আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আলোচিত মিতু হত্যা:রাজসাক্ষী হতে চেয়েছিলেন আসামি ওয়াসিম

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনের মাস্টারমাইন্ড- এ তথ্য স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে রাজি হয়েছিলেন কারাবন্দি আসামি মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম। তাকে রাজসাক্ষী করতে সব প্রস্তুতি শেষও হয়েছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমার বদলিতেই পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। ওয়াসিমকে রাজসাক্ষী করার সেই চেষ্টা এখন আর নেই। স্ত্রী খুনে বাবুলের বিরুদ্ধে দালিলিক ও প্রযুক্তিগত প্রমাণ সংগ্রহ করে মামলার তদন্ত গুছিয়ে এনে সমাপ্তির পথেও হাঁটছিলেন সন্তোষ কুমার। কিন্তু পিবিআই থেকে সিএমপিতে তার বদলির সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শকাতর এই মামলার তদন্তের গতিপথ চোরাবালিতে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। উল্টো খুনের দায় থেকে বাবুল আক্তারকে বাঁচাতে মামলার পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢালতে শুরু করে বৃহৎ এক শিল্প গ্রুপ। তাকে জামিন করাতেও গ্রুপটি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তদন্তের ফাঁকফোকর খুঁজে তা আদালতে উপস্থাপন করে নতুন নতুন জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কারাগারে নতুন স্ত্রী ইসমত জাহান মুক্তার প্রশংসায় বাবুল সবসময় পঞ্চমুখ থাকলেও মিতুর বিষয়ে থাকেন নিশ্চুপ। কারাগারেও দুই হাতে খরচ করছেন তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে (পিসিতে) জমা করা হাজার হাজার টাকা।

মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মিতুর মামলায় বাবুলের হাতের লেখা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ নিয়ে মিতুর সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনও ছোট ছোট বহু তদন্তকাজ বাকি রয়েছে। নিখুঁতভাবে তদন্ত করায় কখন শেষ করা যাবে, তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।

আগের তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে সিএমপির খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, বাবুল আক্তার স্ত্রী খুনে মুছাকে যে অর্থ দিয়েছিলেন,  তার প্রযুক্তিগত ও সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি সংগ্রহ করে দিয়ে এসেছি। বাবুলের বিরুদ্ধে খুনের সব রকম তথ্য-প্রমাণ মামলার নথিতে রাখা হয়েছে। আমি ৮০-৯০ ভাগ তদন্ত শেষ করেছিলাম। বদলি হওয়ায় বাকি কাজ শেষ করতে পারিনি। এখন নতুন তদন্ত কর্মকর্তা একটি তথ্যের সঙ্গে আরেকটি তথ্যে জোড়া লাগাচ্ছেন। তিনি জানান, বাবুলের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে রাজি হয়েছিলেন আসামি ওয়াসিম। সব প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। এখন মনে হয় সেই প্রক্রিয়া আর এগোয়নি।

ওয়াসিমের চোখে খুনের মাস্টারমাইন্ড বাবুল :মিতু খুনে মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম সরাসরি সম্পৃক্ত ও মামলার অন্যতম আসামি। এখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সেলে রয়েছেন। মিতু মামলার শুনানিতে কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি। সম্প্রতি আদালতে একান্তে ওয়াসিমের সঙ্গে কথা বলে সমকাল। ওয়াসিম বলেন, বাবুল আক্তার গভীর রাতে মুছার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতেন, যাতে বাবুল আক্তারের কথা রেকর্ড না হয়। কিন্তু মুছা দুষ্ট হওয়ায় তা লাউডস্পিকারে দিয়ে আমাদের শোনাতেন। শুধু বাবুলের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুছাকে একটি সিমও দিয়েছিলেন বাবুল। ওই সিম দিয়ে বাবুল আক্তার ছাড়া আর কারও সঙ্গেই কথা বলতে পারতেন না মুছা। একদিন কথা বলার সময় ফোন কল লাউডস্পিকারে থাকায় মিতুকে খুন করার কাজ কতদূর এগিয়েছে তা জানতে চান। মুছা করে দেব বলে জানায়। তারপর বাবুলের পরিকল্পনায়ই মিতুকে খুন করা হয়। মুছা ছিল বাস্তবায়নকারী আর মাস্টারমাইন্ড বাবুল আক্তার। তিনি বলেন, আমি উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজসাক্ষী হওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিলাম। সন্তোষ স্যার আমাকে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য রাজি হতে বলেছিলেন। বাবুল আর মুছার কারণে আমরা আজ জেলে বন্দি।

কারাগারে ঢুকেই মুখ বন্ধ রাখার বার্তা পাঠান বাবুল : স্ত্রী খুনের মামলায় আসামি হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে যাওয়ার পর দিনই কারাবন্দি অন্য আসামিদের বিশেষ বার্তা পাঠান বাবুল। কারাগারে বাবুল যে সেলে বন্দি ছিলেন, তার পাশের সেলেই ছিলেন মামলার অপর আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন। বাবুল তাদের খোঁজখবর জানার জন্য এক সেবক বন্দিকে দিয়ে বার্তা পাঠান। সঙ্গে ছিল কারা ক্যান্টিন থেকে আনানো চা-বিস্কুটও। বাবুলের বার্তা পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওয়াসিম ও আনোয়ার। তারা বার্তাবাহককে বলেন, আমরা কারাগারে আসার পর বাবুল একদিনের জন্যও নিজে কিংবা অন্য কারও দিয়ে আমাদের ও পরিবারের কোনো খবর নেননি। তিনি আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়ে নিজে বেঁচে যাবেন মনে করেছিলেন। তাই আমাদের খবর নেননি। আজ নিজে আসামি হয়ে আসার পর আমাদের খবর নিচ্ছেন। মুছাকে কথা দিয়েছিলেন কাজটি (মিতুকে হত্যা) করার পর আমাদের সবার দায়িত্ব নেবেন বাবুল। তিনি তার দেওয়া কথা রাখেননি। এ মেসেজ বাবুলের কাছে পৌঁছানোর পর বাবুল তাদের জামিন করানোসহ সবকিছু দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের মেসেজ পাঠান। সঙ্গে মিতু খুনে বাবুলের সম্পৃক্ততার কথা কোনোভাবেই ১৬৪ কিংবা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলা যাবে না বলে মুখ বন্ধ রাখার বার্তা পাঠান। একইভাবে কারাবন্দি সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু ও শাহজাহান মিয়ার কাছে একই বার্তা পাঠিয়েছিলেন বাবুল। ওয়াসিম ও কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যায়।

বাবুলের মামলার সব খরচ দিচ্ছে এক বৃহৎ শিল্প গ্রুপ :বাবুল আক্তারকে বাঁচাতে মামলা পরিচালনার পেছনে যত খরচ হচ্ছে, তার সবটাই মেটাচ্ছে একটি বড় শিল্প গ্রুপ। চট্টগ্রাম আদালতে নতুন নতুন পিটিশন দাখিল করা, শুনানিতে একাধিক সিনিয়র আইনজীবীকে দাঁড় করানো, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন শুনানি, আদেশের নকল কপি সংগ্রহ, মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি ও আদেশের নকল কপি সংগ্রহ, হাইকোর্টে জামিন ফাইল করা ও শুনানি- সবই হচ্ছে ওই শিল্প গ্রুপের টাকায়। খোদ এসব তথ্য জানিয়েছেন বাবুল আক্তার নিজেই। এক শীর্ষ কারা কর্মকর্তা জানান, বাবুল আক্তার তাকে বলেছেন, তিনি একটি শিল্প গ্রুপে বড় পদে চাকরি করতেন। পুলিশে চাকরি যাওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি করে আসছিলেন। তিনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, সেই প্রতিষ্ঠানে প্রচুর সিস্টেমলস হতো। বাবুল যোগদানের পর সেই সিস্টেমলস অনেকটাই কমিয়ে আনেন। তাই ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা তাকে খুবই পছন্দ করেন। তাকে বলেছেন, তুমি যখনই ফিরে আসবে তোমার জন্য ওই চেয়ার ফাঁকা থাকবে।


আরও খবর



শপথ নিলেন নতুন ৭ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভায় আরও ৭ জন নতুন সদস্য শপথ নিয়েছেন। ফলে মন্ত্রিসভার আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।

শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন প্রতিমন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

শপথ নেওয়া নতুন প্রতিমন্ত্রীরা হলেন, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আব্দুল ওয়াদুদ, নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহীদুজ্জামান সরকার, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল), সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও পরিকল্পনা অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম), সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে বেগম নাহিদ ইজাহার খান (ঢাকা) এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বেগম রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট)।

এর আগে বিকেলে মন্ত্রিসভায় নতুন ৭ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে জানানো হয়, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি শুক্রবার সাতজনকে সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। গত ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। আজ নতুন করে ৭ জন যুক্ত হওয়ায় মন্ত্রিসভার আকার দাড়াল ৪৪ জনে। এর মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ১৮ জন।


আরও খবর



পরী-বুবলীর তর্কযুদ্ধে মজা লুটছেন অপু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বৃষ্টিময় শীতল আবহাওয়ায় হঠাৎ করেই শীতল এক যুদ্ধ চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যটফরম ফেসবুকে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র তারকার মধ্যে চলছে কথার লড়াই। একজন পরীমনি, অপরজন বুবলী। বুধবার (২০ মার্চ) রাত থেকেই চলছে দুই নায়িকার ফেসবুক যুদ্ধ। চলছে পাল্টাপাল্টি পোস্ট।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনকে ঘিরে। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় পাঁচ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে।

তবে বিপত্তি বাধে সেই ভিডিও নিয়েই। বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরপরই মধ্যরাতে নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমনি। কিন্তু পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন করেননি তিনি। তবে কারো বুঝতে বাকি নেই যে পোস্টটি বুবলীকে ইঙ্গিত করে করা! নিজের স্ট্যাটাসে পরীমনির দাবি, প্রায় ছয় মাস আগে তার সন্তান পুণ্যকে নিয়ে বানানো ভিডিওকে কপি করেই বানানো হয়েছে বুবলীর সন্তানের সেই ভিডিও।

অবশ্য পরীমনির পোস্টের পর বুবলীও আলাদা করে পরীকে ইঙ্গিত করে পোস্ট করেছেন। তার দাবি, কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে- এ রকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই। শুধু এক ধরনের সিন্ডিকেটের অবস্থা দেখলে মনে হয় যে এরাই শুধু মা হয়েছে, আর কেউ মা হয়নি। এ ছাড়া অভিনেত্রী বিভিন্ন ইঙ্গিতমূলক কথা লেখেন নিজের স্ট্যাটাসে।

এরপর বুবলীর সেই পোস্টকে ঘিরেও নতুন করে পোস্ট দেন পরীমনি। সেটিকে গরুর রচনার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। পাল্টা পোস্ট দিয়ে লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরির গরুর রচনা! সেই সঙ্গে বুবলীকে বেচারি উল্লেখ করে খোঁচাও মারেন পরী মনি। এটাও লেখেন যে বুবলী নিজেও জানে না সে কী লিখছে! নিজের লেখা সে নিজেও বুঝতে পারবে না।

এদিকে পরীমনি-বুবলীর মধ্যে ভার্চুয়াল লড়াই যখন চলছে, এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলেন অপু বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টায় ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন উফ কী সুন্দর ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে।

অপু বিশ্বাসের এ স্ট্যাটাসের অর্থ অবশ্য বুঝতে বাকি নেই নেটিজেনদের। তারা বলছেন, বুবলীকে এবার অপু বিশ্বাসও খোঁচা দিলেন। সামাজিক মাধ্যমে যা নিয়ে চলছে এখন নানা সমালোচনা। তিন তারকার ভক্তরাও সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাদের একে অপরকে ইঙ্গিত করে চলা এই তর্কযুদ্ধে। অনেকেই অনুরোধ করছেন এই তর্কযুদ্ধ থামাতে। এখন দেখার বিষয়, অপুর ইঙ্গিতের পর এই লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়!


আরও খবর



ঢাকাসহ চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের সতর্ক বার্তায় বলা হয়, কুমিল্লা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




শাকিব খানকে নিয়ে বোমা ফাটালেন কলকাতার প্রযোজক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। সেই সুবাদে এখন পর্যন্ত তার সমপর্যায় পৌঁছাতে পারেনি কেউ। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে তার অভিনীত সিনেমা মানেই দর্শকমহলে অন্যরকম আলোচনা ও প্রশংসার জোয়ার।

গত বছর প্রিয়তমা সিনেমা দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেন শাকিব খান। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আসছে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বিগ বাজেটের রাজকুমার সিনেমা। ইতোমধ্যে এর একটি পোস্টারও প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা করছেন নেটিজেনরা।

দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রি পেরিয়ে কলকাতার টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও নাম লিখিয়েছেন শাকিব খান। শ্রাবন্তী, শুভশ্রীসহ বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন। ওপার বাংলার ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের কাছে বেশ পরিচিত এক নাম। কিন্তু সেই নায়কই নাকি অভিনয় পারেন না? তাকে নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন টালিউড প্রযোজক রানা সরকার।

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে এক অডিও বার্তায় শাকিব খান প্রসঙ্গে প্রযোজক রানা সরকার বলেন, শাকিব জনপ্রিয় হলেও পশ্চিমবঙ্গে তার সিনেমার দর্শকপ্রিয়তা নেই। একজন সুপারস্টারের সিনেমা যেমন চলা উচিত যেমন জিৎ, দেব সোহমসে রকম করে চলে না। শাকিব হয়তো অনেক জনপ্রিয়, কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে অন্য যারা ভালো করছেন, তাদের তুলনায় কিন্তু অতটা ভালো নয়।

এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় সে কাজ করলেও হলগুলো কিন্তু তার সিনেমায় খুব একটা আগ্রহী নয় বলে মন্তব্য রানা সরকারের। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, শাকিবের সিনেমা হলে তো চলেই না, বাংলার কোনো স্যাটেলাইট চ্যানেলও সেরকম দাম দেয় না তাকে, যে দামটা জিৎ, দেবের মতো নায়কদের রয়েছে।

শাকিব সুপারস্টার ঠিকই, তবে তিনি যদি অভিনয়ে আরও মনোযোগ দিতেন, তাহলে বেশ ভালো হতো বলে মনে করেন টালিউড প্রযোজক রানা সরকার।


আরও খবর



খাতনায় শিশু আহনাফের মৃত্যু : মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগ (ভিডিও)

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মালিবাগে জে এস হাসপাতালে সুন্নতে খাতনা করাতে গিয়ে শিশু আহনাফ তাহমিদ আইহামের (১০) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। এছাড়া মামলার তদন্তে ধীর গতি বলেও অভিযোগ করেন তারা। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন করে এই অভিযোগ করে আহনাফের সহপাঠী, স্বজন ও প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকরা।

তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অসাধু চক্র মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে সহযোগিতা করছে না প্রশাসন ও পুলিশ। অন্যদিকে আদালতে এ মামলা পরিচালনায় আইনজীবীরাও পক্ষপাতিত্ব করে অনিহা দেখাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খাতনা করাতে গিয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহনাফ তাহমিদ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মোহাম্মদ ফখরুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহনাফ তাহমিদকে সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য তার বাবা ফখরুল আলম হাতিরঝিল থানার জেএস হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরের কাছে নিয়ে যান। তিনি ওই সময় কিছু টেস্ট লিখে দেন। ওই হাসপাতালেই টেস্টগুলো করে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে চিকিৎসক ফোন করে জানান, রিপোর্টগুলো ভালো আছে। সুন্নতে খাতনা করতে কোনো সমস্যা নেই। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৮টায় ছেলের সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য স্ত্রী খায়রুন নাহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে ছেলেকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়া হয়।

আসামিরা জানান, তাদের ২০-২৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন আহনাফের বাবা-মা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ৩০-৩৫ মিনিট পর ওটি রুমের দরজায় নক করলে তাঁরা জানান, আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। এভাবে এক ঘণ্টা পার হওয়ার পর আহনাফের বাবা ফখরুল ওটি রুমে প্রবেশ করতে চাইলে তাঁকে নিষেধ করে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়।

পরবর্তীতে সন্দেহ হলে ফখরুল জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখতে পান, তাঁর ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। আহনাফের বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করছে এবং নাকে ও মুখে নল দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখেন। তখন চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি। ছেলের এই অবস্থা দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা কর্ণপাত না করে নিজেরাই তার বুকে চাপাচাপি, হাত-পা মালিশ করতে থাকেন।

তখন জোর করে তাকে ওটি রুম থেকে বের করে দেন তারা। দুই ঘণ্টা পার হলেও তারা ছেলের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে আবার জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করে ফখরুল জানতে পারেন তার ছেলে আহনাফ তাহমিদ মারা গেছে। এরপরই দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর