামও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজারে নতুন ওঠা সবজি যেমন ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই প্রবণতা গ্রীষ্মের মুখে স্বাভাবিক বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, যোগান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

ভোটের থাবা

প্রতি নির্বাচনের আগেই জিনিসপত্রের দামে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও এই দাম বাড়ার পিছনে অন্যান্য কারণও থাকে।

ফোরাম ফর ইনডিজেনাস এগ্রিকালচারাল মুভমেন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় দাস বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনো একটি জায়গায় এলে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে স্থানীয়ভাবে কোনো বাজারে দাম বৃদ্ধি হতে পারে।’ এর সঙ্গে থাকে মজুতদারির মাধ্যমে তৈরি করা কৃত্রিম সংকট। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য মজুত করেন।

চিন্ময় বলেন, এখন পণ্য মজুত করার ফলে বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়। এর ফলে দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মজুত করে রাখেন ভোটের পরে বিক্রি করবেন বলে। সেই সময় বেশি দাম পাওয়া যায়।


আরও খবর



হজে গিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বললেন ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে গিয়ে দেশের সম্মানহানি ঘটে এমন কাজ না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছেন। শনিবার ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসে সরকারি হজ গাইড প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় একজন হজ গাইড নয়। আপনার পরিচয় আপনি বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে। আপনার কারণে দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মানহানি যেন না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন।

প্রত্যেক সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর ওপর হজ আদায় করা ফরজ উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। প্রত্যেক হজযাত্রী যাতে সহিহ্ ও শুদ্ধভাবে হজ পালন করতে পারে সে বিষয়ে হজ গাইডদের সর্বদা সোচ্চার থাকতে হবে। হজ গাইডদের গাফলতির কারণে একজন হজযাত্রীর হজ পালনও যদি যথানিয়মে না হয় সেই দায়ভার হজ গাইডের ওপরই বর্তাবে।

হজ গাইডদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনাদের দক্ষ হজ গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি অধিবেশনে শতভাগ মনোযোগী থাকবেন। হজের নিয়মকানুন, হুকুম-আহকাম ও ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকদের বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে গ্রহণ করলেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।

ধর্মমন্ত্রী হজ গাইডদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনি হলেন আপনার দলের হজযাত্রীদের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক। হজযাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। হজযাত্রা শুরুর পর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজযাত্রীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। হজের আরকান-আহকাম এবং সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক ও পরিচালক (হজ) মুহম্মদ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এতে মোট ১০২ জন হজ গাইড প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪