আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আজ সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিলের সময় ১৫ ঘণ্টা করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে না।

রোববার (৪ আগস্ট) থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ সময়সূচি অনুযায়ী কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী‌ ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

অন্য জেলায় জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) কারফিউ শিথিল বা বলবৎ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার পতনের দাবিতে আজ রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ প্রেক্ষাপটে‌ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাত সোয়া ১০টার দিকে শেষ হয় বৈঠক।

এর আগে, গত ৩০ জুলাই কারফিউ শিথিলের নতুন নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকার কথা বলা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়।


আরও খবর



আমি ক্ষমাপ্রার্থী: মাশরাফি বিন মুর্তজা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নড়াইল-২ আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তিনি ক্রিকেটার হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়। তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে অন্যতম আদর্শও। আর তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিক আন্দোলনে তার নীরব ভূমিকা মানতে পারেননি ভক্ত-সমর্থকরা। সরকার পতনের পর সাবেক এই হুইপের নড়াইলের বাড়িতেও হামলা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।

যৌক্তিক এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পাশে থাকতে না পারায় এবার আক্ষেপ প্রকাশ করলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। আন্দোলনে নামতে পারেননি তিনি, সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিজের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, যদি সরাসরি বলি, তাহলে অবশ্যই আমি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি অনেক মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে। কোটা সংস্কারের আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। আমার নিজের কাছেও মনে হচ্ছিল, এটা হয়ে যাবে। তবে সবাই যখন চাচ্ছিল যে আমি কিছু একটা বলি বা স্ট্যাটাস দেই (ফেসবুকে) ততক্ষণে আসলে সবকিছু এত দ্রুত হচ্ছিল ভাবছিলাম যে আমি যদি কিছু লিখি বা মন্তব্য করি, সেটার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে অনেক কিছু ভাবছিলাম আর কী সব মিলিয়ে কিছু লেখা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি কিছু করার চেষ্টা করিনি, তা নয়। আমি শুধু কিছু লেখার ভাবনায় থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে, আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। সেই শুরুর দিকেই চেষ্টা করেছি। কারণ তাদের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছি।

শেখ হাসিনার পতনের আগে থেকেই দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সরকার পতনের পরেও অনেকে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর অনেকে পালাতে গিয়ে পড়েছেন ধরা। তবে মাশরাফি জানিয়েছেন, ঢাকা শহরে নিজ পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছেন তিনি।

নিজের শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, শারীরিকভাবে ঠিক আছি। মানসিকভাবে অবশ্যই ভালো অবস্থায় নেই। আছি আর কী। ঢাকাতেই আছি, পরিবারের সঙ্গে।

তিনি আরও বলেন, আমার সম্পদ যা কিছু আছে, সব খেলোয়াড়ি জীবনেই গড়া। যে কোনোভাবেই খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। পূর্বাচলে একটি জমি আছে, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সরকার থেকে সবাই পেয়েছিলাম ৫ কাঠা করে। মিরপুরে একটা বাড়ি আছে, ২০০৮ সালে আইপিএল খেলে আসার পর করা। মিরপুরে আরেকটি বাড়ি করছি, যেখানে পরিবার নিয়ে উঠব, এটাও ২০১৫ সালে কাজ শুরু করেছি। এখনও উঠতে পারিনি, কাজ চলছে। ২০১৮ সালের পরের আয় দিয়ে তেমন কোনো সম্পদ গড়তে পারিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামা ও ২০২৪ সালের হলফনামা দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমি দাবি করলে তো লাভ নেই। যে কেউ খতিয়ে দেখলেই জানতে পারবে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, রাজনীতিতে আসার আগ পর্যন্ত আমার এন্ডোর্সমেন্ট ছিল অনেক। ২০টির ওপরে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলাম। খেলাধুলা করে ও স্পন্সরশিপের আয় থেকেই এসব করেছি। নড়াইলের বাড়িটা করেছিলাম মায়ের জন্য। এখন শেষ। অনেকেই বলেছেন মামলা করতে, ব্যবস্থা নিতে। ছবি-ভিডিও সবই আছে অনেকের কাছে। তবে আমি বলেছি, এসব করব না। আমার বাবাকেও বলে দিয়েছি। এখনকার সরকার বা ভবিষ্যতে নির্বাচন করেও যে সরকার আসুক, কারও কাছেই বিচাই চাইব না। কোনো অভিযোগ নেই। খুলনা-যশোর থেকে বা ঢাকা থেকে গিয়ে কেউ এই বাড়ি ভাঙেনি। নড়াইলের কোনো না কোনো জায়গা থেকে উঠে আসা মানুষই পুড়িয়েছে। নড়াইলের মানুষের বিরুদ্ধে বিচার আমি চাইব না। নিজের ভাগ্য মেনে নিয়েছি। হয়তো কোনো ভুল করেছি, সেটার ফল পেয়েছি। কষ্ট আছে অবশ্যই, তবে রাগ-ক্ষোভ নেই কারও প্রতি। আমার প্রতি এখনও কারও ক্ষোভ থাকলে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

তিনি বলেন, আমি জানতাম, ক্রিকেটার হিসেবে হয়তো সবার আছে আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে। রাজনীতিতে নামলে সেটা থাকবে না। কিন্তু ওই চ্যালেঞ্জ আমি নিতে চেয়েছি। মানুষের জন্য বড় পরিসরে কিছু করতে চেয়েছি। এই জায়গায় নিজের কাছে পরিষ্কার ছিলাম। এখন যে সরকার এসেছে, আমরা যদি আমার জায়গা থেকে, আপনার জায়গা থেকে সমালোচনা করে নিচে নামাই, তাহলে তো এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলতে থাকবে। তো, আমি যে জায়গায় ছিলাম, হয়তো রাজনীতিতে না এলেও পারতাম। ভালো ছিলাম। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ১২ থানার ওসি প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আওতাধীন ১২ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই ১২ থানার ওসি প্রত্যাহারের করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত থানা সমূহের সকল ওসিকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লাইনওআর এ সংযুক্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আওতাধীন যে সমস্ত থানা থেকে ওসিদের প্রত্যাহার করা হয়েছে সে সমস্ত থানাগুলো হলো- ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, ভূজপুর, মীরসরাই, সন্দীপ, বোয়ালখালী, বাঁশখালী।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে । দেশব্যাপী চলমান সংস্কারের আলোকে পুলিশের কাজে সচেতনতা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব আনয়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আওতাধীন এই ১২টি থানার ওসিদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে ‘রূপরেখা’ জানতে চাইল রাজনৈতিক দলগুলো

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও গণফোরামসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা সরকারের কাছে নির্বাচন ও সংস্কারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা চেয়েছেন এবং সরকারকে নিজেদের পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ ও পরামর্শ দিয়েছেন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি আবাস ও কার্যালয় যমুনায় গিয়ে সংলাপে অংশ নেন নেতারা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সংলাপের পর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দলগুলোর প্রস্তাবনার ভিত্তিতে শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে তার সরকারের রূপরেখা তুলে ধরবেন। ওই রূপরেখায় বোঝা যাবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হতে পারে।

সংলাপে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস ও গণফোরামসহ আরও বেশকিছু দল।

গণফোরামের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। তার প্রতিনিধি দলে ছিলেন, মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, এসএম আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিব উদ্দিন আবদুল কাদের ও মোশতাক আহমেদ।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে নিজে উঠে গিয়ে হ্যান্ডশেক করেন এবং তাকে সংলাপে আসায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

সংলাপে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে দেন জিএম কাদের। তার প্রতিনিধি দলে ছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, মজিবুর রহমান চুন্নু, মাশরুর মওলা ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন।

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা সরকারকে সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন।

এদিকে বিকেল ৩টার পর থেকে ৭টি ইসলামী দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, হেফাজতে ইসলামী, জমিয়তে উলামে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন এবং নেজামী ইসলাম। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টানা পাঁচঘণ্টা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে। ঢাকায় মার্কিন চার্জ ডিঅ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মার্কিন কূটনীতিক এ মন্তব্য করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।

মার্কিন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স বলেছেন তার দেশের সরকারপ্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে খুশি এবং একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ। ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এই সপ্তাহে তাদের কনস্যুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করবে। তিনি বলেন, হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করে। হেলেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, শাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ওয়াশিংটন রোহিঙ্গাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন শুরু করেছে এবং তিনি আশা করেছিলেন যে প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অবদানকারী এবং মার্কিন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, মার্কিন অর্থায়নের পরে এই বছর রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য জীবিকার সুযোগেরও আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য অব্যাহত অর্থায়নসহ বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টা তাকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারকে গভীর সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে বন্যা মোকাবিলায় দাতাদের মধ্যে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের আহ্বান জানিয়েছেন। মানির্ক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শ্রমিক ও সংখ্যালঘু বিষয় নিয়ে কিছু উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানবাধিকার ইস্যু, সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও আলোচনার সময় উঠে এসেছে।

মার্কিন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, তার সরকার দেশে ন্যায্যবিচার নিশ্চিত করার প্রয়াসে বাংলাদেশকে একটি প্রসিকিউটরিয়াল সার্ভিস গঠনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।


আরও খবর



ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ নিয়ে সরব রাহুল, আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠক

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চারদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই সফরে ভারতীয় প্রবাসীদের পাশাপাশি, মার্কিন আইনপ্রণেতা, ব্যবসায়ী ও একাডেমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।

তবে এই সফরে তিনি বাংলাদেশ নিয়েও সরব হয়েছেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে বৈঠকে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনেও কথা বলেছেন রাহুল। বাংলাদেশে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনও দল কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক নয়, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ভবিষ্যতে যেকোনও সরকারের সাথে কাজ করতে আগ্রহী তারা।

এছাড়া বাংলাদেশে উগ্রবাদ উত্থানের হুমকি ভারতের জন্য উদ্বেগের বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রাহুল বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতির প্রধান প্রধান ইস্যুতে তার দল কংগ্রেস ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের পাশে আছে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে মোদির নীতিকে সমর্থনের কথা জানান রাহুল গান্ধী। দেশটিতে তার চার দিনের অনানুষ্ঠানিক সফর মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।

রাহুল এদিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদের প্রবাহ বন্ধ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের সাথে কোনও আলোচনা না করা, ইসরায়েল ইস্যু ও বাংলাদেশে চরমপন্থি উপাদানসহ ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান প্রধান ইস্যুতে তার দল কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপির পাশে আছে।

তবে ভারতের ৫৪ বছর বয়সী এই নেতা চীনকে নিয়ে মোদির নীতির সাথে একমত পোষণ করেননি। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেছেন, চীনা সৈন্যরা আকারে দিল্লির আয়তনের সমান লাদাখে ভারতীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

বাংলাদেশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, বাংলাদেশে চরমপন্থি উপাদান নিয়ে ভারতে উদ্বেগ রয়েছে এবং (বিজেপি সরকারের মতো) আমাদেরও সেই উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বলেন, তবে, আমি আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং আমরা বর্তমান সরকার বা তার পরে অন্য কোনও সরকারের সাথে সম্পর্ক রাখতে সক্ষম হবো।

এর আগে একইদিন রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটলে একদল আইনপ্রণেতার সাথে বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রাহুল গান্ধী বলেন, বৈঠকে আমরা এটা (বাংলাদেশ ইস্যু) উত্থাপন করেছি এবং তারা এ বিষয়ে আমাদের সাথে কথাও বলেছে।

ভারতের এই বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেখুন, আমরা যেকোনও ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে। এবং আমরা এটার অবসান চাই। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটার অবসান ঘটানো বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব। আমাদের দিক থেকে, আমাদের সরকারের দায়িত্ব (বাংলাদেশকে) চাপ দেওয়া যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়।

পাকিস্তান ইস্যুতে রাহুল বলেন, আমাদের দেশে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদের প্ররোচনা দুই দেশকে পিছিয়ে রেখেছে। পাকিস্তান আমাদের দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা আমরা মেনে নেব না। আমরা এটা মেনে নেব না এবং যতক্ষণ তারা এটি করতেই থাকবে, আমাদের মধ্যে সমস্যা থাকবে।

কাশ্মির ইস্যুটি দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশকে সংলাপ থেকে দূরে রাখছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪