আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আলুবীজ সংগ্রহ নিয়ে উদ্বিগ্ন রংপুর অঞ্চলের ডিলাররা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে নির্ধারিত সময়ে আলুবীজ সংগ্রহ ও বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন রংপুর অঞ্চলের ডিলারর। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ২০২৩-২৪ বিতরণবর্ষে ডিলারদের জন্য বীজ বরাদ্দের বুকিংয়ের শেষ দিন ছিল ৫ নভেম্বর। নির্ধারিত সময়ে রংপুর অঞ্চলের ৮৫৬ ডিলারের মধ্যে বুকিং দিয়েছেন ৭৪৯ জন।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোল্ড স্টোরেজ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে তাদের। হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে পরিবহন সংকটে নির্ধারিত সময়ে বীজ সংগ্রহ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ডিলারদের মাঝে। আবার নভেম্বরের মধ্যে কৃষকের কাছে বীজ বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের ঝুঁকিও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে মানসম্পন্ন বীজ না পেলে আলু আবাদে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে কৃষকদেরও।

বিএডিসি রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালকের (বীজ বিপণন) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগে বীজ আলু বরাদ্দ রয়েছে ৩ হাজার ১৪৫ দশমিক ৯১৫ টন। এর মধ্যে নিবন্ধিত ডিলারদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ৪৮৪ টন। কৃষক, বীজ আলু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিক্রির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬৬১ দশমিক ৯১৫ টন।

এর মধ্যে রংপুর জেলায় বুকিং দিয়েছেন ১৯২ ডিলার। নীলফামারীতে ১৪১, লালমনিরহাটে ১১৭, গাইবান্ধায় ১৩৭ ও কুড়িগ্রামে বুকিং দিয়েছেন ১৬২ জন। রংপুর জেলার প্রত্যেক ডিলারের জন্য বরাদ্দ ৩ হাজার ২০০ কেজি। বাকি চার জেলার ডিলারদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ৮০০ কেজি। ২০২২-২৩ বিতরণবর্ষে আলুর বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৯৬৯ টন এবং প্রতি কেজি বীজ আলু ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে বর্তমানের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করেছে বিএডিসি।

এ অঞ্চলের ডিলারদের দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুরসহ ১৮টি কোল্ড স্টোরেজ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। তবে প্রায় ৬০০ টন বীজ ডিলারদের নদীর ওপারে অর্থাৎ টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, মুন্সিগঞ্জসহ দূরের জেলার কোল্ড স্টোরেজ থেকে বাধ্যতামূলক সংগ্রহ করতে হবে।

রংপুর নগরীর বিএডিসির ডিলার মো. ফিরোজ আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় স্বাভাবিকভাবে চলতি মৌসুমে আলুবীজের চাহিদা বেশি থাকবে। আমিও আশায় ছিলাম বীজ বিক্রি করে লাভবান হব। কিন্তু হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে; বিশেষ করে কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু পরিবহনে যানবাহন ভাড়া করা কঠিন হবে। নভেম্বরে বীজ কৃষকরা না পেলে অবিক্রীত থেকে যাবে। তাছাড়া বীজের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, কৃষক না নিলে পরে খাওয়ার আলু হিসেবে বিক্রি করলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ডিলাররা।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার ৫১০ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৭ লাখ ৩২ হাজার ১৫৪ টন। এবার ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ভালো মানের বীজ সাড়ে ৫৩ টাকা ও বি গ্রেডের বীজ ৫২ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষক পর্যায়ে ভালো মানের বীজ ৬০ টাকা এবং বি গ্রেডের বীজ সাড়ে ৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য জাতগুলো প্রকার ভেদে ডিলার এবং কৃষক পর্যায়ে ৪-৭ টাকা কমবেশি হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা বিএডিসি বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. তাজমিনুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না হলে পরিবহনের অভাবে ডিলারের পক্ষে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জের মতো দূর-দূরান্ত থেকে আলু আনা সম্ভব হবে না। একেক স্থানের কৃষক একেক জাতের আলু আবাদ করেন। নির্দিষ্ট সময়ে কৃষকদের চাহিদা মোতাবেক বীজ দেয়া না গেলে বাধ্য হয়ে কম দামে খাওয়ার আলু হিসেবে বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন, শুধু আলু নয়, রবি মৌসুমে কৃষক পরিবহনের অভাবে তাদের উৎপাদিত শস্যের বাজার দাম ভালো পাবেন না।

বিএডিসি (বীজ বিপণন) রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক মো. মাসুদ সুলতান বলেন, রংপুর অঞ্চলে বীজের চাহিদা নির্ধারণ হয়েছে জাতীয় পর্যায় বিবেচনায়। এবারের চেয়ে গতবার বীজ আলুর পরিমাণ বেশি থাকলেও বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ টন। এমনকি দাম পুনর্নির্ধারণ করেও মাত্র ২০০ টন বিক্রি করতে পেরেছিলেন। হরতাল ও অবরোধের কারণে ডিলাররা নদীর ওপারে, বিশেষ করে দূরের কোল্ড স্টোরেজ থেকে বীজ আলু পরিবহনে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন।

রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, রংপুর বিভাগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। তারপর শুধু আলুবীজ নয়, যেকোনো ব্যবসায়ী যদি নিরাপত্তাসহ কোনো সহযোগিতা চান, আমরা সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রস্তুত। এমনকি বাইরের জেলায় যদি সহায়তা প্রয়োজন হয়, আমরা তাও দিতে প্রস্তুত। জেলায় পর্যাপ্ত বীজ আলু মজুদ আছে।

নিউজ ট্যাগ: আলুবীজ

আরও খবর



পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।


আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



রিজার্ভ বাড়ল ৫১ কোটি ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পালে ভর করে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ গত এক সপ্তাহে বেশ খানিকটা বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৫০ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে রিজার্ভের এ হিসাব তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে আগে তা ছিল এক হাজার ৯৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঝোড়ো বাতাস বইছিল। যে হারে রিজার্ভ কমছিল, সে হারে বাড়ছিল না। ফলে ক্রমাগত কমছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত দুই মাস ধরে সে অবস্থার কিছুটা উন্নতি শুরু হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার সঙ্গে সঙ্গে আবার তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহে প্রায় ৫১ কোটি ডলার বাড়ল।

নিট রিজার্ভের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে। এক সপ্তাহ আগে ছিল দুই হাজার ৪৮১ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে বাড়ল ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।

গত মার্চ মাস শেষে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার যে ঋণ দিয়েছে, তার শর্ত অনুযায়ী মার্চ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের হুরগাও গ্রামের হারুন মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২১ বছর পর এ মামলার রায় এলো।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১-এর বিচারক মো: আজিজুল হক মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, রুহুল আমিন, কুতুব আলী, ফজল মিয়া, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ছায়েদ মিয়া, মিজান মিয়া, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, জিয়াউল হক, আয়াত আলী, ইছাক মিয়া, কুতুব আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুরগাও গ্রামে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে হারুন মিয়াকে হত্যা করা হয়। একই দিন তার চাচাতো ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২১ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। আসামিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় একজন ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



কুবিতে শিক্ষক সমিতির দাবি বাস্তবায়নে কমিটি গঠন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) উপাচার্যের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে উপস্থাপিত দাবিগুলো যৌক্তিকতার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে উপাচার্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দাবিগুলো বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং অতিদ্রুত করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক সুপারিশের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে আহ্বায়ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকীকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস ও আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষক সমিতির যে-সব যৌক্তিক দাবি আছে সেগুলা বাস্তবায়নে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলোচনা করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসন করা হবে। তাই শিক্ষক সমিতির নেতাদের আলোচনায় বসতে আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর