আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

আমাদের গ্যাস মজুদ আছে আর মাত্র ১০ বছরের—তারপর কী হবে?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে যদি বড় কোনো গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া না যায়, তাহলে বিভিন্ন খাতের শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত দুই দশকে কোনো নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার না হওয়ায় আগামী ১০ বছরের মধ্যেই প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার মতো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

বর্তমানে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ১০ লাখ কোটি ঘনফুট। সে তুলনায় বার্ষিক ব্যবহার বা চাহিদা হচ্ছে এক লাখ কোটি ঘনফুট। গত এক দশকে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে চাহিদা তথা ব্যবহার বেড়েছে। এরমধ্যে গ্যাসের বড় কোনো মজুদও আবিষ্কার না হওয়ায়, বাংলাদেশে স্থানীয় গ্যাসের উৎপাদন ইতোমধ্যেই লক্ষণীয়ভাবে কমছে। ফলশ্রুতিতে, জীবাশ্ম জ্বালানি উৎসটির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং বেড়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি।

রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি- পেট্রোবাংলার প্রদত্ত তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে দেশে গ্যাসের দৈনিক ব্যবহার হচ্ছে ৩ হাজার ১২৬ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে ২ হাজার ২৮৪ মিলিয়নের যোগান আসছে স্থানীয় উৎস থেকে, বাকিটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি হচ্ছে। ২০২০ সালে, স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলি দৈনিক ২,৫৭০.৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন (উত্তোলন) করেছিল। দুই বছরের ব্যবধানে, স্থানীয়ভাবে গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন ২৮৬.৪ মিলিয়ন ঘনফুট কমেছে। এবং ফলস্বরূপ, অভ্যন্তরীণ উৎসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যেকার ব্যবধান পূরণে এলএনজি আমদানিতে নির্ভরতা বাড়ছে।

কিন্তু, বৈশ্বিক বাজারে এলএনজির মূল্যে এখন দেখা যাচ্ছে অস্থিতিশীল প্রবণতা। ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করছে, অথচ রাশিয়াই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ গ্যাস উৎপাদক। এসব ঘটনা বাংলাদেশের সামনে এরমধ্যেই দামি হয়ে ওঠা জ্বালানিটির সরবরাহ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সচল গ্যাসক্ষেত্রগুলির মজুদ ফুরিয়ে আসার সাথেসাথে নতুন গ্যাস বেসিন আবিস্কারে ধীরগতির অনুসন্ধান কাজ অশনি সংকেত, এটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ব্যাঘাতের পূর্বাভাস। তারা বলেছেন, "অবিলম্বে যদি একটি কঠোর গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম গ্রহণ করা না হয়, তাহলে তৈরি পোশাক কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সার কারখানাসহ গ্যাসভিত্তিক শিল্প অবকাঠামো হঠাৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হবে।"

গ্যাস অনুসন্ধান কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছেন, ভবিষ্যতে জ্বালানি সংকট অনুধাবন করে তারা অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে বহুস্তর বিশিষ্ট কর্ম-পরিকল্পনা নিচ্ছেন। সমতল ভূমি ও উপকূলীয় এলাকায় অনুসন্ধান কাজের পাশাপাশি, তারা এখন পাহাড়ি এলাকায় গ্যাসের সন্ধানে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।

গ্যাসের রিজার্ভ: ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরপিএস এনার্জি লিমিটেড-এর হিসাব, ও সম্প্রতি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া ধারণা অনুযায়ী, দেশের ২৭টি বাণিজ্যিক গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের মোট প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুদ ২৯.৫৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। তবে পেট্রোবাংলার উপাত্ত অনুযায়ী মোট গ্যাস মজুদের ২০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট ২০২১ সালের মধ্যে তুলে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো প্রতি বছর প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ঘনফুট পরিমাণ গ্যাস উৎপাদন করে। এভাবে গ্যাস উৎপাদন হতে থাকলে কেবল আগামী ১০ বছর পর্যন্ত দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন করা যাবে।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে যদি বড় কোনো গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া না যায়, তাহলে বিভিন্ন খাতের শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১,৫০০ টেক্সটাইল শিল্পকারখানা রয়েছে যেগুলো গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল।

বিটিএমএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ আলি খোকন বলেন, এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৬ শতাংশের বেশি আসে টেক্সটাইল ও সম্পর্কিত পণ্য থেকে। তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়তে থাকায় টেক্সটাইল সেক্টরে শিগগিরই আরও আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন বিটিএমএ সভাপতি। তবে তিনি আরও জানান, গ্যাস সংকট ও উত্তরোত্তর মূল্যবৃদ্ধির কারণে টেক্সটাইল সেক্টরে নতুন বিনিয়োগের উৎসাহ কমে যাচ্ছে।

প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান বিশেষজ্ঞ এবং ভূতত্ত্ববিদ বদরুল ইমাম বলেন, যদি নতুন কোন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা না যায় তাহলে সামনে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। আমাদের পুরো শিল্প অবকাঠামো গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। তাই হঠাৎ করে গ্যাস সাপ্লাইয়ে সংকট দেখা দিলে তা-তে অর্থনীতিতে বিরাট বিপর্যয় ঘটতে পারে। তাই এখন থেকে চেষ্টা করলে সম্ভবত আগামী ছয় বছরের মধ্যে নতুন কয়েকটি ভালো মজুদের গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে।'

গ্যাস রেশনিং-এও সংকটের থাবা:  ঘনীভূত হওয়া গ্যাস সংকটের মাঝে সরকার বিভিন্ন খাতে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দিতে শুরু করেছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকার সিএনজি স্টেশনগুলোতে দৈনিক চার ঘণ্টা করে গ্যাস রেশনিং শুরু করে, পরে তা ছয় ঘণ্টায় বৃদ্ধি করা হয়।

রমজান মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই গত ১০ এপ্রিল পেট্রোবাংলা নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সব শিল্পকারখানায় ১৫ দিনের জন্য বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ থেকে রেশনে গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই ঘোষণার আওতায় পড়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাকের শিল্পকারখানাগুলোও। রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

পেট্রোবাংলার তথ্যউপাত্ত অনুযায়ী, দেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের ১৫ শতাংশ লাগে শিল্পখাতে। আর বিদ্যুৎখাতে দেওয়া হয় ৪৬ শতাংশ গ্যাস। তবে বিদ্যুৎ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাসের প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাচ্ছেন না। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লোডশেডিং হচ্ছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে প্রতিদিন ১,৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ খাত কেবল ১,০০০ থেকে ১ম১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পায়। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-এর কর্মকর্তারা।

১৩ বছরে ১৭ বিস্ফোরণ: গ্যাসের নতুন মজুদ খুঁজে পাওয়া ও নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন বিস্ফোরণ ও কূপ খনন। যত বেশি বিস্ফোরণ, তত বেশি গ্যাস মজুদ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা। প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের গ্যাস কূপ খননের কার্যক্রম প্রতি বছর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন ৩৮৬টি কূপ খনন করেছে। ২০১৭ অর্থবছরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০১-এ। কিন্তু বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের কার্যক্রম খুবই নগন্য।

পেট্রোবাংলা'র তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত অনুসন্ধান কোম্পানিগুলো ও আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে কেবল ১৭টি কূপে বিস্ফোরণ কাজ চালিয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ১৪টি কূপ খনন করেছে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) তিনটি, ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) একটি করে কূপ খনন করেছে। ১৭টি কূপের মধ্যে সাতটি কূপ বাণিজ্যিকভাবে টেকসই হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তবে আনুমানিক মজুদের পরিমাণ খুব বেশি ছিল না।

সাধারণত, গ্যাস অনুসন্ধানের বৈশ্বিক সাফল্যের হার প্রতি সাত কূপে একটি। কিন্তু বাংলাদেশে এ অনুপাত প্রতি তিন কূপে একটি। গ্যাস অনুসন্ধানে প্রায় দ্বিগুণ সাফল্যের হার থাকা সত্ত্বেও দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের কাজ এখনো যথাযথ মনোযোগ পায়নি। বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধান প্রচণ্ডভাবে উপেক্ষিত মন্তব্য করে বদরুল ইমাম বলেন, 'এত বেশি অনুসন্ধান-হার থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম গ্যাস অনুসন্ধান করা জায়গাগুলোর একটি।' এ সমস্যা সমাধানে তিনি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার পরামর্শ দেন।

পেট্রোবাংলা'র পরিকল্পনা কী?: গ্যাস সরবরাহের সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে পেট্রোবাংলা। গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে কেন্দ্র করে কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পেট্রোবাংলা'র চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জানান, তারা পুরনো হয়ে যাওয়া, শুকিয়ে যাওয়া, ও পরিত্যক্ত গ্যাসক্ষেত্রগুলো সংস্কার করার পরিকল্পনা করছেন। এ প্রক্রিয়ায় জাতীয় গ্রিডে আরও ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ করা যাবে বলে আমরা অনুমান করছি।

এছাড়াও দেশের পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে গভীর খননকাজের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে পেট্রোবাংলা। এগুলোর মধ্যে দুইটি বাপেক্স-পরিচালিত মোবারকপুর ও শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রে খনন করা হবে। অন্য দুটি খনন হবে, বিজিএফসিএল-পরিচালিত তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে। বাকি একটির অবস্থান এসজিএফএল-এর রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে। পাশাপাশি আমরা পার্বত্য অঞ্চলে জরিপ চালাচ্ছি। এটি এ বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ওসব স্থানে গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেলে আমরা কূপ খনন শুরু করব।

অনুসন্ধানের পাশাপাশি বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিরও পরিকল্পনা রয়েছে পেট্রোবাংলা'র। সরকার মহেশখালী ও পায়রাতে আরও দুইটি ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া মাতারবাড়ীতে একটি ভূমি-ভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালও স্থাপন করা হবে। এসব তথ্য জানিয়েছেন পেট্রোবাংলা'র চেয়ারম্যান। সাগরের মধ্য দিয়ে এলএনজি পরিবহন ও স্থানান্তরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো- এফএসআরইউ।

নিউজ ট্যাগ: তিতাস গ্যাস

আরও খবর



২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। আর ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের। এবারের প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ১০টি দল অংশ নেবে।

এবারের আসরের আয়োজক বাংলাদেশ। এবার মোট দুটি ভেন্যুতে খেলা হবে। গ্রুপ পর্ব, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে মোট ২৩টি ম্যাচ মাঠে গড়াবে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ অ্যালার্ডিস এবং বাংলাদেশ-ভারত মহিলা দলের দুই অধিনায়ক উপস্থিত ছিলেন।

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সবশেষ আসরের ফাইনালে প্রোটিয়াদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা।

গ্রুপ পর্ব

গ্রুপ এ : ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং কোয়ালিফাইয়ার-১

গ্রুপ বি : বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কোয়ালিফাইয়ার-২

উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। এর আগে, ২০১৪ সালে প্রথমবার টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ।


আরও খবর



‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ রবিবার (০৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (মানসিক রোগী) আক্রান্ত। তিনি কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, তা বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, মিল্টন কিন্তু স্বীকার করেছেন, তার অপারেশন থিয়েটারে ব্লেড-ছুরি আছে। এগুলো দিয়েই তিনি অপারেশন করতেন।’

ডিবির হারুন বলেন, তার স্ত্রী মিতু হালদার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বানাতে কারা সাহায্য করতেন, তার ব্যাংক হিসাবে কারা টাকা পাঠাতেন, কীভাবে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, সবকিছুর তদন্ত করা হচ্ছে।’

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।’


আরও খবর



পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আটক ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালায়। এ সময় ১২জন বালু উত্তোলনকারীসহ একটি স্কেভেটর ও ৫টি ড্রাম্পট্রাক আটক করেছে পাবনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা দাদাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার বিলকেদা গ্রামের মৃত: তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪২), একই গ্রামের কামিরুল প্রামানিকের ছেলে রুমন হোসেন (১৯), বাবলু মালিথার ছেলে বাধন হোসেন (১৯), ঈশ্বরদী ভেলুপাড়ার মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে ইমন ইসলাম (১৯), নতুন রুপপুর গ্রামের মৃত নান্নু মালিথার ছেলে ইমরান মালিথা (২৯), ফতেপুরের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল হোসেন (৩২), সাহাপুরের  মৃত: আব্দুস সামাদের ছেলে শুভ (২৪), চর রুপপুর জিগাতলার মো. খায়রুল মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (২৯), আলহাজ্ব মোড় এলাকার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), আটঘরিয়া উপজেলার নাগদাহ স্কুলপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মাসুম আলী (৩০), একই গ্রামের মো. আকব্বর এর ছেলে সাগর (১৯), মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে রজমান (২০)।

পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিলকেদার দাদাপুর এলাকায় পদ্মার শাখা নদী হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি স্কেভেটর ও ৫ টি ট্রাকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার মজুরি বাড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। এ সময় কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার আহ্বান জানান। বুধবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বোও না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।’

তিনি বলেন, আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।’

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা।’

শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে- এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন,  সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করবো। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলবো। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের চেয়েও ভালো হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

শনিবার দুপুরে (২০এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুটি উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে দুটি পৃথক মতবিনিময় সভা করেন ইসি আলমগীর। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয় অনাত্মীয় কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে, সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারপরও সবার সহযোগিতায় একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের চেয়েও উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিঞা সহ সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: মো. আলমগীর

আরও খবর