আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আ.লীগকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিলে গণভবনের মতো অবস্থার হুঁশিয়ারি সমন্বয়কদের

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে কয়েকশ শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শেখ হাসিনার বিচার ও ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এই দাবি জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গণমাধ্যমের সাথে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, ছিল ও থাকবে। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চায়। ছাত্র-জনতা তা কোনোভাবেই হতে দেবে না। আমাদের মূল দাবি, হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন। তাই আপনারা বক্তব্য দেওয়ার আগে ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্র মনে রাখবেন। খুনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, আমরা যেভাবে স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি, ঠিক একইভাবে স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদেরও নামাতে সময় লাগবে না।

ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতির বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ছিল। সেই দখলদারিত্বের রাজনীতির পুনর্বাসন করতে দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে।

আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা আজকে আপনাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক করতে এসেছি। আমরা ৫ আগস্ট দেশ থেকে স্বৈরাচার তাড়ানোর পর ৫ তারিখ থেকে কিছু কুচক্রী মহল ক্যু করার চেষ্টা করছিল। আমরা ছাত্র-জানতা তা দমন করেছি।

তিনি বলেন, এরপর সর্বশেষ বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করলে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি৷ আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনো একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ছাত্র-জনতা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেব না। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানান।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে হাসিনার সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দেব। আওয়ামী লীগ পরাজিত শক্তি নানান কূটকৌশল আঁকছে। আমরা ছাত্র-জনতা কোনোভাবে ১৫ আগস্টের ক্যুর পরিকল্পনা সফল হতে দেব না।


আরও খবর



সীমান্ত হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভবিষ্যতে যাতে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা আর না ঘটে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বর্ডার কিলিং (সীমান্তে হত্যা) নিয়ে এখানে একটু আলোচনা হয়েছে। এজন্য শুধু আমি বলব, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে (কর্তৃপক্ষ) আদেশ দিয়েছি। আমি আশা করব ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে আপনারাও আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, যেহেতু আমাদের যাওয়া-আসা করে, এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে। এখানে সবাইকে আমি অনুরোধ করেছি, এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে ভালো ভালো পূজা মণ্ডপ করেন। যাতে আমাদের লোক ওই পাড়ে না যায় পূজা দেখার জন্য। ওইপাড়ের লোকও যেন এই পাড়ে না আসে, এটার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার আগের চেয়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।

সনাতন ধর্মের নেতাদের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে এখনও কোনো পূজামণ্ডপের তালিকা দেয়া হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে এ বছর সম্ভাব্য মণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার হতে পারে।


আরও খবর



প্রবাসীর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণেও এবার মিলবে প্রণোদনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

এখন থেকে বিদেশে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী বা দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের ক্ষতিপূরণ বাবদ আসা রেমিট্যান্সের বিপরীতেও ২.৫ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এ নির্দেশনা আজ থেকেই কার্যকর হ‌বে।

এতে বলা হয়, বিদেশে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী বা দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের নিয়োগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা বিমা কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ বৈধ উপায়ে দেশে প্রেরিত অর্থের বিপরীতে বিদ্যমান হারে (২.৫ শতাংশ) রেমিট্যান্স প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রেমিটকৃত অর্থের আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রমাণকের ভিত্তিতে নিশ্চিত হতে হবে এবং আহরণের সাথে সাথে আবশ্যিকভাবে টাকায় রূপান্তর করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ। গত মাসের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাসেও। আগস্টের চেয়ে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়তে পারে চলতি মাস সেপ্টেম্বরে। এ মাসের প্রথম সাতদিনেই এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকা।


আরও খবর



রাজবাড়ীতে বৃদ্ধাকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে আশালতা দাস নামে এক বৃদ্ধাকে হত্যার দায়ে বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস (২৫) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন।

রায়ে আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বজিৎ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের সুজিৎ বিশ্বাসের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের মাত্র আট মাসের মাথায় এ রায় দেওয়া হলো। নিহত আশালতা একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্বজিৎ আশালতা দাসের বাড়িতে ঢুকে তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত এবং শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর আশালতা দাসের স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি বাড়ির বারান্দা থেকে আশালতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন নিহতের জামাতা স্বপন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে পাংশা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উজির আলী বলেন, আশালতা দাসের দুই মেয়ে। অনেক আগেই তাদের বিয়ে হয়েছে। তাই বাড়িতে আশালতা একাই থাকতেন। তাঁর জায়গা-জমি দেখাশোনার জন্য একজন লোক ছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির কাজের লোক ঘরের বারান্দায় আশালতা দাসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান বিশ্বজিৎ। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ রায়ে বাদীপক্ষ খুশি।

নিউজ ট্যাগ: রাজবাড়ী

আরও খবর



ইরানে প্রথম নারী সরকারি মুখপাত্র হলেন মোহাজেরানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রথমবারের মতো একজন নারীকে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করেছে ইরান। ইরান সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত হওয়া ওই নারীর নাম ফাতেমেহ মোহাজেরানি।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস ও এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সরকারের নতুন মুখপাত্র হিসেবে ফাতেমেহ মোহাজেরানিকে নিযুক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এই নিয়োগ দেন বলে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

তেহরান টাইমস বলছে, ফাতেমেহ মোহাজেরানি ১৯৭০ সালে আরাকে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হেরিওট-ওয়াট ইউনিভার্সিটি এডিনবার্গ ক্যাম্পাস থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি হাসান রুহানির সরকারে টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভকেশনাল ট্রেনিং ইউনিভার্সিটি অব শরীয়তির (নারীদের জন্য) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ২০১৭ সালে সেন্টার ফর ব্রিলিয়ান্ট ট্যালেন্টের প্রধান হিসেবেও নির্বাচিত হন মোহাজেরানি।

ফাতেমেহ মোহাজেরানিকে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনও নারীকে এই পদে দায়িত্ব দিলো ইরান। আর এই কারণে মোহাজেরানির নিয়োগটি ঐতিহাসিক বলে মনে করা হচ্ছে।

এই নিয়োগের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস হজরতিকে সরকারের তথ্য কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য বর্তমান সরকারের সময়ে ইরানে সরকারের শীর্ষস্থানীয় পদে কোনও নারীকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম নয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান গত সপ্তাহে শিনা আনসারিকে ইরানের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং পরিবেশ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সিলেটে ৯১১ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৫৬টি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কাছে লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৯১১টি। মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা হয়েছে। যা মূল আগ্নেয়াস্ত্রের মাত্র ৬ শতাংশ।

সিলেট মহানগর ও জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেট মহানগর এলাকায় লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ২৪৮টি আর জেলার লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৬৬৩টি। তবে সব মিলিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে ৫৬টি। বাকিগুলা এখনো জমা হয়নি। ফলে বাকি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে বুধবার রাত ১২টা থেকে।

সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই আমরা থানাগুলোকে প্রচারণা চালানোর জন্য বলেছি। এসব আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো থানায় জমা না দিলে সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা আসার পর কাজ শুরু করবে পুলিশ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ বিষয়ে সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা সরকার জানান, গত ১৫ বছরের লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র স্থগিত করেছে সরকার। সেইসঙ্গে সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে থানায় আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেশিভাগ অস্ত্রধারী আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেয়নি। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। যারা নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর