আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

আজকের রাশিফল

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মেষ :

সপ্তাহের প্রথম দিকে কাজে ছোটখাটো বাধা পেতে পারেন। এর ফলে আপনার মধ্যে হতাশা দেখা যাবে। অসতর্কতার কারণে ক্ষতি হতে পারে। তাই কোনও নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগ না করাই ভালো। কথাবার্তার সময় সতর্ক থাকুন। বিবাদে জড়াবেন না। সপ্তাহের মাঝে প্রবীণদের আশীর্বাদ পাবেন। মনে পবিত্র ভাব আসবে। সপ্তাহের শেষে অতিরিক্ত কাজের চাপে মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন।

বৃষ :

সপ্তাহের শুরুতে শরীর ভালো থাকবে। পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারেন। স্ত্রীর সাথে বোঝাপড়া খুব শক্তিশালী হবে। ব্যবসায় নতুন অংশীদার পেতে পারেন। আপনার জরুরী সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে ভালো সুযোগ আসতে পারে। সপ্তাহের মাঝে একাকীত্ব বোধ করবেন। লুকানো শত্রুদের থেকে সাবধান থাকুন। সপ্তাহের শেষে পেশাদারি ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়বে। বড়দের আশীর্বাদে কাজ ভালো হবে।

মিথুন :

গত কিছুদিন ধরে ভুগতে থাকা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন সপ্তাহের শুরুর দিকে। অদরকারি খরচে লাগাম দিলে আপনার সঞ্চয় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহের মাঝে ব্যবসায় নতুন সুযোগ আসবে। আপনার কিছু কাজের জন্য সামাজিক মর্যাদা বাড়বে। স্ত্রীয়ের সাথে সম্পর্ক ভালো হবে। সপ্তাহের শেষে মনখারাপ হবে। ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে পারে।

কর্কট:

এই সময়টা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর পাশাপাশি, এই সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে আপনার উপর কাজের চাপ বাড়তে পারে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি থেকে দূরে থাকেন, এই সপ্তাহে একাকীত্ব অনুভব করবেন। আপনি যখন সময় পাবেন, কোথাও বাইরে যান, কিছু বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। আপনাকে পরবর্তীতে কোনও কাজ স্থগিত না করে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে হবে। কারণ তবেই আপনি কর্মক্ষেত্রে আপনার সিনিয়রদের সমর্থন এবং প্রশংসা পেতে সক্ষম হবেন।

সিংহ:

ইতিবাচক চিন্তা করুন এবং আপনার কথাবার্তায় মাধুর্য আনুন। এই সপ্তাহে আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনার টাকা তখনই আপনার কাজে আসবে যখন আপনি তা জমা করবেন। আপনি যদি সময় মতো এটি খুব ভালভাবে জানেন তবে এটি আপনার জন্য মঙ্গলজনক, অন্যথায় আপনাকে ভবিষ্যতে এই জিনিসটির জন্য অনুতপ্ত হতে পারে। হোস্টেল বা বোর্ডিং স্কুলে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ যত্ন নিয়ে এই সপ্তাহে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ তাহলেই ভালো ফল পাবেন।

কন্যা:

যারা বাড়ি থেকে দূরে থাকেন, তারা ফোন বা অন্য যোগাযোগের মাধ্যমে পরিবারের কাছের কারও অসুস্থতার খবর পাবেন। যার কারণে আপনার মন অস্থির থাকবে। দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আপনার শত্রুরা কর্মক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে একটি বড় পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য এই সপ্তাহটি মিশ্র ফল দেবে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। প্রেমের জন্য সময়টি ভালো। অবিবাহিতদের বিবাহের যোগ রয়েছে।

তুলা:

সপ্তাহের শুরুতে জাতকের উপর গ্রহের ইতিবাচক প্রভাব থাকবে। মানসিক ভাবে ভালো থাকবেন। নিজের লক্ষ্যের দিকে সমগ্র মনোযোগ থাকবে। খরচ ও সঞ্চয়ের মধ্যে ভারসাম্য থাকবে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সপ্তাহের মাঝে ব্যবসায় লাভ হতে পারে। আপনার অধস্তন কর্মীদের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। নতুন কিছু নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারেন। কিন্তু মাঝে অবস্থা একটু খারাপ হতে পারে। সপ্তাহের শেষ কদিন আবার এই অবস্থা কেটে যাবে। পেশাগত ক্ষেত্রে ভালো পারফর্ম্যান্স করবেন।

বৃশ্চিক:

সপ্তাহের শুরুতে জাতকের সময় ভালো যাবে। আপনার জীবনীশক্তি, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কাজ ও পারিবারিক জীবনে ভারসাম্য থাকবে, আপনি প্রতি মুহূর্ত উপভোগ করবেন। আপনি বিনিয়োগ সংক্রান্ত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সপ্তাহের মাঝের সময়টা সম্পত্তি সংক্রান্ত পারিবারিক মামলায় ব্যস্ত থাকতে পারেন। সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারেন। সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রে ভালো খবর শুনতে পারেন। সপ্তাহের শেষ কটা দিনও ভালো থাকবে। নতুন কারও সঙ্গে দেখা হতে পারে। যার সূত্রে জানাশোনা বাড়বে।

ধনু:

সপ্তাহের শুরুটা ভালো কাটবে না। মানসিক ভাবে ক্লান্ত থাকবেন, অনিদ্রা গ্রাস করতে পারে। নিজের বা পরিবারের কারওর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অকারণে প্রচুর খরচ হতে পারে। সপ্তাহের মাঝে আগের পরিস্থিতি কেটে যেতে পারে। মনে শান্তি আসবে। ধৈর্য বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা। কর্মজীবন ভালো কাটবে। সপ্তাহের শেষ কদিন জাতক পারিবারিক বিষয় ও সন্তানের শিক্ষার বিষয়ে ব্যস্ত থাকবেন। নিজের জীবনে কিছু দ্বন্দ্ব অশান্তির মধ্যে পড়তে পারেন। অহঙ্কার ত্যাগ করলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবেন।

মকর:

সপ্তাহের শুরুতে মানসিক শান্তি বজায় থাকবে। কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেবেন। আর্থিক লাভের সম্ভাবনা। সপ্তাহের মাঝে একাকীত্বে ভুগতে পারেন। লুকনো শত্রুর থেকে সাবধান। ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন। সপ্তাহের শেষ দিকে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন।

কুম্ভ:

সপ্তাহের মাঝে ব্যবসায়ে উন্নতি হতে পারে। নেটওয়ার্ক বাড়বে। পূর্বের বিবাদ মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা। সপ্তাহের মাঝে নতুন বিনিয়োগ করতে পারেন। পূর্বের বিনিয়োগ থেকে আর্থিক লাভের সম্ভবনা। পুরনো ধার মিটিয়ে দিতে সক্ষম হবেন। সপ্তাহের শেষ দিকে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটবেন। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। অকারণ খরচ করবেন না।

মীন:

সপ্তাহের শুরুতে থেমে যাওয়া প্রকল্প আবারও শুরু হতে পারে। ব্যবসায়িক লাভ হতে পারে। কঠিন পরিশ্রমের ফল পাবেন। সপ্তাহের মাঝে কোনও সুখবর পেতে পারেন। আয় বৃদ্ধি পাবে। সপ্তাহের শেষে মানসিক অশান্তি তৈরি হতে পারে। স্বাস্থ্যের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে।

নিউজ ট্যাগ: আজকের রাশিফল

আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকার ঘোষণা এরদোয়ানের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আজ বুধবার নিজ দল একে পার্টির (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সংসদীয় দলের সভায় তিনি বলেন, আমাকে একঘরে করে রাখলেও আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকব। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমন অবস্থায় এরদোয়ান বলেছেন, যতক্ষণ আমার শরীরে প্রাণ আছে আমি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকবো। তাদের সংগ্রামের সঙ্গে থাকবো।

হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানতেও নারাজ এরদোয়ান। হামাস যোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একমাত্র সাহসী জাতি যারা হামাসকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন মনে করি।

এরদোয়ান বলেন, যখন কেউ কথা বলেনি, আমরা বলেছি। জাতিসংঘে আমরা দাঁড়িয়ে বলেছি হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়।


আরও খবর



হিথরো বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী ২ উড়োজাহাজের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় হিথরো বিমানবন্দরে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উড়োজাহাজ দুটির পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অল্পের জন্য বেঁচে যান অন্তত ১২১ যাত্রী। রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, শনিবার স্থানীয় সময় সকালের দিকের বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাছে রানওয়েতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের উড়োজাহাজ ও ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইনসের  উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে  ১২১ যাত্রী থাকলেও ভার্জিন এয়ারলাইনসে কোন যাত্রী ছিল না। 

এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বলেছে, আমাদের উড়োজাহাজের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। যাত্রীদের যেন অসুবিধা না হয়, তাই আমরা আরেকটি বিকল্প ফ্লাইট দিয়েছি।

অন্যদিকে, ভার্জিন আটলান্টিকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং দল উড়োজাহাজের মেইনটেন্যান্স পরীক্ষা করে দেখছে।

হিথরো বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র জানান, কোনো যাত্রী আহত হননি। তবে এ ঘটনায় বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা বিঘ্ন ঘটতে পারে। জরুরি সেবা বিভাগসহ অন্য অংশীজনেরা এ নিয়ে কাজ করছে।


আরও খবর



বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক শেখ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আহাদ শিমুল, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)

Image

ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক শেখ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। 

রবিবার(৭ এপ্রিল) আসরের নামাজের পরে ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় মিলনায়তনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন। 

মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বরগুনার উত্তর খাজুরা এছাহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মোস্তাইজ বিল্লাহ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দোয়া অনুষ্ঠানের পূর্বে বক্তব্য রাখেন ইন্দুরকানী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার, ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক খান মোঃ মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল খায়ের মিলন, পত্তাশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম, জান্নাতি আক্তার, চাড়াখালী আশ্রয়ণ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সোহাগ কাজী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদুল ইসলাম শিমুল। মোনাজাত শেষে সবাই ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। 


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর