আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

আমাদের জন্য সরকারের ঋণের ব্যবস্থা করা উচিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাংশা(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:

তাদের জীবনটাই কারুকার্যময়। এ কাজে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করেন। নারী মৃৎশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয় সুন্দর সুন্দর মাটির জিনিসপত্র। মাটির ফল-ফলাদিসহ হাঁড়ি-পাতিল, শিশুদের খেলনা, দৃষ্টিনন্দন ফুলদানি, পশু-পাখি, পুতুল, মাটির ব্যাংক, কলসসহ আরও অনেক কিছু। এগুলো মেলা, হাট-বাজার, ভ্যান বা মাথায় করে বিক্রি করেই চলত পালপাড়ার মৃৎশিল্পীদের সংসার।

মাটির হাঁড়ি, পাতিল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করা রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া, কলিমহর ও কসবামাজাইল এলাকার পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা ভালো নেই। কষ্টে কাটছে তাদের দিন। হতাশার ছাপ তাদের চোখে-মুখে। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এক সময় মাটির তৈরি তৈজসপত্র ছিল মানুষের চাহিদা পূরণের একমাত্র ভরসা। গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়া আর অতিথি আপ্যায়ন, প্রায় সব কাজেই মাটির তৈরি হাঁড়ি পাতিল, তৈজসপত্রের ব্যবহার ছিল। স্বাস্থ্যকর আর সহজলভ্য বলে সব পরিবারেই ছিল মাটির পাত্রের ব্যবহার।

এ প্রসঙ্গে কলিমহর মুরাদপুর পালপাড়ার স্বপ্না রানী পাল বলেন, 'মাটির তৈজসপত্র তৈরি করতে এঁটেল মাটি লাগে। এঁটেল মাটি আগে বাড়ির কাছেই পাওয়া যেত। এখন আর তা সহজে পাওয়া যায় না। অনেক দূর থেকে গাড়ি করে আনতে হয়। এক গাড়ি মাটি কিনতে লাগে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। তারপরও মাটির মান ভালো থাকে না। এর মধ্যে থাকে বালুমাটি, যে কারণে ঠিকমতো কাজ করা যায় না। আসবাবপত্র বানাতে গেলে ফেটে যায়। এবার আমি কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে মাটি কেনার টাকা জোগাড় করেছি। এত টাকা দিয়ে মাটি কিনে জিনিসপত্র তৈরি করেও সঠিক মূল্য পাই না। পরিবার নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়।'

বাড়ির পাশে বসে মাটির বড় হাড়ি তৈরি করছিলেন কসবা মাজাইল সুবর্ণখোলা পালপাড়ার সুভাষ পাল। সারা দিন কাজ করেও এ পেশায় ঠিকমতো সংসার চলে না তার। খেয়ে না খেয়েই কাটে তার সংসার। এ পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় যাওয়ার পুঁজি নেই বলে পেশা পরিবর্তন করতে পারছেন না তিনি। বিভিন্ন ভাবে ঋণের চেষ্টা করেও পাননি ঋণ সহায়তা। এমনটাই বলছিলেন তিনি।

সারাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে প্রণোদনা পেয়েছে অনেকেই। একমাত্র মৃৎ শিল্পের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের ভাগ্যের কোনো উন্নতি হয়নি। আগে হাঁড়ি, পেলেট, চারি, টব, কাসা, পুতুলসহ সব ধরনের মাটির জিনিসপত্রের ব্যবহার ছিল ব্যাপক ভাবে সেকারণে একটু ভালো দাম পাওয়া গেলেও এখন দাম অনেক কমে গেছে। প্ল্যাস্টিক, স্টিল, মেলামাইন, সিরামিকের জিনিসের কদর বাড়ায় এর ব্যবহারও হ্রাস পেয়েছে।

কুমোরদের অভিযোগ, মৃৎশিল্পের সাথে জড়িতরা কোনোদিনই সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ পায় না। কুমোরদের জন্যও সরকারের ঋণের ব্যবস্থা করা উচিত। কৃষিখাতের মতই প্রণোদনা ও ৪% সুদে ঋণের দাবি করেন তারা।

প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এই কুমোর বা মৃৎশিল্পীরা এখনো বেঁচে আছেন শীতে রসের হাড়ি, পূজা আর বাংলা নববর্ষকে ঘিরে।

পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, 'কুমোররা সত্যিই খুব কষ্টে, মানবেতর দিনাতিপাত করছে। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় তারা আরও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সরকারের প্রতি আবেদন, ঋণ বা যে কোনো ধরনের সহায়তার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়ান।'

সরকারিভাবে এসব কুমারদের যথোপযুক্ত সাহায্য দেওয়া হলে এই শিল্প বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তা না হলে এই শিল্প একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।


আরও খবর



উত্তপ্ত বান্দরবান: পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের পর বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামীকাল শনিবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যাবেন তিনি। আজ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য জানান।

নতুন করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। যাদের সন্ত্রাস আর লুটপাটের কারণে আতঙ্কে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বান্দরবানের রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন।

এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামীকাল শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

এ দিকে, অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানায়, ব্যাংক ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে কোনো ঝুঁকি নেননি সদস্যরা। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএপের সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’


আরও খবর



শেরপুরে ৬টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেরপুরের ৬টি গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) এইসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামগুলো হলো শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল। তবে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও মুসল্লীরা ওইসব গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান। প্রতি বছর সদর উপজেলার বামনেচর গ্রামে আগাম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হলেও এবার সেখানকার বেশ কিছু মুসল্লী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামায়াতে দুইশ থেকে আড়াই'শ জন মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। এসব জামায়াতে পুরুষ মুসুল্লীদের পাশাপাশি নারী মুসল্লীরাও পর্দার ভিতরে নামাজে অংশ নেন।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করে থাকে। মুসুল্লীদের সংখ্যাও ধীর গতিতে বেড়ে চলছে বলে জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, সরবরাহ বিঘ্নিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সা‌র্ভিসের পাঁচ‌টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। পল্লী বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের তার ছিঁড়ে স্পার্কিং হয় এবং আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফলে কয়েকটি উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগবে।

সিলেট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে যাতে একটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন তৈরি করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানান।


আরও খবর



সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০২৪ পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০২৪ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দরের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর এই সমরাস্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন স্টল ও প্যাভেলিয়ন ঘুরে দেখেন এবং সমরাস্ত্রগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে স্টল ও সমরাস্ত্রের পরিচিতি ব্রিফ করা হয়। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্মিত স্টল পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এসময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিব, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রধান এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ২৬ থেকে ৩০ মার্চ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে এ সমরাস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



মাদক কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা : বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। বুধবার(১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬.৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর