হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের শঙ্খমহল গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আহত কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন, আজমিরীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক তারিকুল হাসান হিমন, মারুফ মিয়া, দুলু, সজিব, ফজল, করুনা বিবি, মুহিত, ফয়সল, রাসেল, ময়না মিয়া। এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশের উপপরিদর্শক তারিকুল হাসান হিমনকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু ও ইউপি সদস্য (মেম্বার) আলাউদ্দিন মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জেরে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের লোকজনের মধ্যে আজ কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাঁরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে আলাউদ্দিনের মেম্বারের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার সকালে জলসুখা বাজারে কথা-কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।’
ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘একটি জমি নিয়ে ৩০ বছর ধরে চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদের পরিবারের সঙ্গে মামলা চলে আসছে। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে আমাদের পক্ষে মামলার রায় দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ জলসুখা বাজারে চেয়ারম্যানের লোকজন আমার ওপর হামলা করে।’
এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ জানান, জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় আজমিরীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক তারিকুল হাসান হিমন আহত হয়েছেন। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।