আলিম পরীক্ষায় এবারও দেশসেরা ফলাফল অর্জন
করেছে ঝালকাঠির এন এস কামিল মাদরাসা। এ মাদসারা থেকে এ বছর আলিম পরীক্ষায় ১৮৬ জন পরীক্ষার্থী
জিপিএ ৫ পেয়েছে। এছাড়া ৮৮ জন পেয়েছে এ গ্রেড। ২৭৮ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে।
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আযীযুর রহমান কায়েদ ছাহেব হুজুরের প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসা
প্রতিবছরই আলিম পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষস্থান অর্জন করে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি গাজী মো. শহিদুল
ইসলাম রবিবার দুপুরে পরীক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়িয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় জিপিএ ৫
প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের বাধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে মাদ্রাসার ক্যাম্পাস। ভালো ফলাফলের
জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরীক্ষার্থীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত
হয়ে পড়ে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি গাজী মো. শহিদুল
ইসলাম জানান, ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসাটি ইতোমধ্যেই দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপলাভ করেছে। ফলাফলে প্রতিবছরই মাদ্রাসাটি এগিয়ে থাকে। বর্তমানে
এ মাদ্রাসায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। অনার্স ও মাস্টার্সসহ দাখিল, আলিম,
ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় দেশের সেরা হয়ে গৌবর অর্জন করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের
সাফল্যের জন্য তিনি শুকরিয়া আদায় করেন।
তিনি বলেন, মুসলিম ঐক্যের প্রতীক আমীরুল
মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহাম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের বলিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষকতা,
দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে
প্রয়োজনীয় ক্লাসটেস্ট, দুর্বল ছাত্রদের জন্য বছরের বিভিন্ন সময় ফিডব্যাক ক্লাস, অভিভাবকদের
সম্মেলনসহ শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, আবাসিক ছাত্রদের জন্য সার্বক্ষণিক
মনিটরিং ও টিউটর দ্বারা আবাসিক ক্লাস ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কেন্দ্রীয়
পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই গৌরবোজ্জল ফলাফল লাভ করছে। তিনি এ প্রতিষ্ঠানটির উন্নতির
জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সর্বমহলের আন্তারিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এদিকে ঝালকাঠি সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি
পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫৪৩ জন। উত্তীর্ণ ৪১৬ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮ জন। পাশের হার
৭৬.৬১%। ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ৪৯৬ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ
হয়েছে ৪৩১ জন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩ জন। ঝালকাঠি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা
থেকে আলিম পরীক্ষায় ৩৮ জন অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং জিপিএ-৫
পেয়েছেন ৫ জন। ঝালকাঠি কুতুবনগর আলিম মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় ১৪ জন অংশ নেন। তাঁদের
মধ্যে ১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং জিপিএ-৪ পেয়েছেন ৩ জন।