আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আলোচিত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে এই রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি মামলাটি যুক্তিতর্কের শুনানির পর ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেছিলেন আদালত। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ডা. হাসান আলীর ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা ও মন্টু।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ জানান, তারা আশা করছেন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হবে।

আদালত মামলাটির বিচারকালে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। মামলাটি প্রথমে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন ছিল। ১৩৫ কার্যদিবসে মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে রায় ঘোষণাকারী আদালতে পাঠানো হয়।

৩৫ বছর আগে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই রমনা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী সগিরা মোর্শেদ মেয়েকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আনতে গিয়ে স্কুলের কাছেই রিকশায় থাকাবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সগিরা মোর্শেদ মারা যান। এ ঘটনায় তার স্বামী আবদুস ছালাম চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ মামলা ২৫ জন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে গড়ে একজন করে আসামি গ্রেপ্তার করেন। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টু নামে একজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। আদালতে বিচারও শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষ্য গ্রহণের এক পর্যায়ে সাক্ষীরা মারুফ রেজা নামের এক ব্যক্তির নাম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জানান। ফলে আদালত পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান মারুফ রেজা। এরপর হাইকোর্ট ২০১৯ সালের হাইকোর্ট পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই মারুফ রেজাকে ঘিরে তদন্তে নেমে হত্যার আসল রহস্য বের করেন। ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালত চার্জশিট জমা দেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

চার্জশিটে বলা হয়, হত্যাকারী মারুফ রেজার মোটরসাইকেলের পেছনে আসামি হাসানের শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান যান। যাতে সগিরাকে সহজে দেখিয়ে দিতে পারেন। রেজওয়ান দেখিয়ে দিলে মারুফ রেজা গুলি করে পালিয়ে যায়।

ডা. হাসান আলী চৌধুরী আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি ইস্কাটনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। আসামি মারুফ রেজা তার রোগী ছিলেন। সে শহরে মাস্তানি করত। সগিরা মোর্শেদকে শায়েস্তা করার জন্য তিনি তাকেই ঠিক করেন। তার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হয় এ কাজের জন্য। কিন্তু সে সগিরা মোর্শেদকে চিনত না। এজন্য তার শ্যালককে দায়িত্ব দেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য।

সগিরা মোর্শেদের স্বামীর নাম আবদুস ছালাম চৌধুরী। তার বড় ভাইয়ের নাম সামছুল আলম চৌধুরী। মেজো ভাই চিকিৎসক হাসান আলী চৌধুরী। তিনজনই তাদের পরিবার নিয়ে আউটার সার্কুলার রোডে তখন বসবাস করতেন। সগিরা মোর্শেদরা থাকতেন দ্বিতীয় তলায়। চিকিৎসক হাসান তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীনকে নিয়ে থাকতেন ওই বাসার তৃতীয় তলায়। শাহীন তিন তলা থেকে প্রায় সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন, যা সগিরা মোর্শেদের পেছনের রান্না ঘর ও সামনের বারান্দায় পড়ত। এ নিয়ে সগিরার সঙ্গে শাহীনের প্রায় ঝগড়াঝাঁটি হতো। ওই তুচ্ছ কারণেই শাহীন সগিরাকে শায়েস্তা করার জন্য তার স্বামী হাসানকে দিয়ে তার রোগী তৎকালীন সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সন্ত্রাসী মারুফ রেজাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করান।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন প্রসূতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের মধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। পরে মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রসূতি স্বর্ণা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি তার পরিবারসহ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে কোনো চিকিৎসক আছেন কি না জানতে চেয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা শুনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আক্তার দ্রুত নম্বর বগিতে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরে তার সহযোগিতায় ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি।

এ বিষয়ে ডা. নাজনীন আক্তার জানান, তিনি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। মাইকিং শুনে বগিতে ছুটে যান। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।

জন্ম প্রসবে কোনো সমস্যা হয়নি, তাই বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

এ প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন।


আরও খবর



শিশুদের নিডো-সেরেলাকে বাড়তি চিনি মেশাচ্ছে নেসলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি পাওয়া গেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। বাড়তি চিনির এসব পণ্য বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে- বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতেই এই প্রবণতা বেশি। এসব দেশে নেসলের ব্র্যান্ড নিডো বেশ পরিচিতি। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

যৌথ এ গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে। যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও নেসলের শিশুখাদ্য বাড়তি চিনির প্রমাণ মিলেছে। বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



অন্যকে বাঁচাতে জীবন দেওয়া নাজিউল ছিলেন মায়ের একমাত্র সন্তান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

অপরিচিত এক নারীকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দেওয়া সেই কলেজছাত্র তার মায়ের একমাত্র ভরসা ছিলেন। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যাওয়া যুবকের নাম জোবায়ের রহমান নাজিউল (১৮)।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা শহরর মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে সন্তানসহ দাঁড়িয়ে থাকা গৃহবধূ রাজিয়া বেগমেকে বাঁচাতে গিয়ে নাজিউলের মৃত্যু হয়।

জোবায়ের রহমান নাজিউল গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার ভরখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও জেবা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা-মা। জোবায়ের রহমান নাজিউলের এমন ত্যাগে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকে কাতর হয়ে পড়ছেন।

নাজিউলের মা জেবা বেগম অচেনা মানুষ দেখেই চিৎকার করে আহজারী করছেন। আর বলছেন, আমার কলিজার টুকরাকে এনে দাও। আমার ধনকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম। আমার একমাত্র ভরসা ছিল আমার ছেলে। ভালো করে লেখাপড়া করবে, সেজন্য শহরে ভালো স্কুলে ভর্তি করালাম। মাসে মাসে এখন আমি কার কাছে টাকা পাঠাব। এখন আমি কাকে নিয়ে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের এই ত্যাগে মৃত রাজিয়া বেগমের কোলে থাকা শিশুটি বেঁচে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে অনেকেই এই তাকে মানবিক কিশোর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত গৃহবধূ রাজিয়া বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন মাদকাসক্ত ও কর্মহীন। মোবাইল ফোনে প্রেম করে সুনামগঞ্জের রাজিয়াকে বিয়ে করে আনোয়ার। পেশা হিসেবে আনোয়ার হোসেন অন্যের রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। আবার কিছু সময় দিনমজুরের কাজ করেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে কাজ না করে আনোয়ার হোসেন প্রায়ই বাড়িতে বসে থাকতেন। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। শিশু সন্তানের খাবার ঠিকমতো দিতে পারত না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। 

ঘটনার আগের রাতে স্বামীকে কাজ করতে বলায় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সোমবার রাজিয়া বেগম সকালে তার শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারা যান। ওই গৃহবধূর কোলে থাকা ওই শিশু আবির হোসেনসহ তিনজনকে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত গৃহবধূ ও কলেজছাত্র জোবায়েরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওযার পথে তারা মারা যান। তবে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে আহত দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন বর্তমানে শঙ্কা মুক্ত রয়েছে। পরিবারের লোকজন তার দেখভাল করছেন।

স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত রাজিয়া শিশু সন্তানের গায়ে হাত তুলত। এ নিয়ে ঘটনার আগের রাতে তাকে গালিগালাজ করি। এরপর রাতেই আমার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সকালে আমি কাজে যাই। পরে সাড়ে ১১টার দিকে শুনতে পাই আমার স্ত্রী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছে। আমি এই ছোট শিশুকে নিয়ে তার মা ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের সহপাঠী জিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, জোবায়ের রহমান নাজিউল নিজের জীবন দিয়ে যে কাজটি করেছে তা ভোলার মতো না। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তার স্বপ্ন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন। কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তবুও তরতাজা জীবন দুটো বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিতে হলো।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এ এস এম রুহুল আমিন জানান, দেড় বছরে শিশু আবির হোসেন মাথায় ও পেটে কিছুটা আঘাত পেয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় শিশু আবির হোসেন শঙ্কামুক্ত রয়েছে।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় সদর খানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর গৃহবধূর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে। কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।


আরও খবর



কবি নজরুল কলেজে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের নতুন কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত বগুড়া জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য যায়েদ হোসেন মিশু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। এতে কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষার্থী আব্দুল হামিদ সভাপতি এবং দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহম্মদ রাফিদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি দ্রুতই প্রকাশ করা হবে জানিয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি যায়েদ হোসেন মিশু বলেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজে এই প্রথম উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের কমিটি ঘোষণা করা হলো। আমার জেলার ছেলে মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার কোন সুযোগ নেই। এই কমিটির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ ও আস্থা আরো দৃঢ় হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে তৈরি করবে।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ক্যাম্পাসে সকল জেলার ছাত্র কল্যাণ রয়েছে। আমাদের বগুড়া জেলার কোনো সংগঠন ছিল না। আমরাই বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের প্রথম কমিটি। আশা করব এই কমিটির মধ্য দিয়ে বগুড়া জেলার সকল শিক্ষার্থীরা একত্র হবেন। এতে করে আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং নির্ভরতার একটি জায়গা তৈরি হবে।

এছাড়াও বগুড়া জেলা থেকে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আগত সকল শিক্ষার্থীদের পাশে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা জানান সাধারণ সম্পাদক রাফিদ।

নিউজ ট্যাগ: কবি নজরুল কলেজ

আরও খবর