বিশ্বের প্রধান আর উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি জোট জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লির
উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফর সঙ্গীরা বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে নয়া দিল্লির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল
(রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
এদিকে দিল্লিতে পৌঁছানোর পরই বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারি
বাসভবনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে টাকা–রুপিতে লেনদেন
সুগম করা, কৃষি খাতে গবেষণা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও রেলপথের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস
একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জি টুয়েন্টি সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন।
জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি ও যুদ্ধের কারণে জরুরি পণ্যের নিবিঘ্ন সরবরাহ নিয়ে
বক্তব্য দেবেন তিনি। সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত, সৌদি আরব,
আর্জেন্টিনা, আরব আমিরাত, কানাডার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন।
এবারের সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের
সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি একগুচ্ছ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে
নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।
বিশ্বের প্রধান আর উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি জোট জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সামনে
রেখে নতুন রূপে সেজেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলনস্থল ‘ভারত মণ্ডপ’, আর নজিরবিহীন
নিরাপত্তায় মুড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।
জি-২০ সম্মেলনের বিভিন্ন কর্মসূচির ফাঁকে শনিবার নয়াদিল্লিতে সৌদি আরবের ক্রাউন
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ, আর্জেন্টিনা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের
সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনের সাইডলাইনে এ ছাড়াও
বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার।
জি-২০ শীর্ষ এ সম্মেলন হবে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।